রহমতুল্লাহ শিহাব
ইতিকাফ অর্থ আটকে রাখা, মগ্ন থাকা, কোনো জিনিস আঁকড়ে ধরা। ইসলামের পরিভাষায় বলা হয়, ‘আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মসজিদের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রেখে সেখানে অবস্থান করা এবং দুনিয়াবি সব কাজকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখা।’
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকের ইতিকাফ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নবী (সা.) বিনা প্রয়োজনে কখনো এই আমল ছাড়েননি। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৮১)
ইতিকাফের গুরুত্ব বোঝানোর জন্যই নবী (সা.) জীবনের শেষ বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) প্রতিবছর ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। এরপর যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৯৭)
প্রিয় নবীর সুন্নত পালন ও শেষ দশকের বরকত লাভের আশায় বিপুল আগ্রহ নিয়ে ইতিকাফ করে অনেক মুসলমান। কিন্তু ভুল ধারণা ও অজ্ঞতাবশত অনেকেই মনে করে, ইতিকাফরত অবস্থায় চুপচাপ বসে থাকা ইবাদত। তাই বিভিন্ন নেক আমলে শরিক না হয়ে তারা চুপচাপ বসে থাকে ৷ অথচ ইতিকাফে চুপ থাকা ইবাদত নয়। চুপ থাকাকে ইবাদত মনে করা মাকরুহে তাহরিমি। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১ / ২১২-২১৩)
সুতরাং ইতিকাফকারীদের উচিত, এই ধরনের ভুল ধারণা পরিহার করা এবং অনর্থক চুপচাপ বসে না থেকে নেক আমলে সময় যাপন করা। কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, ধর্মীয় আলোচনা ইত্যাদিতে নিজেদের নিয়োজিত করা উচিত।
ইতিকাফ অর্থ আটকে রাখা, মগ্ন থাকা, কোনো জিনিস আঁকড়ে ধরা। ইসলামের পরিভাষায় বলা হয়, ‘আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মসজিদের মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রেখে সেখানে অবস্থান করা এবং দুনিয়াবি সব কাজকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখা।’
পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকের ইতিকাফ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। নবী (সা.) বিনা প্রয়োজনে কখনো এই আমল ছাড়েননি। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৮১)
ইতিকাফের গুরুত্ব বোঝানোর জন্যই নবী (সা.) জীবনের শেষ বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) প্রতিবছর ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। এরপর যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর ২০ দিন ইতিকাফ করেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৯৭)
প্রিয় নবীর সুন্নত পালন ও শেষ দশকের বরকত লাভের আশায় বিপুল আগ্রহ নিয়ে ইতিকাফ করে অনেক মুসলমান। কিন্তু ভুল ধারণা ও অজ্ঞতাবশত অনেকেই মনে করে, ইতিকাফরত অবস্থায় চুপচাপ বসে থাকা ইবাদত। তাই বিভিন্ন নেক আমলে শরিক না হয়ে তারা চুপচাপ বসে থাকে ৷ অথচ ইতিকাফে চুপ থাকা ইবাদত নয়। চুপ থাকাকে ইবাদত মনে করা মাকরুহে তাহরিমি। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ১ / ২১২-২১৩)
সুতরাং ইতিকাফকারীদের উচিত, এই ধরনের ভুল ধারণা পরিহার করা এবং অনর্থক চুপচাপ বসে না থেকে নেক আমলে সময় যাপন করা। কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, ধর্মীয় আলোচনা ইত্যাদিতে নিজেদের নিয়োজিত করা উচিত।
সন্ধ্যাবেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে। মহানবী (সা.) সাহাবিদের এসব আমল করার উপদেশ দিতেন। এখানে কয়েকটি আমলের
১ ঘণ্টা আগেইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
১ দিন আগেভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২ দিন আগে