ভারতীয় জেলেদের সংবাদ সম্মেলন
অনলাইন ডেস্ক
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের জেলেদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে। এমন আক্ষেপই প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের জেলে সম্প্রদায়। তাদের বক্তব্য, আগে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করলে তাদের ফেরত পাঠানো হতো, কিন্তু এখন তাদের আটক করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা ৭৯ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে। তাদের বেশির ভাগই পশ্চিমবঙ্গের ২৪-পরগণা জেলার।
পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবী সংগঠন সুন্দরবন মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের মতে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের উপকূলীয় প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের প্রতি নমনীয় ছিল। সাধারণত, পশ্চিমবঙ্গের কোনো জেলে ‘অবৈধভাবে’ আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমা পার হলে ফিরিয়ে দিত, বিশেষ করে ইলিশ ধরার মৌসুমে। তাদের দাবি, বাংলাদেশের অনেক মৎস্যজীবী নৌকাও নিয়মিত ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করত।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘হাসিনা সরকারের সময়ে, প্রতিবেশী দেশের কোস্টগার্ড (পশ্চিমবঙ্গের) মৎস্যজীবীদের আটক না করে তাদের ফিরে পাঠাত। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নির্দেশ করে যে, দেশটির (বাংলাদেশের) নতুন সরকার আগের মতো কাজ করবে না।’
সতীনাথ পাত্র আরও বলেন, ‘যদি তারা (বাংলাদেশ) আমাদের মৎস্যজীবীদের আটক করতে থাকে, তাহলে আমরা ভারতীয় জলসীমায় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের প্রবেশ সহ্য করব না। আমরা তাদের অনুপ্রবেশের ব্যাপারে ভারতীয় কোস্টগার্ডকে জানাব এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করব।’
একটি সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪-পরগানা থেকে প্রায় আড়াই হাজার মাছ ধরা নৌকা আছে বঙ্গোপসাগরে। গত ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভারতের ৩১ মৎস্যজীবীকে আটক করে এবং দুটি নৌকা মাছ ধরা নৌকা ‘মা বাসন্তী’ ও ‘জয় জগন্নাথ’ জব্দ করে। পরে তাদের পটুয়াখালী কলাপাড়া পুলিশ স্টেশনে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা পটুয়াখালীর একটি জেলে আটক।
একই সপ্তাহে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিমবঙ্গে তিনটি মাছ ধরা নৌকা ‘অভিজিৎ’, ‘অভিজিৎ-৩’ ও ‘নারায়ণ’ জব্দ করে এবং ৪৮ জনকে আটক করে খুলনার মোংলা থানায় হস্তান্তর করে। একটি সূত্র দাবি করেছে, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে ভারতীয় এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সতীনাথ পাত্রের মতে, সাম্প্রতিক আটক এবং আইনগত কার্যক্রম ২০২২ সালে যে ঘটনা ঘটেছিল তা থেকে ভিন্ন। সেবার অবৈধভাবে বাংলাদেশি জলসীমায় প্রবেশ করায় দেশটির কর্তৃপক্ষ ১৩৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক ও ৮টি ট্রলার জব্দ করেছিল। তিনি বলেন, ‘সে সময় মৎস্যজীবীদের একটি বড় দল বাংলাদেশে গভীরভাবে প্রবেশ করেছিল বড় ট্রলার নিয়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় যে পাঁচটি নৌকা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সেগুলো ছোট এবং সেগুলো যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মালিকানাধীন নয়।’
সম্প্রতি বাংলাদেশে আটক হওয়া জেলে অসিত দাসের ছেলে অভিজিৎ দাস বলেন, তাঁর পরিবার প্রায় ৩ দশক ধরে মাছ ধরে আসছে। কিন্তু এবার তাঁর বাবার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা আগে কখনোই ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আমাদের দুটি নৌকা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে। তিনি আমাদের পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী। তাই আমরা এখন এক কঠিন সংকটে আছি এবং তাঁর মুক্তির জন্য সবার আকুল সাহায্য প্রার্থনা করছি।
অভিজিৎ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠান আইন শাস্ত্র অধ্যয়ন করছেন। তিনি জানান, তিনি আরও দুজনকে নিয়ে বাংলাদেশে যাবেন এবং তাঁর বাবা ও আটক অন্যান্যদের জন্য আইনগত সহায়তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।
এর আগে, গত ২২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশে আটক ভারতীয় জেলেদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানা। সে সময় তিনি বলেছিলেন, তাঁর সরকার রাজ্যের মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের জেলেদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে। এমন আক্ষেপই প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের জেলে সম্প্রদায়। তাদের বক্তব্য, আগে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করলে তাদের ফেরত পাঠানো হতো, কিন্তু এখন তাদের আটক করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা ৭৯ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে। তাদের বেশির ভাগই পশ্চিমবঙ্গের ২৪-পরগণা জেলার।
পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবী সংগঠন সুন্দরবন মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের মতে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের উপকূলীয় প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের প্রতি নমনীয় ছিল। সাধারণত, পশ্চিমবঙ্গের কোনো জেলে ‘অবৈধভাবে’ আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমা পার হলে ফিরিয়ে দিত, বিশেষ করে ইলিশ ধরার মৌসুমে। তাদের দাবি, বাংলাদেশের অনেক মৎস্যজীবী নৌকাও নিয়মিত ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করত।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘হাসিনা সরকারের সময়ে, প্রতিবেশী দেশের কোস্টগার্ড (পশ্চিমবঙ্গের) মৎস্যজীবীদের আটক না করে তাদের ফিরে পাঠাত। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নির্দেশ করে যে, দেশটির (বাংলাদেশের) নতুন সরকার আগের মতো কাজ করবে না।’
সতীনাথ পাত্র আরও বলেন, ‘যদি তারা (বাংলাদেশ) আমাদের মৎস্যজীবীদের আটক করতে থাকে, তাহলে আমরা ভারতীয় জলসীমায় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের প্রবেশ সহ্য করব না। আমরা তাদের অনুপ্রবেশের ব্যাপারে ভারতীয় কোস্টগার্ডকে জানাব এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করব।’
একটি সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪-পরগানা থেকে প্রায় আড়াই হাজার মাছ ধরা নৌকা আছে বঙ্গোপসাগরে। গত ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভারতের ৩১ মৎস্যজীবীকে আটক করে এবং দুটি নৌকা মাছ ধরা নৌকা ‘মা বাসন্তী’ ও ‘জয় জগন্নাথ’ জব্দ করে। পরে তাদের পটুয়াখালী কলাপাড়া পুলিশ স্টেশনে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা পটুয়াখালীর একটি জেলে আটক।
একই সপ্তাহে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিমবঙ্গে তিনটি মাছ ধরা নৌকা ‘অভিজিৎ’, ‘অভিজিৎ-৩’ ও ‘নারায়ণ’ জব্দ করে এবং ৪৮ জনকে আটক করে খুলনার মোংলা থানায় হস্তান্তর করে। একটি সূত্র দাবি করেছে, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ধাওয়া খেয়ে ভারতীয় এক জেলে নিখোঁজ হয়েছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সতীনাথ পাত্রের মতে, সাম্প্রতিক আটক এবং আইনগত কার্যক্রম ২০২২ সালে যে ঘটনা ঘটেছিল তা থেকে ভিন্ন। সেবার অবৈধভাবে বাংলাদেশি জলসীমায় প্রবেশ করায় দেশটির কর্তৃপক্ষ ১৩৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে আটক ও ৮টি ট্রলার জব্দ করেছিল। তিনি বলেন, ‘সে সময় মৎস্যজীবীদের একটি বড় দল বাংলাদেশে গভীরভাবে প্রবেশ করেছিল বড় ট্রলার নিয়ে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনায় যে পাঁচটি নৌকা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সেগুলো ছোট এবং সেগুলো যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মালিকানাধীন নয়।’
সম্প্রতি বাংলাদেশে আটক হওয়া জেলে অসিত দাসের ছেলে অভিজিৎ দাস বলেন, তাঁর পরিবার প্রায় ৩ দশক ধরে মাছ ধরে আসছে। কিন্তু এবার তাঁর বাবার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা আগে কখনোই ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘আমার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আমাদের দুটি নৌকা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে। তিনি আমাদের পরিবারের একমাত্র অর্থ উপার্জনকারী। তাই আমরা এখন এক কঠিন সংকটে আছি এবং তাঁর মুক্তির জন্য সবার আকুল সাহায্য প্রার্থনা করছি।
অভিজিৎ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার একটি প্রতিষ্ঠান আইন শাস্ত্র অধ্যয়ন করছেন। তিনি জানান, তিনি আরও দুজনকে নিয়ে বাংলাদেশে যাবেন এবং তাঁর বাবা ও আটক অন্যান্যদের জন্য আইনগত সহায়তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন।
এর আগে, গত ২২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশে আটক ভারতীয় জেলেদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানা। সে সময় তিনি বলেছিলেন, তাঁর সরকার রাজ্যের মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। কারাবন্দী ইমরান খানের স্ত্রী এক বিরল ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভিডিওতে আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান খানের দল পাকিস
১ ঘণ্টা আগেপোল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ‘পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ানোর’ কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এখন রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়া প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই ঘাঁটিতে হামলা চা
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদন থেকে
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিশ্চিত করেছেন, আগামী ২৪ নভেম্বর তাঁর দল রাজধানী ইসলামাবাদে যে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে তা স্থগিত করলে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ‘প্রস্তাব’ এসেছে। পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাকিস্তান সরকার এই প্রস্তাব দিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে