হজরত হোসাইন (রা.)-এর অনন্য মর্যাদা

ইসলাম ডেস্ক
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭: ৪০
Thumbnail image

হজরত হোসাইন (রা.) ছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কন্যা ফাতেমার দ্বিতীয় সন্তান। তিনি চতুর্থ হিজরির ৩ শাবান মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের পর রাসুল (সা.) তাঁর কানে আজান দেন, সপ্তম দিনে আকিকা করেন এবং মাথার চুল পরিমাণ রূপা সদকা করেন। তাঁর বাবা ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা ও রাসুল (সা.)-এর চাচাত ভাই হজরত আলী (রা.)।

শারীরিক গঠন, আকৃতি ও চারিত্রিক গুণাবলির দিক থেকে হজরত হোসাইন ছিলেন প্রিয়তম নানা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতিচ্ছবি। হজরত হোসাইন অধিক পরিমাণে রোজা রাখতেন এবং নামাজ আদায় করতেন। তাঁর দান-দক্ষিণার হাত ছিল সদা প্রসারিত। অসহায় ও মিসকিনদের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল তাঁর পছন্দের বিষয়।

রাসুল (সা.) হজরত হোসাইনকে আনন্দদানের উদ্দেশ্যে তাঁর সঙ্গে খেলায় মেতে উঠতেন। বুকে জড়িয়ে চুমু খেতেন আর বলতেন, ‘হোসাইন আমার; আমি হোসাইনের।’ (তারিখে কাবির) হজরত হোসাইন ও তাঁর বড় ভাই হাসানের মর্যাদা সম্পর্কে নবী (সা.) বলেছেন, ‘হাসান ও হোসাইন প্রত্যেকেই জান্নাতি যুবকদের সর্দার।’ (তিরমিজি) অন্য এক হাদিসে তাঁদের মর্যাদা সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে আল্লাহ, আমি এই দুজনকে ভালোবাসি। সুতরাং তুমি তাদের ভালোবাসো এবং যে ব্যক্তি তাদের ভালোবাসবে, তুমি তাদেরও ভালোবাসো।’ (তিরমিজি)

হজরত হোসাইনের শাহাদাত সম্পর্কে আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন মহানবী (সা.)। তাঁর হত্যাকারীদের কঠিন পরিণতির কথাও তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ভূমিতে হোসাইনকে হত্যা করা হবে জিব্রাঈল আমাকে সে স্থানের মাটি দেখিয়েছেন। যে ব্যক্তি হোসাইনের রক্ত ঝরাবে সে মহান আল্লাহর রোষানলে পতিত হবে। হে আয়শা, এ ঘটনা আমাকে অত্যন্ত ব্যথিত করে। আমার উম্মতের মধ্যে কে সেই ব্যক্তি, যে আমার হোসাইনকে হত্যা করবে?’ (কান্জুল উম্মাল)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত