গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে প্রায় ২৮ হাজার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫: ৪৪
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ২৭

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা নিহত হচ্ছে শতাধিক ফিলিস্তিনি। সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ হাজারে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে টানা চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯৪৭। অর্থাৎ প্রায় ২৮ হাজার। এ ছাড়া এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬৭ হাজার ৪৫৯ জন।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এই আপডেট দেওয়ার আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১০৭ ফিলিস্তিন এবং আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৪২ জন। তবে হতাহতদের মধ্যে কতজন বেসামরিক আর কতজন হামাসের সদস্য তা স্পষ্ট করা হয়নি। 

এদিকে, ইসরায়েলকে কড়া ধমক দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে, তার জবাবে দেশটি গাজায় যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা মাত্রা ছাড়িয়েছে। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও বলেছিলেন, গাজাবাসীকে অমানবিক অবস্থায় ঠেলে দেওয়ার লাইসেন্স ইসরায়েলের নেই। 

বাইডেন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আপনি জানেন—গাজায়, গাজা উপত্যকায় (হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার বিপরীতে ইসরায়েলি) প্রতিক্রিয়া মাত্রা ছাড়িয়েছে।’ এ সময় তিনি যোগ করেন, তিনি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পেতে ইসরায়েলকে কঠোরভাবে চাপ দিচ্ছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতেও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও বলেন, ‘আমি জিম্মিদের মুক্ত ও যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এখন কঠোরভাবে চাপ দিচ্ছি। অনেক নিরপরাধ মানুষ আছে, যারা ক্ষুধার্ত, অনেক নিরপরাধ মানুষ যারা কষ্টে আছে এবং মারা যাচ্ছে—এটি বন্ধ করতে হবে।’ 

এর আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বুধবার তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ৭ অক্টোবর হামাস যা করেছে, সেটাকে ‘অন্যদের অমানবিক পরিস্থিতিতে’ ঠেলে দেওয়ার লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ ইসরায়েলের নেই। 

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘৭ অক্টোবর ইসরায়েলিদের সঙ্গে সবচেয়ে ভয়ংকর উপায়ে অমানবিক আচরণ করা হয়েছিল। সেদিনের পর থেকে (হামাসের হাতে বন্দী) জিম্মিরা প্রতিদিন অমানবিক আচরণের শিকার হয়েছে। তবে এটি কখনোই অন্যদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করার লাইসেন্স হতে পারে না।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত