যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভ্রমণে হামাসের আমন্ত্রণের জবাবে যা বললেন মাস্ক

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬: ৪৬
Thumbnail image

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় অবরুদ্ধ ও বিধ্বস্ত গাজা সফর করতে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে আহ্বান জানিয়েছিলেন হামাসের এক শীর্ষ নেতা। তবে ইলন মাস্ক সম্প্রতি সেই প্রস্তাব নাকচ করেছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক ব্যবহারকারী মাস্কের কাছে গাজার সফরের আহ্বানের প্রতিক্রিয়া জানতে চান। সেই আহ্বানের জবাবে ইলন মাস্ক গাজায় সফরের প্রস্তাব নাকচ করেন। ওই ব্যবহারকারীর আহ্বানের জবাবে মাস্ক বলেন, ‘এখন সেখানে যাওয়ার বিষয়টিকে একটু বিপজ্জনকই মনে হচ্ছে। তবে আমি বিশ্বাস করি যে দীর্ঘ মেয়াদে একটি সমৃদ্ধ গাজা সবার জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে।’ 

ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার ধ্বংসযজ্ঞ নিজ চোখে দেখতে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গোষ্ঠীটির নেতা ওসামা হামাদান গত মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান। 

ওসামা হামাদান বলেন, ‘গাজার জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পরিধি কতটা বিস্তৃত, তা দেখার জন্য আমরা তাঁকে (ইলন মাস্ক) গাজা সফরের আমন্ত্রণ জানাই। ৫০ দিনের মধ্যে গাজার নিরীহ বেসামরিক মানুষের ওপর ফেলা হয়েছে ৪০ হাজার টনের বেশি বোমা। আমি ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে পুনর্মূল্যায়ন এবং ইসরায়েলকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানাই।’ 

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষী পোস্ট ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমা হামলার সমালোচনার জন্য মাস্কও নিন্দিত হন। ইসরায়েল সফর করার পরই এবার তাঁকে গাজা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানো হলো। 

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি গ্রাম ঘুরে দেখেছেন মাস্ক। ইসরায়েলে দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। তারপর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ সম্পর্কে সুরও কিছুটা পাল্টে যায় ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল এই ধনকুবেরের। 

গাজায় বোমা ফেললে তা ইসরায়েলের জন্যই খারাপ ফল বয়ে আনতে পারে বলে কয়েক দিন আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেছিলেন, ‘হামাসের একজন সদস্যকে মারার মাধ্যমে তারা কতজন হামাস যোদ্ধাকে সৃষ্টি করছে? গাজায় কারও সন্তানকে যদি খুন করা হয়, তাহলে জন্ম নেবে কয়েকজন হামাস যোদ্ধা।’ 

কিন্তু ইসরায়েল সফরের পর মাস্ক বলেন, হামাসকে লক্ষ্যবস্তু বানানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সে সময় বেসামরিকদের হতাহতের ব্যাপার এড়িয়ে যান এই ধনকুবের। এ ছাড়া গাজায় নিজ প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার কথাও আগে বলেছিলেন মাস্ক। কিন্তু ইসরায়েল সফরের পর তিনি জানান, ইসরায়েলের অনুমোদন ছাড়া গাজায় ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত