ভারতীয় পার্লামেন্টে এমপির আসনে মিলল টাকার বান্ডিল, তুমুল হট্টগোল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪: ৫৭
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫: ৪২
এক এমপির আসনে নগদ টাকার বান্ডিল পাওয়া নিয়ে পার্লামেন্টে হট্টগোল। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এক কংগ্রেস সংসদ সদস্যের আসন থেকে নগদ টাকা উদ্ধার নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়েছে।

আজ শুক্রবার রাজ্যসভায় এ নিয়ে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। পরে উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় এ ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

নগদ অর্থের বান্ডিলটি পাওয়া গেছে কংগ্রেস সংসদ সদস্য অভিষেক মনু সিংভির আসনে। সিংভি এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আগের দিনের সভায় তাঁর কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ দেন।

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এমপিদের জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সভা স্থগিত হওয়ার পর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আসন পরীক্ষা করার সময় ওই নগদ অর্থ উদ্ধার করেন।

ধনখড় বলেন, ‘আসন নম্বর ২২২ থেকে একটি নগদ বান্ডিল উদ্ধার করা হয়েছে, আসনটি বর্তমানে তেলেঙ্গানার প্রতিনিধিত্বকারী কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভিকে বরাদ্দ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

এর প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, তিনি তদন্তে কোনো আপত্তি করেন না। তবে তদন্ত চলাকালীন চেয়ারম্যানের উচিত ছিল সংসদ সদস্যের নাম গোপন করা।

অভিষেক মনু সিংভি বলেন, তিনি এমন ঘটনার কথা এই প্রথম শুনেছেন। তিনি দাবি করেন, তিনি রাজ্যসভায় যাওয়ার সময় মাত্র ৫০০ রুপি সঙ্গে রাখেন।

অনলাইনে একটি পোস্টে সিংভি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম শুনলাম। কখনো শুনিনি। আমি রাজ্যসভায় গেলে একটাই ৫০০ টাকার নোট নিয়ে যাই। আমি গতকাল ১২টা ৫৭ মিনিটে সভায় ঢুকি এবং ১টায় সভা শেষ হয়। এরপর আমি ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ক্যানটিনে ছিলাম এবং পরে চলে যাই।

তিনি জানান, গতকাল তিনি মোট তিন মিনিট সভায় ছিলেন। আর ৩০ মিনিট ক্যানটিনে কাটান। এ ধরনের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করাটা ‘অদ্ভুত’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই কংগ্রেস এমপি বলেন, ‘অবশ্যই এটার তদন্ত হওয়া উচিত। কীভাবে কেউ যেকোনো আসনে কিছু রেখে দিতে পারে? এর মানে হলো, আমাদের প্রত্যেকের জন্য এমন আসন থাকা উচিত, যেটি তালাবদ্ধ করা যায় এবং চাবি এমপি তাঁর বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন। অন্যথায় কেউ আসনে কিছু রেখে মিথ্যা অভিযোগ আনতে পারে।’

এ ঘটনা নিয়ে শাসক ও বিরোধী পক্ষে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যসভার সদস্য এই ঘটনাকে রাজ্যসভার গৌরবের প্রতি ‘অপমান’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

বিজেপির সদস্য সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, চেয়ারম্যান অপেক্ষা করছিলেন কেউ যেন ওই টাকা দাবি করেন। কিন্তু যখন কেউ তা করেনি, তখন তিনি বিষয়টি সভার সামনে তুলে ধরেন।

রাজ্যসভার আসনে নগদ অর্থ পাওয়ার ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তদন্ত কমিটিতে নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা, রাজ্যসভা সচিবালয়ের প্রতিনিধি এবং সিনিয়র সংসদ সদস্যরা থাকবেন।

উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জানান, ৫০০ রুপির নোটের বান্ডিল ছিল। মোট ৫০ হাজার রুপি গতকাল সন্ধ্যায় সভা স্থগিত হওয়ার পরে উদ্ধার করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইসরায়েলের ‘হৃৎপিণ্ড’ তেল আবিবে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সাগরে নিম্নচাপ, কত দিন বৃষ্টি হতে পারে জানাল আবহাওয়া দপ্তর

শেখ মুজিব ও জিয়াউর রহমান যার যার স্থানে শ্রেষ্ঠ: গয়েশ্বর

র‌্যাব বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি: নূর খান লিটন

হাসিনার আমলে রাশিয়ার সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি, জড়াল টিউলিপের নামও

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত