অনলাইন ডেস্ক
ইরানে আক্রমণের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসলেও সেখান থেকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন, ‘মন্ত্রীরা কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।’ সূত্র জানিয়েছে, ‘ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে মার্কিনিদের সঙ্গে সমন্বয় করার ইচ্ছা ইসরায়েলের আছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে কৌশলগত আলোচনা অব্যাহত।’
ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-১২-এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল মন্ত্রিসভা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তকে ইরানের ওপর হামলা চালানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এককভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীদের অনুমোদন দরকার পড়বে। প্রয়োজন হলে টেলিফোনেও সেই অনুমতি নেওয়া যাবে।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা ছিল। কিন্তু তাঁর সেই সফর এখনো প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পায়নি। মূলত, ইরান আক্রমণের বিষয়টি আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা ছিল গ্যালান্তের।
গত সপ্তাহেই ইয়োভ গ্যালান্তের যুক্তরাষ্ট্র সফর করার কথা ছিল, ইসরায়েলে ইরানি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর সফর আটকে দেন। বলেন, এ বিষয়ে তিনিই আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলবেন। এরই মধ্যে নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলাপ করেছেন টেলিফোনে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কী কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি তেল আবিব বা ওয়াশিংটন।
তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এই আলাপকে ‘সরাসরি’ ও ‘ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাইডেন ও নেতানিয়াহু ইরানি হামলার প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন। তবে এ দুই নেতা কী কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।
এর আগে গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। সেই হামলায় ইসরায়েল কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার না করলেও ইরান দাবি করেছে, তাদের ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তেহরান সে সময় এ-ও দাবি করেছিল যে, গুপ্তহত্যার শিকার হামাসের প্রয়াত প্রধান ইসমাইল হানিয়া, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
এরপর, আলোচনা শুরু হয় যে ইসরায়েল হয়তো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাবে। কিন্তু বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের সায় নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরানকে এই হামলার মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে। বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে কি না। জবাবে বাইডেন বলেছিলেন, ‘উত্তর হলো, না।’ পাশাপাশি বাইডেন জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল স্থাপনায় হামলা চালাতে চায়, সেটাতেও সায় দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েলের মিত্ররা মনে করেন, ‘ইসরায়েল সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ তবে এই সংবাদমাধ্যমকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে ইসরায়েলের পরিকল্পনা এখনো অনেক আগ্রাসী।
ইরানে আক্রমণের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসলেও সেখান থেকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ইসরায়েলি কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন, ‘মন্ত্রীরা কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।’ সূত্র জানিয়েছে, ‘ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে মার্কিনিদের সঙ্গে সমন্বয় করার ইচ্ছা ইসরায়েলের আছে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে কৌশলগত আলোচনা অব্যাহত।’
ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-১২-এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল মন্ত্রিসভা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তকে ইরানের ওপর হামলা চালানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এককভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীদের অনুমোদন দরকার পড়বে। প্রয়োজন হলে টেলিফোনেও সেই অনুমতি নেওয়া যাবে।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা ছিল। কিন্তু তাঁর সেই সফর এখনো প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পায়নি। মূলত, ইরান আক্রমণের বিষয়টি আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা ছিল গ্যালান্তের।
গত সপ্তাহেই ইয়োভ গ্যালান্তের যুক্তরাষ্ট্র সফর করার কথা ছিল, ইসরায়েলে ইরানি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাঁর সফর আটকে দেন। বলেন, এ বিষয়ে তিনিই আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলবেন। এরই মধ্যে নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলাপ করেছেন টেলিফোনে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কী কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি তেল আবিব বা ওয়াশিংটন।
তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এই আলাপকে ‘সরাসরি’ ও ‘ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাইডেন ও নেতানিয়াহু ইরানি হামলার প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন। তবে এ দুই নেতা কী কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।
এর আগে গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। সেই হামলায় ইসরায়েল কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার না করলেও ইরান দাবি করেছে, তাদের ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তেহরান সে সময় এ-ও দাবি করেছিল যে, গুপ্তহত্যার শিকার হামাসের প্রয়াত প্রধান ইসমাইল হানিয়া, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
এরপর, আলোচনা শুরু হয় যে ইসরায়েল হয়তো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাবে। কিন্তু বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের সায় নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইরানকে এই হামলার মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে। বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে কি না। জবাবে বাইডেন বলেছিলেন, ‘উত্তর হলো, না।’ পাশাপাশি বাইডেন জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল স্থাপনায় হামলা চালাতে চায়, সেটাতেও সায় দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, ইসরায়েলের মিত্ররা মনে করেন, ‘ইসরায়েল সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ তবে এই সংবাদমাধ্যমকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে ইসরায়েলের পরিকল্পনা এখনো অনেক আগ্রাসী।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাস করা ৯৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাঁর ৬০ বছর বয়সী স্ত্রীকে অন্তত দুবার হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে একা ছেড়ে যেতে চাননি বলেই ওই হত্যাচেষ্টা চালান বৃদ্ধ স্বামী।
২ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
৩ ঘণ্টা আগেস্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৪ ঘণ্টা আগে