অনলাইন ডেস্ক
দুর্যোগ বা সংকটে ব্যবহারের জন্য নতুন ধরনের ফিল্ড হাসপাতাল বানিয়েছে ভারত। এ হাসপাতালটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে কোনো দুর্যোগ কবলিত স্থানে সহজেই বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, ৭২টি ছোট ছোট কিউব (ঘনক বা বাক্স) মিলিয়ে এ হাসপাতালটি তৈরি করা সম্ভব। প্রত্যেকটি বাক্সের ওজন ১৫ কেজিরও কম হয়। ঘনক আকৃতির বাক্সগুলো দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা ৩৮ সেন্টিমিটার করে। বাক্সগুলোতে তাঁবু ও বিশেষভাবে তৈরি চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে।
এ বাক্সগুলো যুদ্ধকবলিত অঞ্চলের পাশাপাশি বন্যা ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত দুর্গম স্থানেও এই হাসপাতাল বহন করে নিয়ে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া বাক্সগুলো উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টার থেকে ফেললেও অক্ষত থাকবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বাক্সগুলো মিলিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও জীবন রক্ষাকারী অস্ত্রোপচারের পুরোপুরি উপযোগী হাসপাতালে পরিণত করতে পাঁচজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তির মাত্র এক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ ধরনের হাসপাতালে একসঙ্গে ২০০ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ হাসপাতালে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব। ফলে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন এমন দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এটি লাইফলাইন হিসেবে কাজ করবে।
এ ফিল্ড হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে— আরোগ্য মৈত্রী এইড কিউব হাসপাতাল। চলতি সপ্তাহেই চালু হওয়া এ হাসপাতালে রয়েছে—ছোট নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), একটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) এবং বহনযোগ্য এক্স–রে মেশিন, আলট্রাসাউন্ড যন্ত্র ও ভেন্টিলেটরসহ বেশ কয়েকটি সরঞ্জাম। এটি সৌরশক্তি চালিত জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে পানি ও রান্নার সুব্যবস্থা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিম্নআয়ের দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ব্যয়বহুল একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের পদক্ষেপ নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন এ ফিল্ড হাসপাতালটি সে প্রকল্পেরই অংশ।
বাক্সগুলো তৈরি করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এইচএলএল লাইফকেয়ার।
এইচএলএল লাইফ কেয়ারের উপদেষ্টা ড. অঙ্কিতা শর্মা বলেন, ‘যদি দুর্ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে জীবন বাঁচানোর মতো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে তবে প্রথমে অপারেশন থিয়েটার তৈরি করা যেতে পারে। এতে মাত্র ১০ মিনিট লাগবে। অন্য বাক্সগুলো প্রস্তুত হতে হতে চিকিৎসকেরা সার্জারি শুরু করে দিতে পারবেন।
৬০টি বাক্সের জিনিসপত্র অত্যাবশ্যকীয় হলেও অন্য ১২টি কিউবের জিনিসপত্রগুলো পরিস্থিতি ভেদে পরিবর্তন করা যাবে।
ড. অঙ্কিতা শর্মা বলেন, যদি কোথাও ভূমিকম্প হয় এবং সেখানে হাড় ভাঙা ও হাড়ে ফাটলের মতো জখম বেশি থাকে। সেখানে তখন বাক্সগুলোতে বেশি পরিমাণে হাড়ের আঘাতের চিকিৎসা সরঞ্জাম নেওয়া যাবে। বুলেট বা বোমা হামলার স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিকিৎসা সরঞ্জাম বেশি নেওয়া যেতে পারে।
এ হাসপাতালের নকশা তৈরির জন্য চিকিৎসক, সামরিক স্বাস্থ্য কর্মী, প্রকৌশলী ও ডিজাইনারের সঙ্গে এক বছর ধরে কাজ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ হাসপাতালটি ছোট ও হালকা করে তৈরি করতে চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর আকৃতিও ছোট হয়েছে এবং হেলিকপ্টারে বহন করা যায় কি না তা যাচাই করতে ক্রমাগত এর ওজন পরিমাপ করতে হয়েছে।
ড. অঙ্কিতা শর্মা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল ছোট আকারের এক্স–রে মেশিন ডিজাইন করা। আমরা তা তৈরি করে দেখিয়েছি। তবে পরে দেখা গেল, এর পাটাতনটি তুলনায় খুব বড়। এটি নতুন করে ছোট আকারে তৈরি করতে হয়েছে।’
প্রত্যেকটি বাক্সই পানিরোধী এবং ক্ষয়রোধী। এটি কতটা টেকসই তা পরীক্ষা করতে হেলিকপ্টার ও ড্রোন থেকে ফেলে দেখা হয়েছে।
সংযোজনে ভুল এড়াতে প্রত্যেকটি বাক্সে প্রোগ্রাম করা একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার আছে। কোনো বাক্সের ভুল সরঞ্জাম রাখা হলে বেজে উঠবে অ্যালার্ম। এ ছাড়া একটি অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বাক্সের ভেতরের সরঞ্জাম চিহ্নিত করতে পারবেন এবং এর ব্যবহার, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ও ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত কি না তা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ভারতে এমন ধরনের হাসপাতাল এটাই প্রথম। তবে অন্যান্য দেশে এমন হাসপাতাল আছে কি না তা নিশ্চিত নন অঙ্কিতা শর্মা।
ভারত সরকার এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে এই কিউব হাসপাতাল সরবরাহ করেছে।
দুর্যোগ বা সংকটে ব্যবহারের জন্য নতুন ধরনের ফিল্ড হাসপাতাল বানিয়েছে ভারত। এ হাসপাতালটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে কোনো দুর্যোগ কবলিত স্থানে সহজেই বহন করে নিয়ে যাওয়া যায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, ৭২টি ছোট ছোট কিউব (ঘনক বা বাক্স) মিলিয়ে এ হাসপাতালটি তৈরি করা সম্ভব। প্রত্যেকটি বাক্সের ওজন ১৫ কেজিরও কম হয়। ঘনক আকৃতির বাক্সগুলো দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা ৩৮ সেন্টিমিটার করে। বাক্সগুলোতে তাঁবু ও বিশেষভাবে তৈরি চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে।
এ বাক্সগুলো যুদ্ধকবলিত অঞ্চলের পাশাপাশি বন্যা ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত দুর্গম স্থানেও এই হাসপাতাল বহন করে নিয়ে যাওয়া যাবে। এ ছাড়া বাক্সগুলো উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টার থেকে ফেললেও অক্ষত থাকবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বাক্সগুলো মিলিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া ও জীবন রক্ষাকারী অস্ত্রোপচারের পুরোপুরি উপযোগী হাসপাতালে পরিণত করতে পাঁচজন প্রশিক্ষিত ব্যক্তির মাত্র এক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ ধরনের হাসপাতালে একসঙ্গে ২০০ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ হাসপাতালে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া সম্ভব। ফলে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন এমন দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এটি লাইফলাইন হিসেবে কাজ করবে।
এ ফিল্ড হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে— আরোগ্য মৈত্রী এইড কিউব হাসপাতাল। চলতি সপ্তাহেই চালু হওয়া এ হাসপাতালে রয়েছে—ছোট নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), একটি অপারেশন থিয়েটার (ওটি) এবং বহনযোগ্য এক্স–রে মেশিন, আলট্রাসাউন্ড যন্ত্র ও ভেন্টিলেটরসহ বেশ কয়েকটি সরঞ্জাম। এটি সৌরশক্তি চালিত জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে পানি ও রান্নার সুব্যবস্থা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিম্নআয়ের দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ব্যয়বহুল একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্পের পদক্ষেপ নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন এ ফিল্ড হাসপাতালটি সে প্রকল্পেরই অংশ।
বাক্সগুলো তৈরি করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এইচএলএল লাইফকেয়ার।
এইচএলএল লাইফ কেয়ারের উপদেষ্টা ড. অঙ্কিতা শর্মা বলেন, ‘যদি দুর্ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে জীবন বাঁচানোর মতো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে তবে প্রথমে অপারেশন থিয়েটার তৈরি করা যেতে পারে। এতে মাত্র ১০ মিনিট লাগবে। অন্য বাক্সগুলো প্রস্তুত হতে হতে চিকিৎসকেরা সার্জারি শুরু করে দিতে পারবেন।
৬০টি বাক্সের জিনিসপত্র অত্যাবশ্যকীয় হলেও অন্য ১২টি কিউবের জিনিসপত্রগুলো পরিস্থিতি ভেদে পরিবর্তন করা যাবে।
ড. অঙ্কিতা শর্মা বলেন, যদি কোথাও ভূমিকম্প হয় এবং সেখানে হাড় ভাঙা ও হাড়ে ফাটলের মতো জখম বেশি থাকে। সেখানে তখন বাক্সগুলোতে বেশি পরিমাণে হাড়ের আঘাতের চিকিৎসা সরঞ্জাম নেওয়া যাবে। বুলেট বা বোমা হামলার স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিকিৎসা সরঞ্জাম বেশি নেওয়া যেতে পারে।
এ হাসপাতালের নকশা তৈরির জন্য চিকিৎসক, সামরিক স্বাস্থ্য কর্মী, প্রকৌশলী ও ডিজাইনারের সঙ্গে এক বছর ধরে কাজ করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ হাসপাতালটি ছোট ও হালকা করে তৈরি করতে চিকিৎসা সরঞ্জামগুলোর আকৃতিও ছোট হয়েছে এবং হেলিকপ্টারে বহন করা যায় কি না তা যাচাই করতে ক্রমাগত এর ওজন পরিমাপ করতে হয়েছে।
ড. অঙ্কিতা শর্মা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল ছোট আকারের এক্স–রে মেশিন ডিজাইন করা। আমরা তা তৈরি করে দেখিয়েছি। তবে পরে দেখা গেল, এর পাটাতনটি তুলনায় খুব বড়। এটি নতুন করে ছোট আকারে তৈরি করতে হয়েছে।’
প্রত্যেকটি বাক্সই পানিরোধী এবং ক্ষয়রোধী। এটি কতটা টেকসই তা পরীক্ষা করতে হেলিকপ্টার ও ড্রোন থেকে ফেলে দেখা হয়েছে।
সংযোজনে ভুল এড়াতে প্রত্যেকটি বাক্সে প্রোগ্রাম করা একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার আছে। কোনো বাক্সের ভুল সরঞ্জাম রাখা হলে বেজে উঠবে অ্যালার্ম। এ ছাড়া একটি অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বাক্সের ভেতরের সরঞ্জাম চিহ্নিত করতে পারবেন এবং এর ব্যবহার, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ও ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত কি না তা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ভারতে এমন ধরনের হাসপাতাল এটাই প্রথম। তবে অন্যান্য দেশে এমন হাসপাতাল আছে কি না তা নিশ্চিত নন অঙ্কিতা শর্মা।
ভারত সরকার এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে এই কিউব হাসপাতাল সরবরাহ করেছে।
দিনের চতুর্থ ফ্লাইটে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি শিকাগো ও’হেয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ওআরডি) থেকে ক্লিভল্যান্ড হপকিন্স আন্তর্জাতিক (সিএলই) বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। শিকাগো থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৭ মিনিটে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৬টা ২ মিনিটে ক্লিভল্যান্ডে অবতরণ করে এটি।
৪ মিনিট আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতে নিখোঁজ এক ইসরায়েলি ইহুদি রাব্বির (ধর্মীয় নেতা) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ রাব্বি জভি কোগান নিখোঁজের তদন্ত শুরু করার ঘোষণার দেওয়ার পরপরই তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী এবং ইহুদিবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল।
৭ মিনিট আগেভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে একটি মুঘল আমলের জামে মসজিদে জরিপ পরিচালনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। উত্তর প্রদেশের সম্বল জেলায় আজ রোববার সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা
১৫ মিনিট আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতে নিখোঁজ হওয়া এক র্যাবি (ইহুদি ধর্মগুরু) হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। রোববার বিবিসি জানিয়েছে, র্যাবির হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল।
৩২ মিনিট আগে