অনলাইন ডেস্ক
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থদাতাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) বেনামে কেনা বন্ডগুলোর সব ডেটা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার দুই দিন পরে গতকাল বুধবার (১৪ মার্চ) ভারতের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বন্ডের এসব তথ্য প্রকাশ করে।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বলেছে, ২০১৮ সালে স্কিম শুরু হওয়ার পর থেকে ৩০টি ধাপে ১৬ হাজার ৫১৮ কোটি রুপির নির্বাচনী বন্ড জারি করেছে। বন্ড কেনায় শীর্ষে রয়েছে বিতর্কিত লটারি ব্যবসায়ী মার্টিন সান্তিয়াগোর সংস্থা ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস’। তাঁরা কিনেছে মোট ১ হাজার ৩৬৮ কোটি রুপির নির্বাচনী বন্ড।
বন্ড কেনায় রুপির অঙ্কের নিরিখে তাঁর পরেই রয়েছে বিখ্যাত তেলুগু ব্যবসায়ী কৃষ্ণা রেড্ডির সংস্থা ‘মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’। তারা ৯৬৬ কোটি রুপির নির্বাচনী বন্ড রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিয়েছে। মূলত হায়দরাবাদকেন্দ্রিক এই সংস্থা একাধিক সরকারি প্রকল্পের বরাত পেয়েছে। মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহায়ক সংস্থা ‘ওয়েস্টার্ন ইউপি পাওয়ার ট্রান্সমিশন কো লিমিটেড’ও ২২০ কোটি রুপির নির্বাচনী বন্ড কিনেছে।
ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঁচ বছর ধরে তহবিল জোগানো শীর্ষ দাতা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বেদান্ত লিমিটেড, ভারতী এয়ারটেল, আরপিএসজি গ্রুপ ও এসেল মাইনিংসহ অন্য বৃহত্তম ভারতীয় কোম্পানি।
আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তালিকা থেকে। তা হলো, কেবল সান্তিয়াগোর সংস্থাই নয়, বন্ড কেনার নিরিখে প্রথম ৩০টি সংস্থার ১৪টিতেই গত কয়েক বছরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই, ইডি কিংবা আয়কর দপ্তরের (আইটি) কর্মকর্তারা।
এসব কোম্পানির অর্থের সবচেয়ে বড় অংশ পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৬ হাজার ৬০ কোটি রুপি মূল্যের নির্বাচনী বন্ড পেয়েছে তারা। এই টাকার পরিমাণ সব দলগুলোর প্রাপ্ত মোট বন্ডের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (এআইটিসি) এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) এরপরেই রয়েছে। ১৬ হাজার ৯ কোটি রুপির বন্ড পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ১৪ হাজার ২১ কোটি রুপির বন্ড পেয়ে কংগ্রেস রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৮ সালে চালু হওয়া নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দাতার পরিচয় ও অর্থের পরিমাণ গোপন রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এসবিআই এই পুরো বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে ছিল।
এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি বা কোম্পানি স্টেট ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক বন্ড কিনে সেটি ওই দলকে দিয়ে দেবেন। আর বন্ড ব্যাংকে জমা দিয়ে অর্থ তুলে নেবে রাজনৈতিক দলগুলো। এই প্রক্রিয়া ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোকে বেনামে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।
রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দেওয়ার এই পদ্ধতিই নির্বাচনী বন্ড নামে পরিচিত হয়। কিন্তু কারা রাজনৈতিক দলগুলোকে কী পরিমাণ চাঁদা দিচ্ছে তা এই প্রক্রিয়ার কারণে জনগণ জানতে পারছে না, আর তাতে তাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে আদালতে রিট করে ভারতের বিরোধীদলীয় আইনজীবীরা এবং একটি সুশীল সমাজ গোষ্ঠী।
এর জবাবে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত মাসে নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে এটি নিষিদ্ধ করে।
চাঁদা দেওয়ার এই প্রক্রিয়াটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বিজেপি ও ভারতের অন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি বিপত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। আসছে মেতে ভারতে জাতীয় নির্বাচন শুরু হচ্ছে। তার আগে আদালতের এ সিদ্ধান্তে এ প্রক্রিয়ার সুবিধাভোগী অনেকগুলো রাজনৈতিক দল চাপে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার এসবিআই সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, গত পাঁচ বছরে তারা বিভিন্ন মূল্যের মোট ২২ হাজার ২১৭টি নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করেছে। আর ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ২২ হাজার ৩০টি বন্ড ভেঙে অর্থ তুলে নিয়ে গেছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থদাতাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) বেনামে কেনা বন্ডগুলোর সব ডেটা সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়ার দুই দিন পরে গতকাল বুধবার (১৪ মার্চ) ভারতের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বন্ডের এসব তথ্য প্রকাশ করে।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বলেছে, ২০১৮ সালে স্কিম শুরু হওয়ার পর থেকে ৩০টি ধাপে ১৬ হাজার ৫১৮ কোটি রুপির নির্বাচনী বন্ড জারি করেছে। বন্ড কেনায় শীর্ষে রয়েছে বিতর্কিত লটারি ব্যবসায়ী মার্টিন সান্তিয়াগোর সংস্থা ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস’। তাঁরা কিনেছে মোট ১ হাজার ৩৬৮ কোটি রুপির নির্বাচনী বন্ড।
বন্ড কেনায় রুপির অঙ্কের নিরিখে তাঁর পরেই রয়েছে বিখ্যাত তেলুগু ব্যবসায়ী কৃষ্ণা রেড্ডির সংস্থা ‘মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’। তারা ৯৬৬ কোটি রুপির নির্বাচনী বন্ড রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিয়েছে। মূলত হায়দরাবাদকেন্দ্রিক এই সংস্থা একাধিক সরকারি প্রকল্পের বরাত পেয়েছে। মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সহায়ক সংস্থা ‘ওয়েস্টার্ন ইউপি পাওয়ার ট্রান্সমিশন কো লিমিটেড’ও ২২০ কোটি রুপির নির্বাচনী বন্ড কিনেছে।
ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঁচ বছর ধরে তহবিল জোগানো শীর্ষ দাতা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে বেদান্ত লিমিটেড, ভারতী এয়ারটেল, আরপিএসজি গ্রুপ ও এসেল মাইনিংসহ অন্য বৃহত্তম ভারতীয় কোম্পানি।
আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তালিকা থেকে। তা হলো, কেবল সান্তিয়াগোর সংস্থাই নয়, বন্ড কেনার নিরিখে প্রথম ৩০টি সংস্থার ১৪টিতেই গত কয়েক বছরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই, ইডি কিংবা আয়কর দপ্তরের (আইটি) কর্মকর্তারা।
এসব কোম্পানির অর্থের সবচেয়ে বড় অংশ পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ৬ হাজার ৬০ কোটি রুপি মূল্যের নির্বাচনী বন্ড পেয়েছে তারা। এই টাকার পরিমাণ সব দলগুলোর প্রাপ্ত মোট বন্ডের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (এআইটিসি) এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) এরপরেই রয়েছে। ১৬ হাজার ৯ কোটি রুপির বন্ড পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ১৪ হাজার ২১ কোটি রুপির বন্ড পেয়ে কংগ্রেস রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৮ সালে চালু হওয়া নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে দাতার পরিচয় ও অর্থের পরিমাণ গোপন রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এসবিআই এই পুরো বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে ছিল।
এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি বা কোম্পানি স্টেট ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক বন্ড কিনে সেটি ওই দলকে দিয়ে দেবেন। আর বন্ড ব্যাংকে জমা দিয়ে অর্থ তুলে নেবে রাজনৈতিক দলগুলো। এই প্রক্রিয়া ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোকে বেনামে রাজনৈতিক দলগুলোকে অনির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।
রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দেওয়ার এই পদ্ধতিই নির্বাচনী বন্ড নামে পরিচিত হয়। কিন্তু কারা রাজনৈতিক দলগুলোকে কী পরিমাণ চাঁদা দিচ্ছে তা এই প্রক্রিয়ার কারণে জনগণ জানতে পারছে না, আর তাতে তাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে আদালতে রিট করে ভারতের বিরোধীদলীয় আইনজীবীরা এবং একটি সুশীল সমাজ গোষ্ঠী।
এর জবাবে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গত মাসে নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে এটি নিষিদ্ধ করে।
চাঁদা দেওয়ার এই প্রক্রিয়াটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বিজেপি ও ভারতের অন্য প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি বিপত্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। আসছে মেতে ভারতে জাতীয় নির্বাচন শুরু হচ্ছে। তার আগে আদালতের এ সিদ্ধান্তে এ প্রক্রিয়ার সুবিধাভোগী অনেকগুলো রাজনৈতিক দল চাপে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার এসবিআই সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, গত পাঁচ বছরে তারা বিভিন্ন মূল্যের মোট ২২ হাজার ২১৭টি নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করেছে। আর ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ২২ হাজার ৩০টি বন্ড ভেঙে অর্থ তুলে নিয়ে গেছে।
আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
১ ঘণ্টা আগেস্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
২ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি সংস্থা গুগলকে বিস্ময়করভাবে ২০ ডেসিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে রাশিয়ার একটি আদালত। বুধবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে যত টাকা আছে সব একসঙ্গে করা হলেও এই পরিমাণ অর্থ হবে না।
৩ ঘণ্টা আগে