বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ৩৫

যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। 

গত বুধবার প্রথম পর্বে সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ ইন্টারন্যাশনাল বয়েজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে প্রভাতফেরির মাধ্যমে শুরু হয় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রভাতফেরির পর জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা (অর্ধনমিত) ও কালো পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনারে (অস্থায়ী) পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

পরে সকাল ৮টায় অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও দৃশ্যকলা অনুষদের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. সুরেশ কে নায়ারের উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হয় ভাষা ও সংস্কৃতি-এর বিষয়বস্তুতে চিত্রকর্ম প্রদর্শনী। বাংলাদেশি স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রবিনের তত্ত্বাবধানে প্রায় পাঁচটি দেশের শিক্ষার্থীর ক্যানভাসে ফুটে ওঠে ভাষা আন্দোলন ও সংস্কৃতির নানান দিক। 

বাংলাদেশি স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সাজিদা ফাতেমা অন্তিকাকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসান রবিন ও তানজিম হাসান পিপাসকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে গঠিত অমর ২১ শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির বিভিন্ন দায়িত্বে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরাও দায়িত্ব পালন করেন। 

সন্ধ্যা ৬টায় সুরঞ্জনা নাথ ভৌমিক ও সৌরভ সাহার সঞ্চালনায় শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পণ্ডিত মদন মোহন মালভিয়ার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্বলন মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন প্রধান অতিথি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার (কো-অর্ডিনেটর) ও কৃষিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের (পরিচালক) প্রফেসর ড. এস. ভি. এস. রাজু। 

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন নিউ ইন্টারন্যাশনাল বয়েজ হোস্টেলের প্রশাসনিক ওয়ার্ডেন প্রফেসর ড. আক্তার আলি, সংগীত ও পারফর্মিং কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. কে শশী কুমার, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমিতা চট্টোপাধ্যায়, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুবীর ঘোষ, ইন্টারন্যাশনাল গার্লস হোস্টেলের প্রশাসনিক ওয়ার্ডেন ড. নিতি সিং। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলা বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমিতা চট্টোপাধ্যায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি তাৎপর্য তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে দেশভাগের দুঃসহ-যন্ত্রণার কথা ব্যক্ত করেন এবং একুশের ওপর স্বরচিত কবিতা আবৃতি করেন। 

তবে বিগত বছরের তুলনায় এবারের আয়োজন ছিল ভিন্ন মাত্রার। কেননা, আমার ভাইয়ে রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানটি বাংলাদেশি সংগীত শিল্পী ও গবেষক শরিফ আরেফিন রনির সংগীত পরিচালনায় ১৩টি ভাষায় (বাংলা, নেপালি, মণিপুরী, মরিশাস, ফরাসি, আরবি, ফারসি, উড়িয়া, চাকমা, রুশ, ইংরেজি, সংহলি ও উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি) পরিবেশন করা হয়। 

পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের দেশাত্মবোধক কবিতা, গান, নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবসের সঙ্গে একাত্ম পোষণ করে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে রং তুলির আঁচড়ে আলপনার মাধ্যমে রাঙিয়ে তোলা হয় পুরো হোস্টেল প্রাঙ্গণ। শহীদ মিনার ও আলপনার শৈল্পিক কাজটি করেন বাংলাদেশি স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী পুলক কুমার সরকার। 

অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক সাজিদা ফাতেমা অন্তিকা সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা আজ এখানে একত্রিত হয়ে শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করছি ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের। সেই সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাই অন্যান্য দেশের সকল মাতৃভাষার প্রতি।’ তিনি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে একুশের তাৎপর্য অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান। 

ভারতের বেনারস থেকে পাঠিয়েছেন মো. আমিনুল ইসলাম

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ধর্ম অবমাননা: একই স্ট্যাটাসের জন্য দ্বিতীয়বার অভিযুক্ত হৃদয়

আমিরাতে অবৈধদের সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ আর মাত্র দুদিন

৫ আগস্ট সশস্ত্র সংগ্রামের ভিডিও বার্তা দিয়ে রেখেছিলাম: উপদেষ্টা নাহিদ

ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ইরানের সামরিক বাজেট তিনগুণ

রাজধানীতে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদ করায় লেগুনা চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা

আরও
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত