পঞ্চায়েত ভোটের আগে সহিংসতা, কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

ডয়চে ভেলে
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩, ১৫: ৩২
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৩, ১৫: ৪৮

সহিংসতা ও বিতর্ক পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের চিরাচরিত সঙ্গী। এবার ভোটের আগের দিনেও ছবিটা বদলাল না। মুর্শিদাবাদের রাণীনগরে কংগ্রেসের কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

কংগ্রেস প্রার্থীর দাদা অরবিন্দ বাড়ির সামনে দাওয়ায় বসে ছিলেন। সেখানেই তাঁকে বেধড়ক মারা হয়। তাঁর বুকে পেসমেকার ছিল। অরবিন্দের বুকে লাথি মারা হয়। তারপর তাঁকে বাঁচানো য়ায়নি। অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতরা এ কাজ করেছে। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলে প্রার্থী উল্টো অভিয়োগ করেছেন, অরবিন্দ মণ্ডল তাঁকে মারতে গিয়েছিলেন।

এ ঘটনা যখন ঘটল, যখন রাজ্যপাল আনন্দ বোস মুর্শিদাবাদে ছিলেন। ভোটে শান্তি আনার জন্য রাজ্যপাল এবার নিজেই অশান্ত জেলাগুলো ঘুরছেন।  এর আগে উত্তরবঙ্গে গেছেন, ভাঙর ও বাসন্তীতে গেছেন, এবার মুর্শিদাবাদেও গেলেন। তিনি রাজভবনে একটা পিসরুমও খুলেছেন। কেউ সহিংসতার কোনো অভিযোগ করলে তা পাঠানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকারের কাছে।

মুর্শিদাবাদ পৌঁছে মৃত তৃণমূল নেতার বাড়িতেও গেছেন রাজ্যপাল। নবগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী মোজাম্মেল শেখকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যপাল আনন্দ বোস তাঁর বাড়ি গিয়ে পরিবারের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন।

জেলায় জেলায় ঝামেলা
কোচবিহারের দিনহাটায় চারজন বিজেপি কর্মীকে গুলি করে মারার চেষ্টা হয়। তাঁরা প্রাণে বাঁচলেও তাঁদের গায়ে গুলি লেগেছে। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরাই এ কাজ করেছেন। তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।

বিজেপির কর্মী বিজয় বর্মণের বাড়ির সামনে কর্মীরা বসে ছিলেন। তখন বাইকে করে কয়েকজন এসে গুলি চালায়। বোমা ছোড়ে। তাতেই চারজন আহত হন। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বীরভূমের দুবরাজপুরে ২০০ বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। এই জেলায় বোমা বাঁধতে গিয়ে দুজন আহত হয়েছেন। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে তৃণমূলের অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। বাসন্তীতে বিজেপির কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। নদীয়ার ফুলিয়ায় বিজেপির প্রার্থীর বাড়ির সামনে থান, গীতা ও ধুপ রেখে দেওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

ভোটের আগের দিনও জানা য়ায়নি, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না। এর আগে কমিশন ঠিক করেছিল, প্রতি বুথে একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন।

কিন্তু বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো-অর্ডিনেটর বিএসএফের আইজি জানিয়ে দেন, বুথে একজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে রাখা যাবে না। কারণ, এখন পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা, তাতে একজন বুথে থাকলে তার প্রাণ নিয়ে আশঙ্কা থাকছে। কোনো কেন্দ্রে দুটি বুথ থাকলে অন্তত পাঁচজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে সেখানে ডিউটি দিতে হবে। স্পর্শকাতর কেন্দ্র হলে সংখ্যাটা আরো বেশি হবে।

ফলে সব কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না, সেই প্রশ্ন ভোটের আগের দিনও থাকছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত