অনলাইন ডেস্ক
গাজায় অনেক ফ্রন্টেই যুদ্ধ চলছে। তার মধ্যে একটি হলো ত্রাণ পৌঁছানো। কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের বিরুদ্ধে রীতিমতো অবস্থান করছিল কয়েকজন ইসরায়েলি। এরপর ত্রাণের গাড়ির গাজায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে কাজ করছে আরেক দল ইসরায়েলি। গাজায় ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো এবং আটকানো নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপের প্রচেষ্টা এখনো চলছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সম্প্রতি গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া লরি অবরুদ্ধ করে ত্রাণসামগ্রী রাস্তায় ফেলে দেওয়ার ভিডিও ঘুরছে সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে। ইসরায়েলিরা এসব ত্রাণ গাজায় পৌঁছাতে দেবে না। অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ইহুদি বসতি স্থাপনকারীসহ ইসরায়েলের ডানপন্থী কর্মীরাই এসব ভিডিও বেশি আপলোড করছে। মাটিতে খাবার ছুড়ে ফেলা এবং খাবারের প্যাকেট পায়ে মারিয়ে দিতে দেখা গেছে এসব ভিডিওতে।
ত্রাণের লরি আটকে দেওয়া এক ইসরায়েলি বলেন, ‘সাহায্য বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ; আর এটাই আমাদের জয়ের একমাত্র পথ। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায়।’
অনেক ইসরায়েলির যুক্তি, জিম্মিদের আটকে রাখা গাজাবাসীর কোনো সাহায্য পাওয়াই উচিত নয়। তাদের সহায়তা প্রদান কেবল যুদ্ধকেই দীর্ঘায়িত করবে।
ত্রাণের লরি আটকে ইসরায়েলিদের নেচে নেচে উদ্যাপন করতে দেখা গেছে একটি ভিডিওতে। আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, ত্রাণের লরিতে আগুন দিয়েছে ইসরায়েলিরা। অন্য এক ভিডিওতে দেখানো হয়েছে যে ইসরায়েলিরা জেরুজালেমে ত্রাণের লরি থামাচ্ছে এবং চালকদের কাগজপত্র দেখাতে দাবি করছে, তারা গাজায় সাহায্য পরিবহন করছে না। ইসরায়েলিদের মুখ ঢাকা ছিল না বলে মনে হচ্ছিল, তাদের এই কাজের জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে না।
পশ্চিম তীরে গাজার উদ্দেশে পণ্য বহনকারী কমপক্ষে দুই চালককে তাঁদের গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি লরিচালক আদেল আমরো বলেন, ‘আমি ক্রসিং পয়েন্টে পৌঁছাতে ভয় পাচ্ছি। আমি আমার জীবনের ভয় করছি।’
তবে এ রকম কয়েকটি ভিডিও প্রকাশের পর কিছু ইসরায়েলি ত্রাণের গাড়ি পৌঁছাতে সাহায্য করছেন। তাঁরা সামাজিক প্ল্যাটফর্মে তাঁদের বিরোধীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং মূল ক্রসিং পয়েন্টে উপস্থিত আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
তারকুমিয়া চেকপয়েন্টে ত্রাণের লরিগুলো দক্ষিণ-পশ্চিম তীর থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করে। সেখানে স্ট্যান্ডিং টুগেদার নামের গ্রুপের সদস্যরা এখন নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে। গ্রুপটি ইসরায়েলের ইহুদি এবং আরবদের সংগঠিত করেছে। স্ট্যান্ডিং টুগেদারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম সুফ পাতিশি বলেছেন, গাজার মানুষ ক্ষুধার্ত এবং গাজায় সাহায্য পৌঁছানো উচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের এ কথা উচ্চকণ্ঠে বলা উচিত যে এ ধরনের কাজের (ত্রাণের লরি লুট) বিরোধিতা করে ইসরায়েল। ক্ষুধায় মানুষের মৃত্যু হতে না দেওয়া তো খুব বড় কোনো চাওয়া নয়।’
অসহায়ের মতো সাত মাস ধরে যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করার পর হাইফা থেকে তারকুমিয়ায় এসেছেন নাসের ওদাত নামের এক ইসরায়েলি আরব। স্ট্যান্ডিং টুগেদারের সঙ্গে যোগ দিয়ে নাসের জানান, এখন আর তিনি নিজেকে অসহায় ভাবেন না। ক্ষুধার্তদের সাহায্য করতে পারছেন তিনি।
ডানপন্থী ইসরায়েলিরা এরপরও ত্রাণের লরি আটকাতে আসলেও তাদের তুলনায় সুফ পাতিশির স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। দুই গ্রুপ লিপ্ত হয়েছিল তর্কে। কাছেই দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। কোনো সংঘর্ষ ঘটলে সামলানোর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা।
ত্রাণের লরি লুট করা থামাতে পুলিশ কিছুই করছে না বলে অভিযোগ স্ট্যান্ডিং টুগেদারের সদস্যদের। তাঁরা আরও বলেন, তাঁদের হাতে প্রমাণ আছে, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীরা। লরিতে আক্রমণ করা গ্রুপগুলোও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাহায্য পাচ্ছে।
গাজায় অনেক ফ্রন্টেই যুদ্ধ চলছে। তার মধ্যে একটি হলো ত্রাণ পৌঁছানো। কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের বিরুদ্ধে রীতিমতো অবস্থান করছিল কয়েকজন ইসরায়েলি। এরপর ত্রাণের গাড়ির গাজায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে কাজ করছে আরেক দল ইসরায়েলি। গাজায় ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো এবং আটকানো নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপের প্রচেষ্টা এখনো চলছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সম্প্রতি গাজার উদ্দেশে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া লরি অবরুদ্ধ করে ত্রাণসামগ্রী রাস্তায় ফেলে দেওয়ার ভিডিও ঘুরছে সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে। ইসরায়েলিরা এসব ত্রাণ গাজায় পৌঁছাতে দেবে না। অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ইহুদি বসতি স্থাপনকারীসহ ইসরায়েলের ডানপন্থী কর্মীরাই এসব ভিডিও বেশি আপলোড করছে। মাটিতে খাবার ছুড়ে ফেলা এবং খাবারের প্যাকেট পায়ে মারিয়ে দিতে দেখা গেছে এসব ভিডিওতে।
ত্রাণের লরি আটকে দেওয়া এক ইসরায়েলি বলেন, ‘সাহায্য বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ; আর এটাই আমাদের জয়ের একমাত্র পথ। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায়।’
অনেক ইসরায়েলির যুক্তি, জিম্মিদের আটকে রাখা গাজাবাসীর কোনো সাহায্য পাওয়াই উচিত নয়। তাদের সহায়তা প্রদান কেবল যুদ্ধকেই দীর্ঘায়িত করবে।
ত্রাণের লরি আটকে ইসরায়েলিদের নেচে নেচে উদ্যাপন করতে দেখা গেছে একটি ভিডিওতে। আরেক ভিডিওতে দেখা গেছে, ত্রাণের লরিতে আগুন দিয়েছে ইসরায়েলিরা। অন্য এক ভিডিওতে দেখানো হয়েছে যে ইসরায়েলিরা জেরুজালেমে ত্রাণের লরি থামাচ্ছে এবং চালকদের কাগজপত্র দেখাতে দাবি করছে, তারা গাজায় সাহায্য পরিবহন করছে না। ইসরায়েলিদের মুখ ঢাকা ছিল না বলে মনে হচ্ছিল, তাদের এই কাজের জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে না।
পশ্চিম তীরে গাজার উদ্দেশে পণ্য বহনকারী কমপক্ষে দুই চালককে তাঁদের গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে মারধর করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি লরিচালক আদেল আমরো বলেন, ‘আমি ক্রসিং পয়েন্টে পৌঁছাতে ভয় পাচ্ছি। আমি আমার জীবনের ভয় করছি।’
তবে এ রকম কয়েকটি ভিডিও প্রকাশের পর কিছু ইসরায়েলি ত্রাণের গাড়ি পৌঁছাতে সাহায্য করছেন। তাঁরা সামাজিক প্ল্যাটফর্মে তাঁদের বিরোধীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং মূল ক্রসিং পয়েন্টে উপস্থিত আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
তারকুমিয়া চেকপয়েন্টে ত্রাণের লরিগুলো দক্ষিণ-পশ্চিম তীর থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করে। সেখানে স্ট্যান্ডিং টুগেদার নামের গ্রুপের সদস্যরা এখন নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে। গ্রুপটি ইসরায়েলের ইহুদি এবং আরবদের সংগঠিত করেছে। স্ট্যান্ডিং টুগেদারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম সুফ পাতিশি বলেছেন, গাজার মানুষ ক্ষুধার্ত এবং গাজায় সাহায্য পৌঁছানো উচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের এ কথা উচ্চকণ্ঠে বলা উচিত যে এ ধরনের কাজের (ত্রাণের লরি লুট) বিরোধিতা করে ইসরায়েল। ক্ষুধায় মানুষের মৃত্যু হতে না দেওয়া তো খুব বড় কোনো চাওয়া নয়।’
অসহায়ের মতো সাত মাস ধরে যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করার পর হাইফা থেকে তারকুমিয়ায় এসেছেন নাসের ওদাত নামের এক ইসরায়েলি আরব। স্ট্যান্ডিং টুগেদারের সঙ্গে যোগ দিয়ে নাসের জানান, এখন আর তিনি নিজেকে অসহায় ভাবেন না। ক্ষুধার্তদের সাহায্য করতে পারছেন তিনি।
ডানপন্থী ইসরায়েলিরা এরপরও ত্রাণের লরি আটকাতে আসলেও তাদের তুলনায় সুফ পাতিশির স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। দুই গ্রুপ লিপ্ত হয়েছিল তর্কে। কাছেই দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। কোনো সংঘর্ষ ঘটলে সামলানোর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা।
ত্রাণের লরি লুট করা থামাতে পুলিশ কিছুই করছে না বলে অভিযোগ স্ট্যান্ডিং টুগেদারের সদস্যদের। তাঁরা আরও বলেন, তাঁদের হাতে প্রমাণ আছে, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীরা। লরিতে আক্রমণ করা গ্রুপগুলোও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাহায্য পাচ্ছে।
আরজি কর-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কোনো প্রভাব পড়েনি রাজ্যটির ছয় বিধানসভার উপনির্বাচনে। ছয় আসনেই ভূমিধস জয় পেয়েছে মমতার তৃণমূল।
১ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের কারণে ইসরায়েল, লেবানন, সিরিয়া ও ইরানের আকাশসীমা দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনায় পাইলটদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে বলে সতর্ক করেছে ফ্লাইট অপারেশনস গ্রুপ। সংস্থাটি বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় নিরাপদ। তবে আন্তর্জাতিক...
১ ঘণ্টা আগেলেবাননের উদীয়মান নারী ফুটবলার সেলিন হায়দার। কয়েকদিন আগেই জাতীয় নারী ফুটবল দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। তার স্বপ্ন ছিল আসন্ন ওয়েস্ট এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে লেবাননের জার্সি গায়ে মাঠে নামার। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন অনেক দূরে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়ে এখন কোমায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন সেলিন।
১ ঘণ্টা আগেভারতের আলোচিত গান্ধী পরিবারের অন্যতম উত্তরাধিকার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। এই প্রথম তিনি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এর জীবনের প্রথম নির্বাচনেই বাজিমাত করতে যাচ্ছেন তিনি। ভাই রাহুল গান্ধীর ছেড়ে দেওয়া ওয়ানাদ আসনে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৯০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন প্রিয়াঙ্কা
৩ ঘণ্টা আগে