গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। গাজার ঘনবসতিপূর্ণ রাফাহ অঞ্চলে স্থল অভিযান বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আরও আইনি চাপ সৃষ্টি করতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর রাফাহে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে ইসরায়েল অভিযানের উদ্যোগ নিচ্ছে কি না, তা দ্রুত জানতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারির শেষ দিকে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে ইসরায়েলকে নির্দেশ দেয় আইসিজে। এরপরও সেখানে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এ ছাড়া তাদের বাহিনী ঘনবসতিপূর্ণ রাফাহ শহরে বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইসিজেকে তাঁর অন্তর্বর্তী আদেশ পুনর্বিবেচনা এবং একটি কঠোর আদেশ জারির করতে অনুরোধ জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, অন্তর্বর্তী আদেশের পর থেকে গাজা পরিস্থিতির ওপর আদালতের জরুরি মনোযোগ প্রয়োজন। 

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণে ইইউর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। এ নিয়ে গতকাল এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। সেখানে তিনি লিখেছেন, গাজার রাফাহে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে কিছু করা হচ্ছে কি না, পর্যবেক্ষণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তাঁর দেশ ও আয়ারল্যান্ড। 

অপরদিকে, ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি ও গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মিসরের কায়রোতে একটি আলোচনা চলছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে মধ্যস্থতা করছে কাতার ও মিসরের কর্মকর্তারা। বৈঠকের পর কায়রোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলোচনা ইতিবাচক। তবে এই আলোচনা আরও তিন দিন চলতে পারে। 

কায়রোয় যখন আলোচনা হচ্ছে তখন গাজায় হামলা অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নিহত হয়েছে ১০৩ জন। এ নিয়ে ২৮ হাজার ৫৭৬ জন নিহত হলো। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় এ পর্যন্ত ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। যদিও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে চাপা পড়ে আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত