কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের রাজনীতিতে নতুন রূপে উঠে আসছেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। নিজেকে চেনাচ্ছেন নতুন করে। দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারী থেকে উত্তর ভারতের প্রান্তিক শহর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর পর্যন্ত তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রা কংগ্রেসকে কতটুকু সুবিধা দিতে পারল সেটা ভবিষ্যৎই বলবে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জননেতা হিসেবে নিজের ইমেজ অনেক বেশি পোক্ত করে ফেলেছেন রাহুল।
রাহুলের এমন উত্থান বিজেপির নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তাই রাহুলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দলটি। একসময় বিজেপি নেতারা রাহুলকে পাপ্পু বলে উপহাস করতেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নানাভাবে তাঁকে খাটো করার চেষ্টা করেছেন। নিজের দলের ভেতরেও তাঁর ঘনঘন বিদেশযাত্রা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছিল।
তবে সেই রাহুল গান্ধীই এখন নিজেকে জননেতা হিসেবে অনেকটাই প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। টানা পদযাত্রার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শাণিয়ে তিনি নিজেকে অনেকটাই গান্ধী পরিবারের আদর্শ উত্তরসূরি হিসেবে কংগ্রেস কর্মীদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। সেই সঙ্গে মানুষের অভাব-অভিযোগ নিয়ে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন বিজেপি সরকারকে।
তবে বসে নেই বিজেপিও। দলটি রাহুলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ হানতে শুরু করেছে। আসামে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর চেহারার সঙ্গে সাদ্দাম হোসেনের তুলনা করেছেন। অথচ হিমন্ত আগে রাহুলের নেতৃত্বেই কংগ্রেসের রাজনীতি করতেন। তাই পাল্টা জবাব দেওয়ার বদলে কংগ্রেসের তরফে বিজেপির সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
রাহুল নিজে অবশ্য দাবি করছেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে ঘৃণার বিরুদ্ধে দেশপ্রেমের বার্তা দিতেই তাঁর এই প্রয়াস। তবে দলের অন্দর কোন্দল থামার কোনো লক্ষণ কংগ্রেসে নেই। বরং রাজস্থানে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের প্রকাশ্য বিবাদে সেখানকার কংগ্রেস সরকারের বিপদ বাড়ছে।
রাহুলের পদযাত্রায় প্রতিদিনই কংগ্রেসের দলীয় সমর্থকদের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রের বিখ্যাত মানুষও যোগ দিচ্ছেন। তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি এখন প্রায় তলানিতে। তবে তার পরও রাহুলের পদযাত্রা সর্বত্র ঝড় তুলেছে।
কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফেরাতে না পারলেও দলের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এই পদযাত্রা বিশেষ কার্যকর ভূমিকা নেবে বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। ইতিমধ্যে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীই হচ্ছেন কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের মতে, দিল্লিতে অ-বিজেপি সরকার গঠনে রাহুলের বিকল্প কেউ নেই।
তবে বিরোধী শিবিরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের অনেকটাই পিছিয়ে দিয়ে রাহুল গান্ধী ১৫০ দিনের পদযাত্রার মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে বিজেপিরও একটা অংশ একান্তে স্বীকার করতে শুরু করেছে।
ভারতের রাজনীতিতে নতুন রূপে উঠে আসছেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। নিজেকে চেনাচ্ছেন নতুন করে। দক্ষিণ ভারতের কন্যাকুমারী থেকে উত্তর ভারতের প্রান্তিক শহর জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর পর্যন্ত তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রা কংগ্রেসকে কতটুকু সুবিধা দিতে পারল সেটা ভবিষ্যৎই বলবে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জননেতা হিসেবে নিজের ইমেজ অনেক বেশি পোক্ত করে ফেলেছেন রাহুল।
রাহুলের এমন উত্থান বিজেপির নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। তাই রাহুলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দলটি। একসময় বিজেপি নেতারা রাহুলকে পাপ্পু বলে উপহাস করতেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নানাভাবে তাঁকে খাটো করার চেষ্টা করেছেন। নিজের দলের ভেতরেও তাঁর ঘনঘন বিদেশযাত্রা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছিল।
তবে সেই রাহুল গান্ধীই এখন নিজেকে জননেতা হিসেবে অনেকটাই প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। টানা পদযাত্রার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শাণিয়ে তিনি নিজেকে অনেকটাই গান্ধী পরিবারের আদর্শ উত্তরসূরি হিসেবে কংগ্রেস কর্মীদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। সেই সঙ্গে মানুষের অভাব-অভিযোগ নিয়ে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন বিজেপি সরকারকে।
তবে বসে নেই বিজেপিও। দলটি রাহুলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ হানতে শুরু করেছে। আসামে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর চেহারার সঙ্গে সাদ্দাম হোসেনের তুলনা করেছেন। অথচ হিমন্ত আগে রাহুলের নেতৃত্বেই কংগ্রেসের রাজনীতি করতেন। তাই পাল্টা জবাব দেওয়ার বদলে কংগ্রেসের তরফে বিজেপির সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
রাহুল নিজে অবশ্য দাবি করছেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে ঘৃণার বিরুদ্ধে দেশপ্রেমের বার্তা দিতেই তাঁর এই প্রয়াস। তবে দলের অন্দর কোন্দল থামার কোনো লক্ষণ কংগ্রেসে নেই। বরং রাজস্থানে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের প্রকাশ্য বিবাদে সেখানকার কংগ্রেস সরকারের বিপদ বাড়ছে।
রাহুলের পদযাত্রায় প্রতিদিনই কংগ্রেসের দলীয় সমর্থকদের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রের বিখ্যাত মানুষও যোগ দিচ্ছেন। তামিলনাড়ু, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি এখন প্রায় তলানিতে। তবে তার পরও রাহুলের পদযাত্রা সর্বত্র ঝড় তুলেছে।
কংগ্রেসকে ক্ষমতায় ফেরাতে না পারলেও দলের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এই পদযাত্রা বিশেষ কার্যকর ভূমিকা নেবে বলে মনে করেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। ইতিমধ্যে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীই হচ্ছেন কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের মতে, দিল্লিতে অ-বিজেপি সরকার গঠনে রাহুলের বিকল্প কেউ নেই।
তবে বিরোধী শিবিরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি থেকে শুরু করে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের অনেকটাই পিছিয়ে দিয়ে রাহুল গান্ধী ১৫০ দিনের পদযাত্রার মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে বিজেপিরও একটা অংশ একান্তে স্বীকার করতে শুরু করেছে।
একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
৬ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৮ ঘণ্টা আগে