সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্যের ঈদ উদ্যাপন প্রায় কাছাকাছি ধাঁচের। সৌদি আরবে সূর্য ওঠার একটু পরই ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। সাদা জুব্বার সঙ্গে আরবের ঐতিহ্যবাহী আবায়া পরিধান করতে দেখা যায় তাদের। প্রিয়জনদের সঙ্গে ‘আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের ভালো কাজগুলো কবুল করুন’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে। বাড়ির দরজায় অসহায়দের জন্য রাখা হয় শুকনো খাবারের প্যাকেট। ছোটদের ঈদি দেওয়া এবং নানা স্বাদের খাবার রান্নার প্রচলনও রয়েছে সৌদি আরবে।
মিসর
মিসরে ঈদ উদ্যাপনে রয়েছে ভিন্ন এক মাত্রা। টানা চার দিন এখানে ঈদ উদ্যাপন করা হয়। মিসরীয়রা ঈদ উপলক্ষে ফাত্তার নামের একটি বিশেষ খাবার– মিষ্টান্ন তৈরি করে। এ ছাড়া কাহক নামের একটি পিঠাও তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। অসহায় মানুষের মধ্যে ফিতরা বিতরণে মিসরীয়রা বেশ জোর দেয়। নারীরাও ঈদের নামাজ বের হয় এখানে। ‘ঈদ মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর রীতিও রয়েছে।
চীন
চীনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা জিনজিয়ান ও নিংজিয়া প্রদেশে ঈদ উপলক্ষে তিন দিন ছুটি থাকে। মুসলিমদের জন্য এখানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঈদ উদ্যাপনের আয়োজন থাকে। ভেড়া জবাই করা হয় তাদের জন্য। জিয়াং নামের একধরনের বিশেষ খাবার তৈরি করে তারা। ঈদের দিনের সম্মানার্থে রাস্তায় টোল আদায় করা হয় না।
মরক্কো
মরক্কোতে ঈদগাহকে বলা হয় মুসাল্লা। ঈদের নামাজ আদায় করতে তারা মুসাল্লায় সমবেত হয়। নামাজ শেষে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটায়। বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন তৈরি করা হয় এই দিনে। এর মধ্যে কাব ঘাজাল, মাহাঞ্চা, ঘ্রিবা অন্যতম। ঈদ সালামির প্রচলনও রয়েছে এখানে।
তুরস্ক
তুরস্কে অত্যন্ত জমকালোভাবে ঈদ উদ্যাপন করা হয়। ঈদের দিনকে তুর্কিরা ‘রামাদান বেরামি’ বা রামাদান উৎসব ও ‘সেকার বেরামি’ বা মিষ্টি উৎসব বলে আখ্যায়িত করে। শিশুরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বাড়ি-বাড়ি ঘুরে বেড়ায়। বাকলাভা তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টান্ন। এই দিনে বড়দের ডান হাতে চুম্বনের মাধ্যমে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে তারা।
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের দিনকে বলা হয় ‘হারি রায়া ঈদুল ফিতরি’। এ দিনটি ‘লেবারান’ হিসেবেও পরিচিত। ঈদের দিনে তারা বিগত বছরের কৃতকর্মের জন্য আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চায়। ঈদের এই বিশেষ দিনটিতে নারীরা ‘কেবায়া কুরঙ্গ’ এবং পুরুেষরা ‘বাজু কোকো’ নামের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে।
আফগানিস্তান
ঈদের দিনে আফগানরা অতিথিদের ‘জালেবি’ খেতে দেন। ‘তখম জাঙ্গি’ আফগানদের ঈদ উদ্যাপনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ‘তখম জাঙ্গি’ হলো পুরুষেরা ফাঁকা ময়দানে একত্র হয়ে একজন আরেকজনের দিক সেদ্ধ ডিম ছোড়া। ছোটরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এ সময় তারা বলতে থাকেন, ‘খালা ঈদেত মোবারক’।
নাইজেরিয়া
আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় বেশ ঘটা করেই ঈদ উদ্যাপন করা হয়। নতুন পোশাক পরে প্রতিটি পরিবারের নারী-পুরুষ-ছেলে-বুড়ো—সবাই মিলে ঈদের সকালে ঈদগাহে যায়, যা স্থানীয় ভাষায় ‘দুরবা’ নামে পরিচিত। মাঝে সুয়া, জল্লফ রাইস ও মইন মইন দেশটির জনপ্রিয় ঈদ রেসিপি।
সৌদি আরব
মধ্যপ্রাচ্যের ঈদ উদ্যাপন প্রায় কাছাকাছি ধাঁচের। সৌদি আরবে সূর্য ওঠার একটু পরই ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। সাদা জুব্বার সঙ্গে আরবের ঐতিহ্যবাহী আবায়া পরিধান করতে দেখা যায় তাদের। প্রিয়জনদের সঙ্গে ‘আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের ভালো কাজগুলো কবুল করুন’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে। বাড়ির দরজায় অসহায়দের জন্য রাখা হয় শুকনো খাবারের প্যাকেট। ছোটদের ঈদি দেওয়া এবং নানা স্বাদের খাবার রান্নার প্রচলনও রয়েছে সৌদি আরবে।
মিসর
মিসরে ঈদ উদ্যাপনে রয়েছে ভিন্ন এক মাত্রা। টানা চার দিন এখানে ঈদ উদ্যাপন করা হয়। মিসরীয়রা ঈদ উপলক্ষে ফাত্তার নামের একটি বিশেষ খাবার– মিষ্টান্ন তৈরি করে। এ ছাড়া কাহক নামের একটি পিঠাও তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। অসহায় মানুষের মধ্যে ফিতরা বিতরণে মিসরীয়রা বেশ জোর দেয়। নারীরাও ঈদের নামাজ বের হয় এখানে। ‘ঈদ মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর রীতিও রয়েছে।
চীন
চীনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা জিনজিয়ান ও নিংজিয়া প্রদেশে ঈদ উপলক্ষে তিন দিন ছুটি থাকে। মুসলিমদের জন্য এখানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঈদ উদ্যাপনের আয়োজন থাকে। ভেড়া জবাই করা হয় তাদের জন্য। জিয়াং নামের একধরনের বিশেষ খাবার তৈরি করে তারা। ঈদের দিনের সম্মানার্থে রাস্তায় টোল আদায় করা হয় না।
মরক্কো
মরক্কোতে ঈদগাহকে বলা হয় মুসাল্লা। ঈদের নামাজ আদায় করতে তারা মুসাল্লায় সমবেত হয়। নামাজ শেষে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় কাটায়। বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন তৈরি করা হয় এই দিনে। এর মধ্যে কাব ঘাজাল, মাহাঞ্চা, ঘ্রিবা অন্যতম। ঈদ সালামির প্রচলনও রয়েছে এখানে।
তুরস্ক
তুরস্কে অত্যন্ত জমকালোভাবে ঈদ উদ্যাপন করা হয়। ঈদের দিনকে তুর্কিরা ‘রামাদান বেরামি’ বা রামাদান উৎসব ও ‘সেকার বেরামি’ বা মিষ্টি উৎসব বলে আখ্যায়িত করে। শিশুরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বাড়ি-বাড়ি ঘুরে বেড়ায়। বাকলাভা তুরস্কের অন্যতম জনপ্রিয় মিষ্টান্ন। এই দিনে বড়দের ডান হাতে চুম্বনের মাধ্যমে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে তারা।
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় ঈদের দিনকে বলা হয় ‘হারি রায়া ঈদুল ফিতরি’। এ দিনটি ‘লেবারান’ হিসেবেও পরিচিত। ঈদের দিনে তারা বিগত বছরের কৃতকর্মের জন্য আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চায়। ঈদের এই বিশেষ দিনটিতে নারীরা ‘কেবায়া কুরঙ্গ’ এবং পুরুেষরা ‘বাজু কোকো’ নামের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে।
আফগানিস্তান
ঈদের দিনে আফগানরা অতিথিদের ‘জালেবি’ খেতে দেন। ‘তখম জাঙ্গি’ আফগানদের ঈদ উদ্যাপনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ‘তখম জাঙ্গি’ হলো পুরুষেরা ফাঁকা ময়দানে একত্র হয়ে একজন আরেকজনের দিক সেদ্ধ ডিম ছোড়া। ছোটরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এ সময় তারা বলতে থাকেন, ‘খালা ঈদেত মোবারক’।
নাইজেরিয়া
আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় বেশ ঘটা করেই ঈদ উদ্যাপন করা হয়। নতুন পোশাক পরে প্রতিটি পরিবারের নারী-পুরুষ-ছেলে-বুড়ো—সবাই মিলে ঈদের সকালে ঈদগাহে যায়, যা স্থানীয় ভাষায় ‘দুরবা’ নামে পরিচিত। মাঝে সুয়া, জল্লফ রাইস ও মইন মইন দেশটির জনপ্রিয় ঈদ রেসিপি।
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
১ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
১ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
১ দিন আগে