জাকারিয়া জুবায়ের
ইবাদতের শ্রেষ্ঠ মৌসুম মাহে রমজান। রোজা আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ইবাদত। তিনি নিজেই এর প্রতিদান দেবেন। পবিত্র রমজান মাসে ইবাদতের ফজিলতও অনেক বেশি। একটি নফল ইবাদতে মেলে ফরজের সওয়াব এবং ফরজে মেলে আরও ৭০ গুণ বেশি সওয়াব। যে ব্যক্তি এমন ফজিলতপূর্ণ মাসে নিজেকে পাপাচার থেকে বিরত রাখতে পারে না এবং অতীতের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারে না, তার চেয়ে হতভাগা আর কেউ নেই।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) একদিন মসজিদের মিম্বারে পা রেখে বলে উঠলেন, ‘আমিন।’ এভাবে পরের দুই কদমেও আমিন বললেন। সাহাবায়ে কেরাম অবাক হলেন। তারা রাসুলের এমন কাণ্ড আগে কখনো দেখেননি। খুতবা শেষ হলে তিনি মিম্বার থেকে নামলেন। সাহাবায়ে কেরাম কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনাকে তো আগে কখনো এমনটা করতে দেখিনি। আজ কেন এমন অদ্ভুত আচরণ করলেন?’
জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি যখন প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন জিবরাইল (আ.) উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি, যে রমজান মাস পেয়েও অতীতের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। তখন আমি বললাম, আমিন। এরপর যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন জিবরাইল (আ.) বললেন, যার সামনে আপনার নাম পেশ করা হয়েছে এবং সে আপনার ওপর দরুদ পড়েনি, সেও ধ্বংস হোক। তখন আমি বললাম, আমিন। এরপর আমি যখন সর্বশেষ তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন জিবরাইল (আ.) বললেন ‘এবং ওই ব্যক্তিও ধ্বংস হোক, যে তার বাবা-মায়ের কাউকে বার্ধক্য অবস্থায় পেয়েও তাঁদের সেবাযত্ন ও খেদমত করে জান্নাতের মালিক হতে পারল না। তখন আমি বললাম আমিন।’ (বায়হাকি: ১৫৭২)
ইবাদতের শ্রেষ্ঠ মৌসুম মাহে রমজান। রোজা আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় ইবাদত। তিনি নিজেই এর প্রতিদান দেবেন। পবিত্র রমজান মাসে ইবাদতের ফজিলতও অনেক বেশি। একটি নফল ইবাদতে মেলে ফরজের সওয়াব এবং ফরজে মেলে আরও ৭০ গুণ বেশি সওয়াব। যে ব্যক্তি এমন ফজিলতপূর্ণ মাসে নিজেকে পাপাচার থেকে বিরত রাখতে পারে না এবং অতীতের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারে না, তার চেয়ে হতভাগা আর কেউ নেই।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) একদিন মসজিদের মিম্বারে পা রেখে বলে উঠলেন, ‘আমিন।’ এভাবে পরের দুই কদমেও আমিন বললেন। সাহাবায়ে কেরাম অবাক হলেন। তারা রাসুলের এমন কাণ্ড আগে কখনো দেখেননি। খুতবা শেষ হলে তিনি মিম্বার থেকে নামলেন। সাহাবায়ে কেরাম কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনাকে তো আগে কখনো এমনটা করতে দেখিনি। আজ কেন এমন অদ্ভুত আচরণ করলেন?’
জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি যখন প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন জিবরাইল (আ.) উপস্থিত হয়ে বললেন, ‘ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি, যে রমজান মাস পেয়েও অতীতের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। তখন আমি বললাম, আমিন। এরপর যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন জিবরাইল (আ.) বললেন, যার সামনে আপনার নাম পেশ করা হয়েছে এবং সে আপনার ওপর দরুদ পড়েনি, সেও ধ্বংস হোক। তখন আমি বললাম, আমিন। এরপর আমি যখন সর্বশেষ তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন জিবরাইল (আ.) বললেন ‘এবং ওই ব্যক্তিও ধ্বংস হোক, যে তার বাবা-মায়ের কাউকে বার্ধক্য অবস্থায় পেয়েও তাঁদের সেবাযত্ন ও খেদমত করে জান্নাতের মালিক হতে পারল না। তখন আমি বললাম আমিন।’ (বায়হাকি: ১৫৭২)
দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
১৩ ঘণ্টা আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
২ দিন আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৩ দিন আগে