বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন আঙুর রপ্তানি করে ভারত। কিন্তু গত মৌসুমে রপ্তানি ২০ শতাংশ কমে যাওয়ায় ভারতের আঙুর চাষিরা দুশ্চিন্তায় আছেন। আজ শনিবার দেশটির গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর পেছনে বাংলাদেশের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিকে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন কৃষকরা। পাশাপাশি বিশেষ প্রক্রিয়া আঙুর চাষের খরচ মেটাতে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রণোদনার অভাব ও প্রতিকূল শস্য বিমা নীতিও আগে থেকেই চাষীদের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ।
ভারত প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আঙুর রপ্তানি করে থাকে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলা থেকেই আসে মোট আঙুর রপ্তানির ৮০ শতাংশ। নাসিক জেলার প্রায় দেড় লাখ একর জমিতে আঙুরের চাষ হয়।
নাসিক জেলার একটি শহর নিফাদ। এই শহরে ৬৫,০০০ আঙুর চাষির বাস। এ বছর আঙুর রপ্তানি কমে যাওয়ায় এখানকার চাষিরা চিন্তিত। তাঁরা বলছেন, গত এক দশকে রাজ্য সরকার সমস্যাগুলোর সমাধান করেনি। তার ওপর বাংলাদেশ আঙুর আমদানিতে শুল্ক বাড়ালেও সরকার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তাঁদের হতাশা বেড়েছে। কারণ, ভারতের মোট আঙুর রপ্তানির প্রায় ২৮ শতাংশই বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
মধুকর গাভলি নামে এক আঙুর রপ্তানিকারক বলেন, ‘ভারতীয় আঙুরের প্রধান আমদানিকারক বাংলাদেশ। কিন্তু বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। গত মৌসুমে প্রতি কেজি আঙুরের আমদানি শুল্ক ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে আঙুর রপ্তানি ২০ শতাংশ কমেছে।’
তবে শুধু বিক্রিতেই যে সমস্যা তা নয়, উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাধা আছে। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন বড় সমস্যা। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস আঙুর তোলার সময়। কিন্তু তখন অনিয়মিত বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে আঙুর বাগানের ক্ষতি হয়।
নিফাদের আরেক আঙুর চাষি অশ্বিন ভোসলে বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কাভার ফার্মিং বা ছাউনি চাষ আমাদের বাগানগুলোকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু প্লাস্টিকের কাভার খুবই ব্যয়বহুল। প্রতি একরে খরচ ৪ লাখ টাকা। এই খরচ বহন করা কঠিন। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছে ৫০ শতাংশের বেশি ভর্তুকি চাই।’
আরেক আঙুর চাষি ভরত শিন্ডে বলেন, ‘জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা কর আরেকটি বড় সমস্যা। সার ও কীটনাশকের ওপর কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ শতাংশ কর আরোপ করেছে। একজন আঙুর চাষি প্রতি বছর একরে ৫০ হাজার রুপি পণ্য ও পরিষেবা কর পরিশোধ করে। এটা উৎপাদন খরচ বাড়ায়। আমরা চাই সরকার পণ্য ও পরিষেবা কর তুলে দিক এবং সার ও কীটনাশক স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করুক।’
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিফাদ বিধানসভা আসনের বর্তমান বিধায়ক দিলীপ ব্যাঙ্কার বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যাতে আঙুরের ওপর শুল্ক কমিয়ে আমাদের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করে, সেবিষয়ে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ করেছি।’
এক্ষেত্রে সম্প্রতি পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক তোলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বাংলাদেশ আঙুরের ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক তুলে নেবে।’
এই বিধায়ক আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক কাভারের জন্য চাষিদের ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েও আমি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। সার, বীজ ও কীটনাশক কেনার সময় চাষিদের পণ্য ও পরিষেবা কর মওকুফ করার জন্যও আমরা রাজ্য এবং কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
তবে এখানেই সমস্যার শেষ নয়। আঙুর চাষি মনোজ জাধব বলেন, ‘শস্য বিমার নীতিগুলোও কার্যকরী না। বিমা কার্যকর হয় অক্টোবর থেকে, কিন্তু সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির কারণে বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সেপ্টেম্বর মাসে হওয়া ক্ষতির জন্য চাষিরা ক্ষতিপূরণ পায় না।’
বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন আঙুর রপ্তানি করে ভারত। কিন্তু গত মৌসুমে রপ্তানি ২০ শতাংশ কমে যাওয়ায় ভারতের আঙুর চাষিরা দুশ্চিন্তায় আছেন। আজ শনিবার দেশটির গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর পেছনে বাংলাদেশের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিকে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন কৃষকরা। পাশাপাশি বিশেষ প্রক্রিয়া আঙুর চাষের খরচ মেটাতে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রণোদনার অভাব ও প্রতিকূল শস্য বিমা নীতিও আগে থেকেই চাষীদের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ।
ভারত প্রতি বছর বিভিন্ন দেশে ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আঙুর রপ্তানি করে থাকে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলা থেকেই আসে মোট আঙুর রপ্তানির ৮০ শতাংশ। নাসিক জেলার প্রায় দেড় লাখ একর জমিতে আঙুরের চাষ হয়।
নাসিক জেলার একটি শহর নিফাদ। এই শহরে ৬৫,০০০ আঙুর চাষির বাস। এ বছর আঙুর রপ্তানি কমে যাওয়ায় এখানকার চাষিরা চিন্তিত। তাঁরা বলছেন, গত এক দশকে রাজ্য সরকার সমস্যাগুলোর সমাধান করেনি। তার ওপর বাংলাদেশ আঙুর আমদানিতে শুল্ক বাড়ালেও সরকার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তাঁদের হতাশা বেড়েছে। কারণ, ভারতের মোট আঙুর রপ্তানির প্রায় ২৮ শতাংশই বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
মধুকর গাভলি নামে এক আঙুর রপ্তানিকারক বলেন, ‘ভারতীয় আঙুরের প্রধান আমদানিকারক বাংলাদেশ। কিন্তু বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। গত মৌসুমে প্রতি কেজি আঙুরের আমদানি শুল্ক ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে আঙুর রপ্তানি ২০ শতাংশ কমেছে।’
তবে শুধু বিক্রিতেই যে সমস্যা তা নয়, উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাধা আছে। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন বড় সমস্যা। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাস আঙুর তোলার সময়। কিন্তু তখন অনিয়মিত বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে আঙুর বাগানের ক্ষতি হয়।
নিফাদের আরেক আঙুর চাষি অশ্বিন ভোসলে বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কাভার ফার্মিং বা ছাউনি চাষ আমাদের বাগানগুলোকে সুরক্ষা দেয়। কিন্তু প্লাস্টিকের কাভার খুবই ব্যয়বহুল। প্রতি একরে খরচ ৪ লাখ টাকা। এই খরচ বহন করা কঠিন। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছে ৫০ শতাংশের বেশি ভর্তুকি চাই।’
আরেক আঙুর চাষি ভরত শিন্ডে বলেন, ‘জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা কর আরেকটি বড় সমস্যা। সার ও কীটনাশকের ওপর কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ শতাংশ কর আরোপ করেছে। একজন আঙুর চাষি প্রতি বছর একরে ৫০ হাজার রুপি পণ্য ও পরিষেবা কর পরিশোধ করে। এটা উৎপাদন খরচ বাড়ায়। আমরা চাই সরকার পণ্য ও পরিষেবা কর তুলে দিক এবং সার ও কীটনাশক স্বল্পমূল্যে সরবরাহ করুক।’
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিফাদ বিধানসভা আসনের বর্তমান বিধায়ক দিলীপ ব্যাঙ্কার বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যাতে আঙুরের ওপর শুল্ক কমিয়ে আমাদের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করে, সেবিষয়ে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ করেছি।’
এক্ষেত্রে সম্প্রতি পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক তোলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বাংলাদেশ আঙুরের ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক তুলে নেবে।’
এই বিধায়ক আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক কাভারের জন্য চাষিদের ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েও আমি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। সার, বীজ ও কীটনাশক কেনার সময় চাষিদের পণ্য ও পরিষেবা কর মওকুফ করার জন্যও আমরা রাজ্য এবং কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করছি।’
তবে এখানেই সমস্যার শেষ নয়। আঙুর চাষি মনোজ জাধব বলেন, ‘শস্য বিমার নীতিগুলোও কার্যকরী না। বিমা কার্যকর হয় অক্টোবর থেকে, কিন্তু সেপ্টেম্বরে বৃষ্টির কারণে বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সেপ্টেম্বর মাসে হওয়া ক্ষতির জন্য চাষিরা ক্ষতিপূরণ পায় না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির একটি হাসপাতালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান ট্রাম্প। রোববার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত
২ ঘণ্টা আগেচলমান এই বাণিজ্যযুদ্ধে কোন দেশ প্রথম পিছু হটবে, তা বিশ্লেষণ করার জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন কী কী আমদানি করে, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সিএনএন দেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসেবে চীন কীভাবে অন্য দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করে তাদের চাহিদা পূরণ করতে
৩ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সুমিতে রাশিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৩২ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কিয়েভ। রোববার সকালে পাম সানডে (খ্রিষ্টানদের পবিত্র সপ্তাহের প্রথম দিন) উপলক্ষে সুমির একটি চার্চে স্থানীয়রা সমবেত হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই (স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের
৪ ঘণ্টা আগেভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত বিশ্বের সেরা ১০০টি বিমানবন্দরের তালিকায় এশিয়ার আধিপত্য দেখা গেছে। সেরা ১০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ছয়টিই এশিয়ার। তবে এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দুটি বিমানবন্দর স্থান পেলেও বাংলাদেশের কোনো বিমানবন্দর জায়গা করে নিতে পারেনি।
৬ ঘণ্টা আগে