অনলাইন ডেস্ক
সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা দমনের নামে দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে মানুষ। সম্প্রতি প্রদেশটিতে লাখ লাখ মানুষের বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে। কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ জোরালো হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকারকর্মী এবং ব্যবসায়ী নেতারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। এতে ভঙ্গুর অর্থনীতি আরও সংকটের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। বিষয়টি এরই মধ্যে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
এ নিয়ে অবশেষে রোববার (১৮ আগস্ট) মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) প্রতিমন্ত্রী শাজা ফাতিমা খাজা। তিনি পাকিস্তানের এআরওয়াই টিভিকে জানিয়েছেন, ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণ হলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)–এর অত্যধিক ব্যবহার।
রোববার ইসলামাবাদে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ বা ইচ্ছাকৃতভাবে ধীর গতির করা হয়নি। তবে ভিপিএন–এর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে ইন্টারনেটের গতি প্রভাবিত হয়েছে।
ফাতিমা খাজা এর ব্যাখ্যায় বলেন, যখন নির্দিষ্ট অ্যাপের পরিষেবা ব্লক করা হয়েছিল, লোকেরা তখন ভিপিএন ব্যবহার করতে শুরু করেছিল। এটি (ভিপিএন) স্থানীয় ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোকে বাইপাস করে এবং ইন্টারনেটের গতি ধীর করে দেয়। তিনি যোগ করেন, ভিপিএনের ব্যবহার মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও কমিয়ে দেয়।
তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, সরকার সমস্যাটি সমাধান করতে এবং পাকিস্তানে ইন্টারনেট পরিষেবা উন্নত করতে কাজ করছে। শাজা ফাতিমা বলেন, অর্থনীতির ডিজিটালাইজেশনের জন্য একটি ডিজিটাইজেশন কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
সরকারের তরফে ইন্টারনেট বন্ধ বা ধীর গতির করার খবর প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইন্টারনেট ট্রাফিকের ওপর অতিরিক্ত চাপের কারণে ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।
একটি আইটি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, গত জুলাই থেকেই পাকিস্তানে ইন্টারনেটের গতি ৪০ শতাংশ কমেছে। যেখানে লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপে নথি, ছবি এবং ভয়েস নোট ব্যবহার করেন, তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।
ডিজিটাল অধিকার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকার একটি ফায়ারওয়াল পরীক্ষা করছে। এটি এমন এক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিকের ওপর নজর রাখতে এবং অনলাইনে মানুষের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেও ব্যবহার করা যায়।
ডিজিটাল অধিকার বিশেষজ্ঞ এবং অধিকার কর্মী উসামা খিলজি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সরকার একটি জাতীয় ফায়ারওয়াল এবং কনটেন্ট ফিল্টারিং সিস্টেম স্থাপনের কারণে ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো নজরদারি বাড়ানো এবং রাজনৈতিক ভিন্নমত, বিশেষ করে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপকারী নিরাপত্তা সংস্থার সমালোচনামূলক কনটেন্ট সেন্সর করা।
এদিকে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি (পিটিএ) দেশব্যাপী ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে একটি নতুন নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপটি এসেছে চলতি বছর দেশে ভিপিএনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার পর। প্রাথমিকভাবে এক্স (আগের টুইটার) প্ল্যাটফর্ম ব্লক করার পর এটি হয়।
টপ টেন ভিপিএনের তথ্য অনুসারে, এক্স ব্লক করার দুই দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভিপিএনের চাহিদা ১৩১ শতাংশ বাড়ে। ভিপিএন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক জানিয়েছে, এক্স ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পরে পাকিস্তানে তাদের নতুন ব্যবহারকারী ৩০০–৪০০ শতাংশ বেড়েছে।
সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা দমনের নামে দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে মানুষ। সম্প্রতি প্রদেশটিতে লাখ লাখ মানুষের বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে। কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ জোরালো হচ্ছে। এর মধ্যে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকারকর্মী এবং ব্যবসায়ী নেতারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। এতে ভঙ্গুর অর্থনীতি আরও সংকটের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। বিষয়টি এরই মধ্যে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
এ নিয়ে অবশেষে রোববার (১৮ আগস্ট) মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) প্রতিমন্ত্রী শাজা ফাতিমা খাজা। তিনি পাকিস্তানের এআরওয়াই টিভিকে জানিয়েছেন, ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণ হলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন)–এর অত্যধিক ব্যবহার।
রোববার ইসলামাবাদে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ বা ইচ্ছাকৃতভাবে ধীর গতির করা হয়নি। তবে ভিপিএন–এর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে ইন্টারনেটের গতি প্রভাবিত হয়েছে।
ফাতিমা খাজা এর ব্যাখ্যায় বলেন, যখন নির্দিষ্ট অ্যাপের পরিষেবা ব্লক করা হয়েছিল, লোকেরা তখন ভিপিএন ব্যবহার করতে শুরু করেছিল। এটি (ভিপিএন) স্থানীয় ইন্টারনেট পরিষেবাগুলোকে বাইপাস করে এবং ইন্টারনেটের গতি ধীর করে দেয়। তিনি যোগ করেন, ভিপিএনের ব্যবহার মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও কমিয়ে দেয়।
তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, সরকার সমস্যাটি সমাধান করতে এবং পাকিস্তানে ইন্টারনেট পরিষেবা উন্নত করতে কাজ করছে। শাজা ফাতিমা বলেন, অর্থনীতির ডিজিটালাইজেশনের জন্য একটি ডিজিটাইজেশন কমিশন গঠন করা হচ্ছে।
সরকারের তরফে ইন্টারনেট বন্ধ বা ধীর গতির করার খবর প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইন্টারনেট ট্রাফিকের ওপর অতিরিক্ত চাপের কারণে ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।
একটি আইটি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, গত জুলাই থেকেই পাকিস্তানে ইন্টারনেটের গতি ৪০ শতাংশ কমেছে। যেখানে লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপে নথি, ছবি এবং ভয়েস নোট ব্যবহার করেন, তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।
ডিজিটাল অধিকার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকার একটি ফায়ারওয়াল পরীক্ষা করছে। এটি এমন এক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিকের ওপর নজর রাখতে এবং অনলাইনে মানুষের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেও ব্যবহার করা যায়।
ডিজিটাল অধিকার বিশেষজ্ঞ এবং অধিকার কর্মী উসামা খিলজি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সরকার একটি জাতীয় ফায়ারওয়াল এবং কনটেন্ট ফিল্টারিং সিস্টেম স্থাপনের কারণে ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো নজরদারি বাড়ানো এবং রাজনৈতিক ভিন্নমত, বিশেষ করে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপকারী নিরাপত্তা সংস্থার সমালোচনামূলক কনটেন্ট সেন্সর করা।
এদিকে পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি (পিটিএ) দেশব্যাপী ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে একটি নতুন নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপটি এসেছে চলতি বছর দেশে ভিপিএনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার পর। প্রাথমিকভাবে এক্স (আগের টুইটার) প্ল্যাটফর্ম ব্লক করার পর এটি হয়।
টপ টেন ভিপিএনের তথ্য অনুসারে, এক্স ব্লক করার দুই দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভিপিএনের চাহিদা ১৩১ শতাংশ বাড়ে। ভিপিএন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সার্ফশার্ক জানিয়েছে, এক্স ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার পরে পাকিস্তানে তাদের নতুন ব্যবহারকারী ৩০০–৪০০ শতাংশ বেড়েছে।
সৌদি আরবের রিয়াদে শেষ হয়েছে এবারের ‘ফ্যালকনস ক্লাব মেলা’। বিখ্যাত এই বাজপাখি মেলায় এবার ৬০ লাখ সৌদি রিয়ালের (১৯ কোটি টাকার বেশি) বেচাকেনা হয়েছে বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গালফ নিউজ।
১ ঘণ্টা আগেগত আগস্টে ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এখনো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অস্থির অবস্থায় রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সব কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া। এর প্রভাবে ভারতের চিকিৎসা পর্যটন খাতে নেমেছে
৩ ঘণ্টা আগেওই প্রবাসীকে পাবলিক প্রসিকিউশনের কাছে পাঠিয়েছে কুয়েতি পুলিশ। ওই ব্যক্তির দাবি, ১৯৮৮ সালে এক কুয়েতি নারীর কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে তিনি নাগরিকত্ব নেন। তিনি নিজেকে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু দাবি করেন এবং ওই নারী তাঁকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, ওই নারী এখন বেঁচে নেই।
৫ ঘণ্টা আগেশনিবার রাত ১০টা নাগাদ অন্তত ১০-১২ জন প্রথম বর্ষের ছাত্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এরপর পরিচয় দিতে বলা হয়। অনিল দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।
৯ ঘণ্টা আগে