অনলাইন ডেস্ক
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হলেও ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নয়াদিল্লির জন্য বেশ কিছু সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে। বিশেষ করে বাণিজ্য, অভিবাসন, সামরিক সহযোগিতা ও কূটনীতি—এই চার ক্ষেত্রে। ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে একাধিকবার বন্ধু বলে সম্বোধন করলেও সামগ্রিকভাবে ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে ভারত বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ট্রাম্প ভারতকে মার্কিন পণ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপকারী দেশ বলেছেন। তিনি পারস্পরিক সমানুপাতিক শুল্ক আরোপের পক্ষে। ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য এই শুল্কনীতি ভারতের আইটি, ওষুধ ও টেক্সটাইল খাতে প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে, চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য ট্রাম্পের যে নীতি, তা ভারতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বারও খুলতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেননি। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য বাণিজ্যনীতির কথা ভেবে এখনই তৎপর হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি প্রভাবিত করতে সরাসরি ট্রাম্পের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ‘ম্যানেজ’ করার কৌশল নিয়েছে ভারত।
নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পাঁচ দিনের মাথায় ভারতে নতুন করে ছয়টি ‘ট্রাম্প টাওয়ার’ নির্মাণের ইঙ্গিত দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন সংস্থা। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভারতই ট্রাম্প টাওয়ারের বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট হাব হতে চলেছে।
ট্রাম্প টাওয়ার হলো নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি বহুতল ভবন। ট্রাম্পের কোম্পানি ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’–এর সদর দপ্তর এটি। ওই বহুতল ভবনে একটি বিলাসবহুল পেন্টহাউসও রয়েছে ট্রাম্পের। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সপরিবারে সেখানেই থাকতেন তিনি।
ভারতে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অংশীদার ‘ট্রিবেকা ডেভেলপার্স’ পুনে, গুরুগ্রাম, নয়ডা, মুম্বাই, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরুতে ছয়টি ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের চুক্তি এর মধ্যেই চূড়ান্ত করেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এসেছে।
এই ভবনগুলোর বিক্রয়মূল্য ১৫ হাজার কোটি রুপিরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারতে আগে থেকেই চারটি ট্রাম্প টাওয়ার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভারতেই ট্রাম্প ব্র্যান্ডের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রকল্প রয়েছে। ছয়টি নতুন ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের ঘোষণার পর সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে।
ট্রাইবেকা ডেভেলপার্স জানিয়েছে, ছয়টি ট্রাম্প টাওয়ারের প্রথম তিনটি হবে নয়ডা, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে। পরের তিনটি পুনে, মুম্বাই এবং গুরুগ্রামে নির্মাণ করা হতে পারে।
ট্রাইবেকা ডেভেলপারসের প্রতিষ্ঠাতা কল্পেশ মেহতা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসকে বলেছেন, ‘আমেরিকার বাইরে ভারতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ট্রাম্প টাওয়ার রয়েছে। আরও ছয়টি নির্মাণ হচ্ছে। ভারতেই সবচেয়ে বেশি ট্রাম্প টাওয়ার থাকবে।’
কল্পেশ দাবি করেন, ‘আমরা বিশ্বের একমাত্র সুপার লাক্সারি রিয়েল এস্টেট ব্র্যান্ড এবং ট্রাম্পের প্রকল্পগুলো যেন ভারতের মূল্যবান সম্পত্তিতে পরিণত হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে ট্রাইবেকা।’
কল্পেশ জানান, প্রকল্পগুলোর প্রতিটিতে স্থানীয় অংশীদার থাকবে। নির্মাণ সংস্থার পাশাপাশি জমির মালিকেরাও সমান গুরুত্ব পাবেন। ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং এরিক ট্রাম্প আগামী বছরের শুরুতে ভারত সফরে আসতে পারেন। ট্রাম্প টাওয়ার প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করতেই তাঁরা ভারতে আসতে পারেন।
ভারত বিদ্যমান ট্রাম্প টাওয়ারগুলো গুরুগ্রাম, পুনে এবং মুম্বাইয়ে। সেগুলোতে ট্রাম্পের নামাঙ্কিত আরেকটি করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভবনগুলোর নাম দেওয়া হতে পারে ‘ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ার’। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাতেও একটি ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের কাজ চলছে।
এদিকে নতুন ছয়টি বহুতল ভবনের মধ্যে পুনের দ্বিতীয় ভবনটি হতে যাচ্ছে ভারতে ট্রাম্পের কোম্পানির প্রথম অফিস প্রকল্প। আগামী বছরের মাঝামাঝি এই বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এত এত বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার পেছনে নরেন্দ্র মোদি সরকারের কূটনৈতিক ফায়দা আদায়ের কৌশল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য নীতি প্রভাবিত করতে ব্যক্তিগত কোম্পানিকে কাজ দিয়ে ট্রাম্পের মন পেতে চান মোদি।
ভারত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হলেও ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নয়াদিল্লির জন্য বেশ কিছু সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে। বিশেষ করে বাণিজ্য, অভিবাসন, সামরিক সহযোগিতা ও কূটনীতি—এই চার ক্ষেত্রে। ট্রাম্প ও মোদি পরস্পরকে একাধিকবার বন্ধু বলে সম্বোধন করলেও সামগ্রিকভাবে ট্রাম্পের নতুন মেয়াদে ভারত বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ট্রাম্প ভারতকে মার্কিন পণ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপকারী দেশ বলেছেন। তিনি পারস্পরিক সমানুপাতিক শুল্ক আরোপের পক্ষে। ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য এই শুল্কনীতি ভারতের আইটি, ওষুধ ও টেক্সটাইল খাতে প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে, চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য ট্রাম্পের যে নীতি, তা ভারতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বারও খুলতে পারে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেননি। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য বাণিজ্যনীতির কথা ভেবে এখনই তৎপর হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের নীতি প্রভাবিত করতে সরাসরি ট্রাম্পের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে ‘ম্যানেজ’ করার কৌশল নিয়েছে ভারত।
নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পাঁচ দিনের মাথায় ভারতে নতুন করে ছয়টি ‘ট্রাম্প টাওয়ার’ নির্মাণের ইঙ্গিত দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন সংস্থা। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভারতই ট্রাম্প টাওয়ারের বৃহত্তম রিয়েল এস্টেট হাব হতে চলেছে।
ট্রাম্প টাওয়ার হলো নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি বহুতল ভবন। ট্রাম্পের কোম্পানি ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’–এর সদর দপ্তর এটি। ওই বহুতল ভবনে একটি বিলাসবহুল পেন্টহাউসও রয়েছে ট্রাম্পের। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সপরিবারে সেখানেই থাকতেন তিনি।
ভারতে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অংশীদার ‘ট্রিবেকা ডেভেলপার্স’ পুনে, গুরুগ্রাম, নয়ডা, মুম্বাই, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরুতে ছয়টি ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের চুক্তি এর মধ্যেই চূড়ান্ত করেছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে এসেছে।
এই ভবনগুলোর বিক্রয়মূল্য ১৫ হাজার কোটি রুপিরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারতে আগে থেকেই চারটি ট্রাম্প টাওয়ার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ভারতেই ট্রাম্প ব্র্যান্ডের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক প্রকল্প রয়েছে। ছয়টি নতুন ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের ঘোষণার পর সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে।
ট্রাইবেকা ডেভেলপার্স জানিয়েছে, ছয়টি ট্রাম্প টাওয়ারের প্রথম তিনটি হবে নয়ডা, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে। পরের তিনটি পুনে, মুম্বাই এবং গুরুগ্রামে নির্মাণ করা হতে পারে।
ট্রাইবেকা ডেভেলপারসের প্রতিষ্ঠাতা কল্পেশ মেহতা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসকে বলেছেন, ‘আমেরিকার বাইরে ভারতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ট্রাম্প টাওয়ার রয়েছে। আরও ছয়টি নির্মাণ হচ্ছে। ভারতেই সবচেয়ে বেশি ট্রাম্প টাওয়ার থাকবে।’
কল্পেশ দাবি করেন, ‘আমরা বিশ্বের একমাত্র সুপার লাক্সারি রিয়েল এস্টেট ব্র্যান্ড এবং ট্রাম্পের প্রকল্পগুলো যেন ভারতের মূল্যবান সম্পত্তিতে পরিণত হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে ট্রাইবেকা।’
কল্পেশ জানান, প্রকল্পগুলোর প্রতিটিতে স্থানীয় অংশীদার থাকবে। নির্মাণ সংস্থার পাশাপাশি জমির মালিকেরাও সমান গুরুত্ব পাবেন। ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং এরিক ট্রাম্প আগামী বছরের শুরুতে ভারত সফরে আসতে পারেন। ট্রাম্প টাওয়ার প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করতেই তাঁরা ভারতে আসতে পারেন।
ভারত বিদ্যমান ট্রাম্প টাওয়ারগুলো গুরুগ্রাম, পুনে এবং মুম্বাইয়ে। সেগুলোতে ট্রাম্পের নামাঙ্কিত আরেকটি করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভবনগুলোর নাম দেওয়া হতে পারে ‘ট্রাম্প ওয়ার্ল্ড টাওয়ার’। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাতেও একটি ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের কাজ চলছে।
এদিকে নতুন ছয়টি বহুতল ভবনের মধ্যে পুনের দ্বিতীয় ভবনটি হতে যাচ্ছে ভারতে ট্রাম্পের কোম্পানির প্রথম অফিস প্রকল্প। আগামী বছরের মাঝামাঝি এই বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হতে পারে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এত এত বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার পেছনে নরেন্দ্র মোদি সরকারের কূটনৈতিক ফায়দা আদায়ের কৌশল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য নীতি প্রভাবিত করতে ব্যক্তিগত কোম্পানিকে কাজ দিয়ে ট্রাম্পের মন পেতে চান মোদি।
চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশে একটি কারিগরি স্কুলে ছুরিকাঘাতে ৮ জন খুন হয়েছেন। আজ শনিবারের এই হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে। জেলেনস্কি জানান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন। আগামী সোমবার তিনি এই নিয়োগ দেবেন। নির্বাচনে জয়ী অনূঢ়ার নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) মুখপাত্র তিলউইন সিলভা এ তথ্য জানিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ আঙুর আমদানিতে শুল্ক বাড়ালেও সরকার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তাঁদের হতাশা বেড়েছে। কারণ, ভারতের মোট আঙুর রপ্তানির প্রায় ২৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন আঙুর বাংলাদেশে রপ্তানি হয়।
৭ ঘণ্টা আগে