শামসুল আরেফীন
দুনিয়ার জীবনে কোনো কিছু হারিয়ে গেলে কিংবা অপ্রীতিকর কিছু ঘটে গেলে মানুষ যারপরনাই আফসোস করতে থাকে। ঠিক পরকালেও অনেক মানুষ আফসোস করবে। সেসব আফসোসের দৃশ্য বড়ই হৃদয়বিদারক হবে। নিচের কয়েকটি আয়াত থেকে আমরা তা কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারি।
১. সেদিন পাপাচারীরা অনুতাপের আগুনে পুড়বে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তারা যখন আজাব দেখবে, তখন তারা অনুতাপ গোপন করবে। আর আমি কাফিরদের গলায় শৃঙ্খল পরিয়ে দেব। তারা যা করত কেবল তারই প্রতিফল তাদের দেওয়া হবে।’ (সুরা সাবা: ৩৩)
২. সেদিন কাফিররা আমলনামা হাতে পাওয়ার পর আফসোস করবে। এরশাদ হয়েছে, ‘এই দিবস (পরকাল) সত্য। যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরি করুক। আমি তোমাদের আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম। যেদিন মানুষ প্রত্যক্ষ করবে যা সে (মৃত্যুর আগে) পাঠিয়েছে। আর (সেদিন তা দেখে) কাফিররা বলবে—হায় আফসোস, যদি মাটি হয়ে যেতাম!’ (সুরা নাবা: ৪০)
৩. পাপাচার ও সীমা লঙ্ঘনকারীদের সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক সীমা লঙ্ঘনকারীই—পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা যদি তার হতো, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে তা দিয়ে দিত; আর যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন মনস্তাপ গোপন করবে। তাদের মীমাংসা ন্যায়বিচারের সঙ্গে করা হবে এবং কারও প্রতি জুলুম করা হবে না।’ (সুরা ইউনুস: ৫৪)
৪. জীবনকে আল্লাহ প্রদত্ত বিধানানুযায়ী পরিচালিত না করে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চালানো মানুষের অনুতাপ ও আফসোস সম্পর্কে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর সেদিন জালিম (অনুতাপে) নিজের হাত দুটো কামড়িয়ে বলবে, হায়, আমি যদি রাসুলের সাথে কোনো পথ অবলম্বন করতাম। হায় আমার দুর্ভোগ, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। অবশ্যই সে তো আমাকে উপদেশ বাণী থেকে বিভ্রান্ত করেছিল, আমার কাছে তা আসার পর। আর শয়তান তো মানুষের জন্য চরম প্রতারক।’ (সুরা ফোরকান: ২৭-২৯)
লেখক: শিক্ষক
দুনিয়ার জীবনে কোনো কিছু হারিয়ে গেলে কিংবা অপ্রীতিকর কিছু ঘটে গেলে মানুষ যারপরনাই আফসোস করতে থাকে। ঠিক পরকালেও অনেক মানুষ আফসোস করবে। সেসব আফসোসের দৃশ্য বড়ই হৃদয়বিদারক হবে। নিচের কয়েকটি আয়াত থেকে আমরা তা কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারি।
১. সেদিন পাপাচারীরা অনুতাপের আগুনে পুড়বে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তারা যখন আজাব দেখবে, তখন তারা অনুতাপ গোপন করবে। আর আমি কাফিরদের গলায় শৃঙ্খল পরিয়ে দেব। তারা যা করত কেবল তারই প্রতিফল তাদের দেওয়া হবে।’ (সুরা সাবা: ৩৩)
২. সেদিন কাফিররা আমলনামা হাতে পাওয়ার পর আফসোস করবে। এরশাদ হয়েছে, ‘এই দিবস (পরকাল) সত্য। যার ইচ্ছা, সে তার পালনকর্তার কাছে ঠিকানা তৈরি করুক। আমি তোমাদের আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম। যেদিন মানুষ প্রত্যক্ষ করবে যা সে (মৃত্যুর আগে) পাঠিয়েছে। আর (সেদিন তা দেখে) কাফিররা বলবে—হায় আফসোস, যদি মাটি হয়ে যেতাম!’ (সুরা নাবা: ৪০)
৩. পাপাচার ও সীমা লঙ্ঘনকারীদের সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক সীমা লঙ্ঘনকারীই—পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা যদি তার হতো, তবে সে মুক্তির বিনিময়ে তা দিয়ে দিত; আর যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন মনস্তাপ গোপন করবে। তাদের মীমাংসা ন্যায়বিচারের সঙ্গে করা হবে এবং কারও প্রতি জুলুম করা হবে না।’ (সুরা ইউনুস: ৫৪)
৪. জীবনকে আল্লাহ প্রদত্ত বিধানানুযায়ী পরিচালিত না করে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চালানো মানুষের অনুতাপ ও আফসোস সম্পর্কে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর সেদিন জালিম (অনুতাপে) নিজের হাত দুটো কামড়িয়ে বলবে, হায়, আমি যদি রাসুলের সাথে কোনো পথ অবলম্বন করতাম। হায় আমার দুর্ভোগ, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম। অবশ্যই সে তো আমাকে উপদেশ বাণী থেকে বিভ্রান্ত করেছিল, আমার কাছে তা আসার পর। আর শয়তান তো মানুষের জন্য চরম প্রতারক।’ (সুরা ফোরকান: ২৭-২৯)
লেখক: শিক্ষক
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১৬ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৩ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
৩ দিন আগে