নামাজে কাতার সোজা করার গুরুত্ব

মুফতি খালিদ কাসেমি
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯: ১৮
Thumbnail image

ইসলাম একটি সুশৃঙ্খল ও পরিপূর্ণ জীবনবিধান। সব বিষয়ে ইসলাম তার অনুসারীদের শৃঙ্খলা ও ঐক্যের শিক্ষা দিয়েছে। জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কাতার সোজা করা শৃঙ্খলার একটি শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। হাদিসে জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কাতার সোজা করার অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা কাতার সোজা করো।

কেননা কাতার সোজা করা নামাজের পরিপূর্ণতার অংশ বিশেষ।’ (বুখারি) উল্লিখিত হাদিসে কাতার সোজা করাকে ‘নামাজের পরিপূর্ণতার অংশ’ বলা হয়েছে। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা নামাজে কাতার সোজা করে নেবে। কেননা কাতার সোজা করা নামাজের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।’ (বুখারি) এ হাদিসে কাতার সোজা করাকে ‘নামাজের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত’ বলা হয়েছে। কাতার সোজা করার ক্ষেত্রে প্রথম দিকের সারিগুলো পূর্ণ করতে হবে এবং মিলেমিশে দাঁড়াতে হবে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, ‘ফেরেশতারা যেভাবে তাঁদের প্রভুর কাছে সারিবদ্ধ হন, তোমরা কি সেভাবে সারিবদ্ধ হবে না।’ আমরা নিবেদন করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ফেরেশতারা তাঁদের প্রভুর কাছে কীভাবে সারিবদ্ধ হন?’ তিনি বললেন, ‘প্রথম সারিগুলো পূর্ণ করেন এবং সারিতে মিলেমিশে দাঁড়ান।’ (মুসলিম)

কাতার সোজা না করার ব্যাপারে হাদিসে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই কাতার সোজা করে নেবে; নতুবা আল্লাহ তাআলা তোমাদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।’ (বুখারি) কাতার সোজা করার পদ্ধতি হলো, মুসল্লিরা একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে এবং মসজিদে কাতার সোজা করার জন্য যে রেখা টানা থাকে, পায়ের গোড়ালি সেখানে রাখবে।

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত