ফারুক মেহেদী
করোনার ক্ষতি পোষাতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কাদের অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত? স্বল্প আয়ের মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান বাড়ানো যায় কীভাবে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের গবেষণা পরিচালক, অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারটা কেমন হওয়া উচিত?
ড. সায়মা হক বিদিশা: অন্যান্য দেশের মতো করোনার ক্ষতি পোষাতে বাংলাদেশও একটা পুনরুদ্ধারের পথে হাঁটছে, এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, পুনরুদ্ধার মানে কি আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া, নাকি কাজ হারানো শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর, ভূমিহীন কৃষক, অনানুষ্ঠানিক খাতের সঙ্গে যারা জড়িত, বিশেষ করে রাস্তার মুড়িওয়ালা থেকে শুরু করে বুটিক শপ, নাপিতসহ আরও বিভিন্ন কাজে যারা যুক্ত ছিল, তাদের পুনরুদ্ধার? তারা হয়তো অর্থনীতি চাঙা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা পুনরুদ্ধারের পথে আছে। তবে তাদের এ পুনরুদ্ধার বলতে শুধু টিকে থাকা।
আজকের পত্রিকা: কাদের পুনরুদ্ধার আগে দরকার?
ড. সায়মা হক বিদিশা: সানেমের পক্ষ থেকে করা জরিপে দেখেছি, সমাজের একটি বড় অংশকে তাদের সঞ্চয় ভাঙতে হয়েছে। অনেকে ধারদেনা করেছে। এখন হয়তো দেনা কমিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তাদের পুনরুদ্ধারটাই সবার আগে দরকার। সমাজের সব মানুষই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে একজন পোশাকমালিকের ক্ষতি আর একজন দিনমজুরের ক্ষতি এক নয়।
আজকের পত্রিকা: করোনার ঝুঁকি কাটেনি। সামনে সতর্কতা কতটা জরুরি?
ড. সায়মা হক বিদিশা: প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই আগে করতে হবে। মানে আমরা যেন কোনোভাবেই আর করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কবলে না পড়ি। আর কোনো লকডাউন যেন আর দিতে না হয়। এটা দিলে নিম্ন আয়ের মানুষ একেবারে মুখথুবড়ে পড়বে। সতর্কতা মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৯০ শতাংশ সক্ষমতার ব্যবহার হলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু বড় ধাক্কায় যেন পড়তে না হয়।
আজকের পত্রিকা: যারা প্রণোদনা পাওয়ার তালিকায় নেই, তাদের কী হবে?
ড. সায়মা হক বিদিশা: প্রণোদনার কথা তো বারবারই এসেছে। এটা আসলে ঋণসুবিধা। এই ঋণসুবিধার বাইরেও কিন্তু একটি গ্রুপ আছে, যাদের আসলে ঋণ নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাদের অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেখার বিষয় যে তাদের জন্য কী করা যায়। এ ছাড়া যারা ঋণ নেয়, সুদের হার আরও একটু কমানো যেতে পারে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সহজ শর্তে ঋণসুবিধা; এটা দোকানমালিক সমিতি বা সমবায় সমিতির মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে।
আজকের পত্রিকা: শহরের অসহায় মানুষের কীভাবে সামাজিক নিরাপত্তায় যুক্ত করা যায়?
ড. সায়মা হক বিদিশা: সামাজিক নিরাপত্তায় শহরকে খুব একটা বিবেচনায় রাখি না। কর্মসূচিগুলোতে শহরের টার্গেট গ্রুপকে যুক্ত করতে হবে। যারা পার্টটাইম চাকরি করত, তাদের চাকরিটা হয়তো নেই। এদের জন্য সমবায়ের মতো কিছু করা যায়। এ ছাড়া বস্তিবাসীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং কর্মসংস্থানকেন্দ্রিক কিছু করা যায়। তাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে। এমন হতে পারে যে এমন পাঁচজন যদি একটা চায়ের দোকান দিতে চায়, তাদের ঋণ দেওয়া যেতে পারে। বস্তিগুলোকে টার্গেট করে বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডেরও ব্যবস্থা করা যায়।
আজকের পত্রিকা: স্বল্প আয়ের মানুষের নিত্যপণ্যের দামের ভোগান্তি কমানো যায় কীভাবে?
ড. সায়মা হক বিদিশা: খোলাবাজার কর্মসূচিকে আরও সম্প্রসারণ করা বা ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে সুলভে অসহায় মানুষের এসব পণ্য পাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এখানেও কিন্তু দুর্নীতি হয়। এখানে যদি পরিচয়পত্র বা যাচাই-বাছাই করে কাজটা করা যায়, যাতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কমে যায়। ওএমএসের প্রসার ঘটালে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য সহযোগিতা হবে।
আজকের পত্রিকা: সৎ উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণসুবিধা কেমন হওয়া উচিত?
ড. সায়মা হক বিদিশা: করোনায় বেশ কিছু বিষয় ঘটেছে। যেমন, কিছু জিনিসের চাহিদা বেড়েছে আবার কিছুর চাহিদা কমেছে। এ বিষয়টা বিবেচনায় নিতে হবে। তা ছাড়া কোভিডের সময় বড় শিল্পের ঋণ পাওয়া সহজ করায় অনেক ঋণখেলাপিও সুবিধা নিয়েছে। অনেকের ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষমতা আছে, কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি। এটায় শৃঙ্খলায় আনতে হবে। নাহলে ভালো ও সৎ উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন উদ্যোক্তারা যাতে সুবিধা পায়, সে বিষয়গুলোও দেখতে হবে।
করোনার ক্ষতি পোষাতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কাদের অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত? স্বল্প আয়ের মানুষের আয় ও কর্মসংস্থান বাড়ানো যায় কীভাবে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের গবেষণা পরিচালক, অর্থনীতিবিদ ড. সায়মা হক বিদিশা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারটা কেমন হওয়া উচিত?
ড. সায়মা হক বিদিশা: অন্যান্য দেশের মতো করোনার ক্ষতি পোষাতে বাংলাদেশও একটা পুনরুদ্ধারের পথে হাঁটছে, এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, পুনরুদ্ধার মানে কি আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া, নাকি কাজ হারানো শ্রমজীবী মানুষ, দিনমজুর, ভূমিহীন কৃষক, অনানুষ্ঠানিক খাতের সঙ্গে যারা জড়িত, বিশেষ করে রাস্তার মুড়িওয়ালা থেকে শুরু করে বুটিক শপ, নাপিতসহ আরও বিভিন্ন কাজে যারা যুক্ত ছিল, তাদের পুনরুদ্ধার? তারা হয়তো অর্থনীতি চাঙা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা পুনরুদ্ধারের পথে আছে। তবে তাদের এ পুনরুদ্ধার বলতে শুধু টিকে থাকা।
আজকের পত্রিকা: কাদের পুনরুদ্ধার আগে দরকার?
ড. সায়মা হক বিদিশা: সানেমের পক্ষ থেকে করা জরিপে দেখেছি, সমাজের একটি বড় অংশকে তাদের সঞ্চয় ভাঙতে হয়েছে। অনেকে ধারদেনা করেছে। এখন হয়তো দেনা কমিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তাদের পুনরুদ্ধারটাই সবার আগে দরকার। সমাজের সব মানুষই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে একজন পোশাকমালিকের ক্ষতি আর একজন দিনমজুরের ক্ষতি এক নয়।
আজকের পত্রিকা: করোনার ঝুঁকি কাটেনি। সামনে সতর্কতা কতটা জরুরি?
ড. সায়মা হক বিদিশা: প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই আগে করতে হবে। মানে আমরা যেন কোনোভাবেই আর করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কবলে না পড়ি। আর কোনো লকডাউন যেন আর দিতে না হয়। এটা দিলে নিম্ন আয়ের মানুষ একেবারে মুখথুবড়ে পড়বে। সতর্কতা মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৯০ শতাংশ সক্ষমতার ব্যবহার হলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু বড় ধাক্কায় যেন পড়তে না হয়।
আজকের পত্রিকা: যারা প্রণোদনা পাওয়ার তালিকায় নেই, তাদের কী হবে?
ড. সায়মা হক বিদিশা: প্রণোদনার কথা তো বারবারই এসেছে। এটা আসলে ঋণসুবিধা। এই ঋণসুবিধার বাইরেও কিন্তু একটি গ্রুপ আছে, যাদের আসলে ঋণ নেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাদের অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেখার বিষয় যে তাদের জন্য কী করা যায়। এ ছাড়া যারা ঋণ নেয়, সুদের হার আরও একটু কমানো যেতে পারে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সহজ শর্তে ঋণসুবিধা; এটা দোকানমালিক সমিতি বা সমবায় সমিতির মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে।
আজকের পত্রিকা: শহরের অসহায় মানুষের কীভাবে সামাজিক নিরাপত্তায় যুক্ত করা যায়?
ড. সায়মা হক বিদিশা: সামাজিক নিরাপত্তায় শহরকে খুব একটা বিবেচনায় রাখি না। কর্মসূচিগুলোতে শহরের টার্গেট গ্রুপকে যুক্ত করতে হবে। যারা পার্টটাইম চাকরি করত, তাদের চাকরিটা হয়তো নেই। এদের জন্য সমবায়ের মতো কিছু করা যায়। এ ছাড়া বস্তিবাসীর জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং কর্মসংস্থানকেন্দ্রিক কিছু করা যায়। তাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে। এমন হতে পারে যে এমন পাঁচজন যদি একটা চায়ের দোকান দিতে চায়, তাদের ঋণ দেওয়া যেতে পারে। বস্তিগুলোকে টার্গেট করে বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডেরও ব্যবস্থা করা যায়।
আজকের পত্রিকা: স্বল্প আয়ের মানুষের নিত্যপণ্যের দামের ভোগান্তি কমানো যায় কীভাবে?
ড. সায়মা হক বিদিশা: খোলাবাজার কর্মসূচিকে আরও সম্প্রসারণ করা বা ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে সুলভে অসহায় মানুষের এসব পণ্য পাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এখানেও কিন্তু দুর্নীতি হয়। এখানে যদি পরিচয়পত্র বা যাচাই-বাছাই করে কাজটা করা যায়, যাতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কমে যায়। ওএমএসের প্রসার ঘটালে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তের জন্য সহযোগিতা হবে।
আজকের পত্রিকা: সৎ উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণসুবিধা কেমন হওয়া উচিত?
ড. সায়মা হক বিদিশা: করোনায় বেশ কিছু বিষয় ঘটেছে। যেমন, কিছু জিনিসের চাহিদা বেড়েছে আবার কিছুর চাহিদা কমেছে। এ বিষয়টা বিবেচনায় নিতে হবে। তা ছাড়া কোভিডের সময় বড় শিল্পের ঋণ পাওয়া সহজ করায় অনেক ঋণখেলাপিও সুবিধা নিয়েছে। অনেকের ঋণের কিস্তি পরিশোধের ক্ষমতা আছে, কিন্তু তারা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি। এটায় শৃঙ্খলায় আনতে হবে। নাহলে ভালো ও সৎ উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন উদ্যোক্তারা যাতে সুবিধা পায়, সে বিষয়গুলোও দেখতে হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪