ভারতের রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ঢাকা: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের গঠন করে দেওয়া রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে মন্দির নির্মাণে ভূমি জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে উত্তর প্রদেশের দুইটি বিরোধী রাজনৈতিক দল। গতকাল রোববার তারা এই অভিযোগ আনে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির অভিযোগ আনে। দল দুটির দাবি, এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি রুপিতে একটি জমি কিনে দুই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে কয়েক মিনিট পরই ওই জমিটি ট্রাস্টের কাছে ১৮ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে বিক্রি করে। এই বছরের মার্চে অবৈধ ভূমি হস্তান্তর চুক্তিটি সম্পন্ন হয়।

তবে রাম মন্দির নির্মাণ কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। রায়ে এই ট্রাস্টকে ৭০ একর জমি প্রদান করা হয়। আর ১৫ সদস্যের ট্রাস্টের ১২ জনকেই মনোনীত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সমাজবাদী পার্টির সাবেক এমএলএ এবং উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী পবন পাণ্ডে গতকাল রোববার অযোধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, স্থানীয় কিছু বিজেপি নেতা এবং ট্রাস্ট সদস্যদের যোগসাজশে ভূমি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। জালিয়াতির প্রমাণ হিসেবে কিছু উপস্থাপন করে তিনি জানান, রাম জন্মভূমি সাইটের বাইরে অবস্থিত কিছু জমি জালিয়াতির মাধ্যমে কেনা হয়েছে। একাধিক ধাপে বিক্রি হওয়া জমিটির কাগজপত্রের সবগুলোতেই প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে অযোধ্যার মেয়র এবং ট্রাস্টের একজন স্থানীয় সদস্যের নাম রয়েছে।

পবন পাণ্ডে প্রশ্ন তোলেন, ওই জমিতে কি এমন স্বর্ণ রয়েছে যে কয়েক মিনিটের মাথায় এর দাম দুই কোটি থেকে ১৮ কোটির বেশি হয়ে গেল? এর মানে হলো ১৬ কোটি ৫০ লাখ রুপি লুট করা হয়েছে। এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, কোটি কোটি মানুষ রাম মন্দির ট্রাস্টে অনুদান দিয়েছে। নিজেদের জমানো অর্থ তাঁরা দান করেছে। তাঁদের অর্থ নিয়ে যদি এই করা হয় তাহলে তা ভারতের ১২০ কোটি জনগণকে উপহাস করা হবে।

আলাদা এক সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ তোলেন আম আদমি পার্টির নেতা এবং রাজ্য সভার সদস্য সঞ্জয় সিং। তিনি বলেন, দেবতা রামের নামে দুর্নীতি হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। কিন্তু এসব নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে কোটি কোটি রুপি আত্মসাৎ করা হয়েছে।

তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের রাম মন্দির ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ।

শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পাত রায় একটি বিবৃতিতে বলেন, অভিযোগ (প্রতারণার) বিভ্রান্তিকর। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র এখন পর্যন্ত যে সমস্ত জমি কিনেছে সেগুলি স্বাভাবিক দামের চেয়ে অনেক কম মূল্যে কেনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত