মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ। পাশ্চাত্যে তিনি অ্যাভেরোজ নামে পরিচিত। ইবনে রুশদ গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ব্যাখ্যাকার হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন এবং তাঁর ব্যাখ্যা ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামি চিন্তাধারার পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, যুক্তিবিজ্ঞান ও আইনশাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ অবদান রয়েছে।
জন্ম ও শৈশব
ইবনে রুশদের জন্ম ১১২৬ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসের কর্ডোভা শহরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর পিতামহ এবং পিতা উভয়েই বিচারপতি ছিলেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি আইনশাস্ত্রের প্রতি অনুরক্ত হন। তিনি কোরআন, হাদিস, ফিকহ, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, গণিত ও চিকিৎসাবিদ্যায় গভীর অধ্যয়ন করেন। বিশেষত, ইসলামি ফিকহের ‘মালিকি মাযহাব’-এর ওপর তাঁর ব্যাপক পাণ্ডিত্য ছিল।
বিজ্ঞান ও চিকিৎসায় অবদান
ইবনে রুশদের চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা ‘আল-কুল্লিয়াত ফি আত-ত্বিব্ব’ যা ল্যাটিন ভাষায় কোলিগেট নামে অনূদিত হয়। এতে মানবদেহ, চিকিৎসার নীতিমালা এবং বিভিন্ন রোগের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর এ গ্রন্থ মধ্যযুগে ইউরোপের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পঠিত হয়।
দর্শন ও যুক্তিবিদ্যায় প্রভাব
ইবনে রুশদের দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ধর্ম ও দর্শন পরস্পরের বিরোধী নয়, বরং একই সত্যের দুটি দিক। তার বিখ্যাত দার্শনিক রচনা ‘তাহাফুত আত-তাহাফুত’ বা ‘অসংগতির অসংগতি’ মূলত ইমাম গাজালির ‘তাহাফুত আল-ফালাসিফা’ বা ‘দার্শনিকদের অসংগতি’-র জবাবে লেখা হয়। ইবনে রুশদ এখানে যুক্তির মাধ্যমে দর্শনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যুক্তি ও কোরআনের ব্যাখ্যার মধ্যে সমন্বয় করার চেষ্টা করেন।
ইসলামি ফিকহে ভূমিকা
ফিকহশাস্ত্রে ইবনে রুশদ ছিলেন একজন দক্ষ গবেষক। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ’, যেখানে তিনি ইসলামি আইনের বিভিন্ন মতবাদ তুলনামূলকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বিভিন্ন মাজহাবের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন এবং স্বাধীন চিন্তাধারার চর্চা করেছেন।
ইবনে রুশদের অবদান
ইবনে রুশদের অবদান একাধিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাঁর কাজ কেবল ইসলামি বিশ্বেই নয়, বরং ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশেও অনন্য ভূমিকা রেখেছে। তার অবদানকে নিম্নলিখিত দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়—
যুক্তিবাদী দর্শনের প্রসার: তিনি দর্শন ও ধর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য খোঁজার চেষ্টা করেন এবং অ্যারিস্টটলীয় যুক্তিবাদের মাধ্যমে ইসলামি চিন্তাধারাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যান।
ইউরোপীয় রেনেসাঁর ওপর প্রভাব: তাঁর ব্যাখ্যাগুলো ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের দার্শনিকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষত টমাস একুইনাসের দর্শনে তাঁর চিন্তার গভীর প্রভাব দেখা যায়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান: তার লেখা ‘আল-কুল্লিয়াত ফিত-তিব’ ইউরোপীয় চিকিৎসা শিক্ষায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছিল।
আইনশাস্ত্রে মৌলিক চিন্তাধারা: তিনি ফিকহশাস্ত্রে তুলনামূলক পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন মাজহাবের আইনি মতামত বিশ্লেষণ করেন, যা বিচারব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়: ইবনে রুশদ বিশ্বাস করতেন যে ধর্ম ও বিজ্ঞান পরস্পরবিরোধী নয়, বরং উভয়ই মানবজ্ঞানকে পরিপূর্ণ করে।
মতবাদ ও বিতর্ক
ইবনে রুশদের দর্শন ও মতবাদ আন্দালুস ও মুসলিম বিশ্বের একাংশে বিতর্কের জন্ম দেয়। তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলেও শেষ জীবনে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে বন্দী হন এবং তার বহু গ্রন্থ ধ্বংস করে ফেলা হয়। তবুও, তার চিন্তাধারা ইউরোপে রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়।
শিক্ষা ও উত্তরাধিকার
ইবনে রুশদের চিন্তা ও গবেষণার প্রভাব ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার লেখা বই ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপীয় দার্শনিকদের কাছে পৌঁছায় এবং টমাস একুইনাসসহ খ্রিষ্টান দার্শনিকদের চিন্তাধারায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ইবনে রুশদ শুধু একজন দার্শনিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে চিকিৎসক, বিচারক, আইনজ্ঞ ও ধর্মতাত্ত্বিক। ইসলামি জ্ঞানের গভীরতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার মিশেলে তিনি এক নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন। তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞানচিন্তা মুসলিম বিশ্বে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, তেমনি ইউরোপীয় রেনেসাঁর অন্যতম ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামি সভ্যতার ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ।
২. ইবনে রুশদ, আল-কুল্লিয়াত ফিত তিব।
৩. ইবনে রুশদ, তাহাফুত আত-তাহাফুত।
৪. ড. মুহাম্মদ ইকবাল, ইসলামের পুনর্জাগরণ।
৫. ইমাম গাজালি, তাহাফুত আল-ফালাসিফা।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ। পাশ্চাত্যে তিনি অ্যাভেরোজ নামে পরিচিত। ইবনে রুশদ গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ব্যাখ্যাকার হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন এবং তাঁর ব্যাখ্যা ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামি চিন্তাধারার পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, যুক্তিবিজ্ঞান ও আইনশাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ অবদান রয়েছে।
জন্ম ও শৈশব
ইবনে রুশদের জন্ম ১১২৬ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসের কর্ডোভা শহরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর পিতামহ এবং পিতা উভয়েই বিচারপতি ছিলেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি আইনশাস্ত্রের প্রতি অনুরক্ত হন। তিনি কোরআন, হাদিস, ফিকহ, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, গণিত ও চিকিৎসাবিদ্যায় গভীর অধ্যয়ন করেন। বিশেষত, ইসলামি ফিকহের ‘মালিকি মাযহাব’-এর ওপর তাঁর ব্যাপক পাণ্ডিত্য ছিল।
বিজ্ঞান ও চিকিৎসায় অবদান
ইবনে রুশদের চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা ‘আল-কুল্লিয়াত ফি আত-ত্বিব্ব’ যা ল্যাটিন ভাষায় কোলিগেট নামে অনূদিত হয়। এতে মানবদেহ, চিকিৎসার নীতিমালা এবং বিভিন্ন রোগের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর এ গ্রন্থ মধ্যযুগে ইউরোপের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পঠিত হয়।
দর্শন ও যুক্তিবিদ্যায় প্রভাব
ইবনে রুশদের দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ধর্ম ও দর্শন পরস্পরের বিরোধী নয়, বরং একই সত্যের দুটি দিক। তার বিখ্যাত দার্শনিক রচনা ‘তাহাফুত আত-তাহাফুত’ বা ‘অসংগতির অসংগতি’ মূলত ইমাম গাজালির ‘তাহাফুত আল-ফালাসিফা’ বা ‘দার্শনিকদের অসংগতি’-র জবাবে লেখা হয়। ইবনে রুশদ এখানে যুক্তির মাধ্যমে দর্শনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যুক্তি ও কোরআনের ব্যাখ্যার মধ্যে সমন্বয় করার চেষ্টা করেন।
ইসলামি ফিকহে ভূমিকা
ফিকহশাস্ত্রে ইবনে রুশদ ছিলেন একজন দক্ষ গবেষক। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ’, যেখানে তিনি ইসলামি আইনের বিভিন্ন মতবাদ তুলনামূলকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বিভিন্ন মাজহাবের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন এবং স্বাধীন চিন্তাধারার চর্চা করেছেন।
ইবনে রুশদের অবদান
ইবনে রুশদের অবদান একাধিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাঁর কাজ কেবল ইসলামি বিশ্বেই নয়, বরং ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশেও অনন্য ভূমিকা রেখেছে। তার অবদানকে নিম্নলিখিত দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়—
যুক্তিবাদী দর্শনের প্রসার: তিনি দর্শন ও ধর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য খোঁজার চেষ্টা করেন এবং অ্যারিস্টটলীয় যুক্তিবাদের মাধ্যমে ইসলামি চিন্তাধারাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যান।
ইউরোপীয় রেনেসাঁর ওপর প্রভাব: তাঁর ব্যাখ্যাগুলো ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের দার্শনিকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষত টমাস একুইনাসের দর্শনে তাঁর চিন্তার গভীর প্রভাব দেখা যায়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান: তার লেখা ‘আল-কুল্লিয়াত ফিত-তিব’ ইউরোপীয় চিকিৎসা শিক্ষায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছিল।
আইনশাস্ত্রে মৌলিক চিন্তাধারা: তিনি ফিকহশাস্ত্রে তুলনামূলক পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন মাজহাবের আইনি মতামত বিশ্লেষণ করেন, যা বিচারব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়: ইবনে রুশদ বিশ্বাস করতেন যে ধর্ম ও বিজ্ঞান পরস্পরবিরোধী নয়, বরং উভয়ই মানবজ্ঞানকে পরিপূর্ণ করে।
মতবাদ ও বিতর্ক
ইবনে রুশদের দর্শন ও মতবাদ আন্দালুস ও মুসলিম বিশ্বের একাংশে বিতর্কের জন্ম দেয়। তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলেও শেষ জীবনে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে বন্দী হন এবং তার বহু গ্রন্থ ধ্বংস করে ফেলা হয়। তবুও, তার চিন্তাধারা ইউরোপে রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়।
শিক্ষা ও উত্তরাধিকার
ইবনে রুশদের চিন্তা ও গবেষণার প্রভাব ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার লেখা বই ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপীয় দার্শনিকদের কাছে পৌঁছায় এবং টমাস একুইনাসসহ খ্রিষ্টান দার্শনিকদের চিন্তাধারায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ইবনে রুশদ শুধু একজন দার্শনিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে চিকিৎসক, বিচারক, আইনজ্ঞ ও ধর্মতাত্ত্বিক। ইসলামি জ্ঞানের গভীরতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার মিশেলে তিনি এক নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন। তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞানচিন্তা মুসলিম বিশ্বে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, তেমনি ইউরোপীয় রেনেসাঁর অন্যতম ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামি সভ্যতার ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ।
২. ইবনে রুশদ, আল-কুল্লিয়াত ফিত তিব।
৩. ইবনে রুশদ, তাহাফুত আত-তাহাফুত।
৪. ড. মুহাম্মদ ইকবাল, ইসলামের পুনর্জাগরণ।
৫. ইমাম গাজালি, তাহাফুত আল-ফালাসিফা।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ। পাশ্চাত্যে তিনি অ্যাভেরোজ নামে পরিচিত। ইবনে রুশদ গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ব্যাখ্যাকার হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন এবং তাঁর ব্যাখ্যা ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামি চিন্তাধারার পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, যুক্তিবিজ্ঞান ও আইনশাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ অবদান রয়েছে।
জন্ম ও শৈশব
ইবনে রুশদের জন্ম ১১২৬ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসের কর্ডোভা শহরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর পিতামহ এবং পিতা উভয়েই বিচারপতি ছিলেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি আইনশাস্ত্রের প্রতি অনুরক্ত হন। তিনি কোরআন, হাদিস, ফিকহ, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, গণিত ও চিকিৎসাবিদ্যায় গভীর অধ্যয়ন করেন। বিশেষত, ইসলামি ফিকহের ‘মালিকি মাযহাব’-এর ওপর তাঁর ব্যাপক পাণ্ডিত্য ছিল।
বিজ্ঞান ও চিকিৎসায় অবদান
ইবনে রুশদের চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা ‘আল-কুল্লিয়াত ফি আত-ত্বিব্ব’ যা ল্যাটিন ভাষায় কোলিগেট নামে অনূদিত হয়। এতে মানবদেহ, চিকিৎসার নীতিমালা এবং বিভিন্ন রোগের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর এ গ্রন্থ মধ্যযুগে ইউরোপের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পঠিত হয়।
দর্শন ও যুক্তিবিদ্যায় প্রভাব
ইবনে রুশদের দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ধর্ম ও দর্শন পরস্পরের বিরোধী নয়, বরং একই সত্যের দুটি দিক। তার বিখ্যাত দার্শনিক রচনা ‘তাহাফুত আত-তাহাফুত’ বা ‘অসংগতির অসংগতি’ মূলত ইমাম গাজালির ‘তাহাফুত আল-ফালাসিফা’ বা ‘দার্শনিকদের অসংগতি’-র জবাবে লেখা হয়। ইবনে রুশদ এখানে যুক্তির মাধ্যমে দর্শনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যুক্তি ও কোরআনের ব্যাখ্যার মধ্যে সমন্বয় করার চেষ্টা করেন।
ইসলামি ফিকহে ভূমিকা
ফিকহশাস্ত্রে ইবনে রুশদ ছিলেন একজন দক্ষ গবেষক। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ’, যেখানে তিনি ইসলামি আইনের বিভিন্ন মতবাদ তুলনামূলকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বিভিন্ন মাজহাবের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন এবং স্বাধীন চিন্তাধারার চর্চা করেছেন।
ইবনে রুশদের অবদান
ইবনে রুশদের অবদান একাধিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাঁর কাজ কেবল ইসলামি বিশ্বেই নয়, বরং ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশেও অনন্য ভূমিকা রেখেছে। তার অবদানকে নিম্নলিখিত দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়—
যুক্তিবাদী দর্শনের প্রসার: তিনি দর্শন ও ধর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য খোঁজার চেষ্টা করেন এবং অ্যারিস্টটলীয় যুক্তিবাদের মাধ্যমে ইসলামি চিন্তাধারাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যান।
ইউরোপীয় রেনেসাঁর ওপর প্রভাব: তাঁর ব্যাখ্যাগুলো ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের দার্শনিকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষত টমাস একুইনাসের দর্শনে তাঁর চিন্তার গভীর প্রভাব দেখা যায়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান: তার লেখা ‘আল-কুল্লিয়াত ফিত-তিব’ ইউরোপীয় চিকিৎসা শিক্ষায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছিল।
আইনশাস্ত্রে মৌলিক চিন্তাধারা: তিনি ফিকহশাস্ত্রে তুলনামূলক পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন মাজহাবের আইনি মতামত বিশ্লেষণ করেন, যা বিচারব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়: ইবনে রুশদ বিশ্বাস করতেন যে ধর্ম ও বিজ্ঞান পরস্পরবিরোধী নয়, বরং উভয়ই মানবজ্ঞানকে পরিপূর্ণ করে।
মতবাদ ও বিতর্ক
ইবনে রুশদের দর্শন ও মতবাদ আন্দালুস ও মুসলিম বিশ্বের একাংশে বিতর্কের জন্ম দেয়। তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলেও শেষ জীবনে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে বন্দী হন এবং তার বহু গ্রন্থ ধ্বংস করে ফেলা হয়। তবুও, তার চিন্তাধারা ইউরোপে রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়।
শিক্ষা ও উত্তরাধিকার
ইবনে রুশদের চিন্তা ও গবেষণার প্রভাব ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার লেখা বই ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপীয় দার্শনিকদের কাছে পৌঁছায় এবং টমাস একুইনাসসহ খ্রিষ্টান দার্শনিকদের চিন্তাধারায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ইবনে রুশদ শুধু একজন দার্শনিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে চিকিৎসক, বিচারক, আইনজ্ঞ ও ধর্মতাত্ত্বিক। ইসলামি জ্ঞানের গভীরতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার মিশেলে তিনি এক নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন। তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞানচিন্তা মুসলিম বিশ্বে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, তেমনি ইউরোপীয় রেনেসাঁর অন্যতম ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামি সভ্যতার ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ।
২. ইবনে রুশদ, আল-কুল্লিয়াত ফিত তিব।
৩. ইবনে রুশদ, তাহাফুত আত-তাহাফুত।
৪. ড. মুহাম্মদ ইকবাল, ইসলামের পুনর্জাগরণ।
৫. ইমাম গাজালি, তাহাফুত আল-ফালাসিফা।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ। পাশ্চাত্যে তিনি অ্যাভেরোজ নামে পরিচিত। ইবনে রুশদ গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ব্যাখ্যাকার হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন এবং তাঁর ব্যাখ্যা ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামি চিন্তাধারার পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, যুক্তিবিজ্ঞান ও আইনশাস্ত্রে তাঁর অসাধারণ অবদান রয়েছে।
জন্ম ও শৈশব
ইবনে রুশদের জন্ম ১১২৬ খ্রিষ্টাব্দে আন্দালুসের কর্ডোভা শহরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর পিতামহ এবং পিতা উভয়েই বিচারপতি ছিলেন। ফলে ছোটবেলা থেকেই তিনি আইনশাস্ত্রের প্রতি অনুরক্ত হন। তিনি কোরআন, হাদিস, ফিকহ, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, গণিত ও চিকিৎসাবিদ্যায় গভীর অধ্যয়ন করেন। বিশেষত, ইসলামি ফিকহের ‘মালিকি মাযহাব’-এর ওপর তাঁর ব্যাপক পাণ্ডিত্য ছিল।
বিজ্ঞান ও চিকিৎসায় অবদান
ইবনে রুশদের চিকিৎসাবিজ্ঞান সংক্রান্ত সর্বশ্রেষ্ঠ রচনা ‘আল-কুল্লিয়াত ফি আত-ত্বিব্ব’ যা ল্যাটিন ভাষায় কোলিগেট নামে অনূদিত হয়। এতে মানবদেহ, চিকিৎসার নীতিমালা এবং বিভিন্ন রোগের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর এ গ্রন্থ মধ্যযুগে ইউরোপের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পঠিত হয়।
দর্শন ও যুক্তিবিদ্যায় প্রভাব
ইবনে রুশদের দর্শনের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্ম ও দর্শনের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা। তিনি বিশ্বাস করতেন, ধর্ম ও দর্শন পরস্পরের বিরোধী নয়, বরং একই সত্যের দুটি দিক। তার বিখ্যাত দার্শনিক রচনা ‘তাহাফুত আত-তাহাফুত’ বা ‘অসংগতির অসংগতি’ মূলত ইমাম গাজালির ‘তাহাফুত আল-ফালাসিফা’ বা ‘দার্শনিকদের অসংগতি’-র জবাবে লেখা হয়। ইবনে রুশদ এখানে যুক্তির মাধ্যমে দর্শনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যুক্তি ও কোরআনের ব্যাখ্যার মধ্যে সমন্বয় করার চেষ্টা করেন।
ইসলামি ফিকহে ভূমিকা
ফিকহশাস্ত্রে ইবনে রুশদ ছিলেন একজন দক্ষ গবেষক। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ’, যেখানে তিনি ইসলামি আইনের বিভিন্ন মতবাদ তুলনামূলকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বিভিন্ন মাজহাবের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করেছেন এবং স্বাধীন চিন্তাধারার চর্চা করেছেন।
ইবনে রুশদের অবদান
ইবনে রুশদের অবদান একাধিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তাঁর কাজ কেবল ইসলামি বিশ্বেই নয়, বরং ইউরোপীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশেও অনন্য ভূমিকা রেখেছে। তার অবদানকে নিম্নলিখিত দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়—
যুক্তিবাদী দর্শনের প্রসার: তিনি দর্শন ও ধর্মের মধ্যে সামঞ্জস্য খোঁজার চেষ্টা করেন এবং অ্যারিস্টটলীয় যুক্তিবাদের মাধ্যমে ইসলামি চিন্তাধারাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যান।
ইউরোপীয় রেনেসাঁর ওপর প্রভাব: তাঁর ব্যাখ্যাগুলো ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপের দার্শনিকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পায়, বিশেষত টমাস একুইনাসের দর্শনে তাঁর চিন্তার গভীর প্রভাব দেখা যায়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান: তার লেখা ‘আল-কুল্লিয়াত ফিত-তিব’ ইউরোপীয় চিকিৎসা শিক্ষায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছিল।
আইনশাস্ত্রে মৌলিক চিন্তাধারা: তিনি ফিকহশাস্ত্রে তুলনামূলক পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিভিন্ন মাজহাবের আইনি মতামত বিশ্লেষণ করেন, যা বিচারব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে।
ধর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়: ইবনে রুশদ বিশ্বাস করতেন যে ধর্ম ও বিজ্ঞান পরস্পরবিরোধী নয়, বরং উভয়ই মানবজ্ঞানকে পরিপূর্ণ করে।
মতবাদ ও বিতর্ক
ইবনে রুশদের দর্শন ও মতবাদ আন্দালুস ও মুসলিম বিশ্বের একাংশে বিতর্কের জন্ম দেয়। তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেলেও শেষ জীবনে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে বন্দী হন এবং তার বহু গ্রন্থ ধ্বংস করে ফেলা হয়। তবুও, তার চিন্তাধারা ইউরোপে রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়।
শিক্ষা ও উত্তরাধিকার
ইবনে রুশদের চিন্তা ও গবেষণার প্রভাব ইউরোপীয় পুনর্জাগরণে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার লেখা বই ল্যাটিন ও হিব্রু ভাষায় অনূদিত হয়ে ইউরোপীয় দার্শনিকদের কাছে পৌঁছায় এবং টমাস একুইনাসসহ খ্রিষ্টান দার্শনিকদের চিন্তাধারায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ইবনে রুশদ শুধু একজন দার্শনিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে চিকিৎসক, বিচারক, আইনজ্ঞ ও ধর্মতাত্ত্বিক। ইসলামি জ্ঞানের গভীরতা ও যুক্তিবাদী চিন্তাধারার মিশেলে তিনি এক নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন। তাঁর দর্শন ও বিজ্ঞানচিন্তা মুসলিম বিশ্বে যেমন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, তেমনি ইউরোপীয় রেনেসাঁর অন্যতম ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামি সভ্যতার ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তথ্যসূত্র
১. ইবনে রুশদ, বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ।
২. ইবনে রুশদ, আল-কুল্লিয়াত ফিত তিব।
৩. ইবনে রুশদ, তাহাফুত আত-তাহাফুত।
৪. ড. মুহাম্মদ ইকবাল, ইসলামের পুনর্জাগরণ।
৫. ইমাম গাজালি, তাহাফুত আল-ফালাসিফা।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ।
১৪ মার্চ ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ।
১৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ।
১৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দর্শনের ইতিহাসে যেসব মনীষী অবদান রেখে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮ খ্রিষ্টাব্দ) অন্যতম। তিনি ছিলেন একজন মুসলিম দার্শনিক, ধর্মতাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও আইনজ্ঞ।
১৪ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে