অনলাইন ডেস্ক
গাজায় একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দিবিনিময় নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় আলাপ চলছে। তিন দফায় একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। সাম্প্রতিক চুক্তির একটি খসড়া লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের হাতে এসেছে।
মূলত তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে। খসড়া প্রস্তাবে কেবল বন্দী বা জিম্মি বিনিময়ের কথাই উল্লেখ করা হয়নি, গাজাসহ এই অঞ্চলে একটি শান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
আল-মায়েদিনের প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে উঠে যাবে। এই সময়ে দৈনিক অন্তত আট ঘণ্টা ইসরায়েলি যুদ্ধ বা পরিবহন কোনো বিমানই গাজার আকাশসীমায় আসবে না। আর যেদিন যেদিন বন্দী-জিম্মি বিনিময় হবে, সে দিন গাজায় অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়বে না।
যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা মধ্যাঞ্চল দিয়ে চলে যাওয়া সালাহউদ্দিন স্ট্রিটের সমান্তরালে থাকা আল-রশিদ স্ট্রিট থেকে সরে গিয়ে আরও পূর্ব দিকে উঠে যাবে। একই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করবে।
প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী সেন্ট্রাল গাজা থেকে সরে গিয়ে গাজা-ইসরায়েল বিভক্তকারী সীমানায় চলে যাবে। এই সময়েও বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে। এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপেই গাজায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও জ্বালানি প্রবেশ করতে থাকবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস এখন পর্যন্ত জীবিত থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। একজন জিম্মির বিপরীতে ২০ জন করে ইসরায়েলে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে এবং এই মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েল আর কখনোই গ্রেপ্তার করবে না, সেই নিশ্চয়তাও দিতে হবে।
তবে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ইসরায়েলকে ৪০ জন করে ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং প্রতি তিন দিন পরপর হামাস তিনজন করে মুক্তি দেবে।
এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির ১৪তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস সেনাসহ অন্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে উন্নত চিকিৎসার জন্য। প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে হামাস ও ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে যাতে এই অঞ্চলকে শান্ত রাখা যায়। প্রথম ধাপের প্রতিটি পর্যায়ে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ সবাই গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত করবে।
প্রস্তাবিত খসড়া অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠিত হবে, যা ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে। এ ছাড়া, বাস্তুচ্যুতদের জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও বলা হয়েছে খসড়ায়।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ বিস্তৃত হবে ৪২ দিন। সেখানে উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সাধারণ ভিত্তিকে একমত হবে। তবে এই ধাপে মূলত, স্থিতাবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি বিধ্বস্ত গাজা গড়ে তোলার তুলনামূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।
তৃতীয় ধাপও বিস্তৃত হবে ৪২ দিন। এই ধাপে উভয় পক্ষের হাতে থাকা নিহত যোদ্ধা বা সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োগ শুরু করা হবে। এই সময় থেকেই ফিলিস্তিনি পক্ষগুলো (হামাসসহ অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো) গাজায় কোনো সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকবে।
অধিকন্তু, ফিলিস্তিনি পক্ষগুলো সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য কোনো সরঞ্জাম, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপাদান আমদানি করবে না। আল-মায়েদিনের প্রাপ্ত নথি অনুসারে, কাতার, মিসর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির গ্যারান্টার।
গাজায় একটি কার্যকর যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দিবিনিময় নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় আলাপ চলছে। তিন দফায় একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই পক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চালাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। সাম্প্রতিক চুক্তির একটি খসড়া লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিনের হাতে এসেছে।
মূলত তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে। খসড়া প্রস্তাবে কেবল বন্দী বা জিম্মি বিনিময়ের কথাই উল্লেখ করা হয়নি, গাজাসহ এই অঞ্চলে একটি শান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
আল-মায়েদিনের প্রতিবেদন অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে উঠে যাবে। এই সময়ে দৈনিক অন্তত আট ঘণ্টা ইসরায়েলি যুদ্ধ বা পরিবহন কোনো বিমানই গাজার আকাশসীমায় আসবে না। আর যেদিন যেদিন বন্দী-জিম্মি বিনিময় হবে, সে দিন গাজায় অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়বে না।
যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা মধ্যাঞ্চল দিয়ে চলে যাওয়া সালাহউদ্দিন স্ট্রিটের সমান্তরালে থাকা আল-রশিদ স্ট্রিট থেকে সরে গিয়ে আরও পূর্ব দিকে উঠে যাবে। একই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসীকে তাদের নিজ বাড়িতে ফেরা শুরু করবে।
প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং এই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনী সেন্ট্রাল গাজা থেকে সরে গিয়ে গাজা-ইসরায়েল বিভক্তকারী সীমানায় চলে যাবে। এই সময়েও বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে। এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপেই গাজায় পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও জ্বালানি প্রবেশ করতে থাকবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস এখন পর্যন্ত জীবিত থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। একজন জিম্মির বিপরীতে ২০ জন করে ইসরায়েলে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে এবং এই মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েল আর কখনোই গ্রেপ্তার করবে না, সেই নিশ্চয়তাও দিতে হবে।
তবে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ইসরায়েলকে ৪০ জন করে ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে হবে। খসড়া প্রস্তাব অনুসারে, হামাস যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে তিনজন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং প্রতি তিন দিন পরপর হামাস তিনজন করে মুক্তি দেবে।
এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির ১৪তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস সেনাসহ অন্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে উন্নত চিকিৎসার জন্য। প্রথম ধাপের ১৬তম দিনে হামাস ও ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে যাতে এই অঞ্চলকে শান্ত রাখা যায়। প্রথম ধাপের প্রতিটি পর্যায়ে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ সবাই গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত করবে।
প্রস্তাবিত খসড়া অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠিত হবে, যা ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে। এ ছাড়া, বাস্তুচ্যুতদের জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও বলা হয়েছে খসড়ায়।
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ বিস্তৃত হবে ৪২ দিন। সেখানে উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সাধারণ ভিত্তিকে একমত হবে। তবে এই ধাপে মূলত, স্থিতাবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি বিধ্বস্ত গাজা গড়ে তোলার তুলনামূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আয়োজন নিশ্চিত করা হবে।
তৃতীয় ধাপও বিস্তৃত হবে ৪২ দিন। এই ধাপে উভয় পক্ষের হাতে থাকা নিহত যোদ্ধা বা সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োগ শুরু করা হবে। এই সময় থেকেই ফিলিস্তিনি পক্ষগুলো (হামাসসহ অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো) গাজায় কোনো সামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলা থেকে বিরত থাকবে।
অধিকন্তু, ফিলিস্তিনি পক্ষগুলো সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য কোনো সরঞ্জাম, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপাদান আমদানি করবে না। আল-মায়েদিনের প্রাপ্ত নথি অনুসারে, কাতার, মিসর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির গ্যারান্টার।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বসবাস করা ৯৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তাঁর ৬০ বছর বয়সী স্ত্রীকে অন্তত দুবার হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে একা ছেড়ে যেতে চাননি বলেই ওই হত্যাচেষ্টা চালান বৃদ্ধ স্বামী।
৪ ঘণ্টা আগেআগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন নির্বাচন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, সেই দিনটি হচ্ছে নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই নিয়ম যে চার বছর পরপর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা অবশ্যই নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
৫ ঘণ্টা আগেস্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ বুধবার রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেভারতে আইনি জটিলতার মুখে পড়েছে উইকিপিডিয়া। দেশটির বৃহত্তম সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই) সংস্থাটির বিরুদ্ধে ২ কোটি রুপির (প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৪ মার্কিন ডলার) মানহানি মামলা করেছে। উইকিপিডিয়ার পরিচালনা প্রতিষ্ঠান উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেছে এএনআই।
৬ ঘণ্টা আগে