আবদুল আযীয কাসেমি
রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.)–এর সূত্রে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, শয়তান ও অবাধ্য জিনদের বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে জাহান্নামের কোনো দরজাই এ মাসে খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। ফলে জান্নাতের কোনো দরজাই এ মাসে বন্ধ হয় না। প্রতি রাতে একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণার্থী, এগিয়ে এসো। হে মন্দান্বেষী, ক্ষান্ত হও। এ মাসে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য পাপীকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন। রমজানের প্রতি রাতেই এ ঘোষণা অব্যাহত থাকে।’ (তিরমিজি: ৬৮২)
হাদিস বিশারদ মোল্লা আলি কারি (রহ.) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘হে কল্যাণার্থী এগিয়ে এসো’—এ কথার অর্থ হলো, আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের প্রতি অগ্রসর হও। কেননা আল্লাহর কাছে ফিরে আসার এটাই যথার্থ সময়। কারণ এ মাসে অল্প আমলের বিনিময়ে তোমাকে বিপুল সাওয়াবের অধিকারী করা হবে। ‘হে মন্দান্বেষী, একটু ক্ষান্ত হও’—এ কথার অর্থ হলো, তুমি পাপাচার থেকে বিরত হয়ে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগী হও। কেননা এটা আল্লাহর কাছে তওবা গৃহীত হওয়ার উপযুক্ত সময়। (মিরকাতুল মাফাতিহ, হাদিস: ১৯৬০)
রমজান মাস এলে আমাদের অনেক ভাই বিপুল দান–দক্ষিণা করেন। গরিব–অসহায় ভাইদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। দরিদ্র স্বজনদের উপহার–উপঢৌকন দেন। নিঃসন্দেহে এসব সওয়াবের কাজ। আল্লাহ কবুল করলে এর ফলে তিনি উত্তম প্রতিদানের অধিকারী হবেন।
অন্যদিকে আরেকটি দুঃখজনক চিত্রও আমরা প্রত্যক্ষ করি। সেটা হলো, সেই দানবীর ব্যক্তিরাই যখন ব্যবসায়ী হিসেবে আবির্ভূত হন, তখন তাঁরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। অনেক সময় সেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। অনেক মানুষ, যারা লজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে পারেন না, তাঁদের জন্য রমজান ও ঈদ যেন হতাশার বার্তা নিয়ে আসে। ইফতার ও সাহরিতে সন্তানের মুখে এক টুকরো গোশত–মাছ তুলে দিতে তাঁদের নাভিশ্বাস ওঠে।
অথচ সেই দানবীর ব্যক্তিরাই দান–দক্ষিণার পরিমাণ কমিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনসাধারণের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারতেন। এতে স্বাভাবিক দান থেকে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী তাঁরা হতে পারতেন।
রমজানের এ সময়টায় আমরা অনেক ব্যবসায়ীদের দেখি, অন্যকে ঠকিয়ে অধিক লাভ করার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা। পুরো বছরের ব্যবসা তাঁরা পবিত্র রমজান মাসেই করতে চান। এমনকি এতটা ব্যাকুলতার সঙ্গে ব্যবসায় ব্যস্ত থাকেন যে, ইবাদতে মনোযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগই থাকে না। যে শেষ দশকের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সে সময়টায় দেখা যায়, মসজিদের তুলনায় মার্কেটগুলোতে মানুষের উপস্থিতির হার বেশি।
আমাদের উচিত, এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে শেষ সময়ে অধিক হারে ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া। পাশাপাশি পণ্যদ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। বিশেষ করে যেসব পণ্যের কোনো বিকল্প নেই, সেসব পণ্যের মূল্য জনসাধারণের হাতের নাগালে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
লেখক: শিক্ষক
রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। এ মাসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অঝোর ধারায় রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এ মাসে ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.)–এর সূত্রে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, শয়তান ও অবাধ্য জিনদের বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে জাহান্নামের কোনো দরজাই এ মাসে খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। ফলে জান্নাতের কোনো দরজাই এ মাসে বন্ধ হয় না। প্রতি রাতে একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে, হে কল্যাণার্থী, এগিয়ে এসো। হে মন্দান্বেষী, ক্ষান্ত হও। এ মাসে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য পাপীকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন। রমজানের প্রতি রাতেই এ ঘোষণা অব্যাহত থাকে।’ (তিরমিজি: ৬৮২)
হাদিস বিশারদ মোল্লা আলি কারি (রহ.) এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘হে কল্যাণার্থী এগিয়ে এসো’—এ কথার অর্থ হলো, আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের প্রতি অগ্রসর হও। কেননা আল্লাহর কাছে ফিরে আসার এটাই যথার্থ সময়। কারণ এ মাসে অল্প আমলের বিনিময়ে তোমাকে বিপুল সাওয়াবের অধিকারী করা হবে। ‘হে মন্দান্বেষী, একটু ক্ষান্ত হও’—এ কথার অর্থ হলো, তুমি পাপাচার থেকে বিরত হয়ে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগী হও। কেননা এটা আল্লাহর কাছে তওবা গৃহীত হওয়ার উপযুক্ত সময়। (মিরকাতুল মাফাতিহ, হাদিস: ১৯৬০)
রমজান মাস এলে আমাদের অনেক ভাই বিপুল দান–দক্ষিণা করেন। গরিব–অসহায় ভাইদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। দরিদ্র স্বজনদের উপহার–উপঢৌকন দেন। নিঃসন্দেহে এসব সওয়াবের কাজ। আল্লাহ কবুল করলে এর ফলে তিনি উত্তম প্রতিদানের অধিকারী হবেন।
অন্যদিকে আরেকটি দুঃখজনক চিত্রও আমরা প্রত্যক্ষ করি। সেটা হলো, সেই দানবীর ব্যক্তিরাই যখন ব্যবসায়ী হিসেবে আবির্ভূত হন, তখন তাঁরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেন। অনেক সময় সেটা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। অনেক মানুষ, যারা লজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে পারেন না, তাঁদের জন্য রমজান ও ঈদ যেন হতাশার বার্তা নিয়ে আসে। ইফতার ও সাহরিতে সন্তানের মুখে এক টুকরো গোশত–মাছ তুলে দিতে তাঁদের নাভিশ্বাস ওঠে।
অথচ সেই দানবীর ব্যক্তিরাই দান–দক্ষিণার পরিমাণ কমিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে জনসাধারণের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারতেন। এতে স্বাভাবিক দান থেকে দ্বিগুণ সওয়াবের অধিকারী তাঁরা হতে পারতেন।
রমজানের এ সময়টায় আমরা অনেক ব্যবসায়ীদের দেখি, অন্যকে ঠকিয়ে অধিক লাভ করার একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা। পুরো বছরের ব্যবসা তাঁরা পবিত্র রমজান মাসেই করতে চান। এমনকি এতটা ব্যাকুলতার সঙ্গে ব্যবসায় ব্যস্ত থাকেন যে, ইবাদতে মনোযোগ দেওয়ার কোনো সুযোগই থাকে না। যে শেষ দশকের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সে সময়টায় দেখা যায়, মসজিদের তুলনায় মার্কেটগুলোতে মানুষের উপস্থিতির হার বেশি।
আমাদের উচিত, এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে শেষ সময়ে অধিক হারে ইবাদতের প্রতি মনোযোগী হওয়া। পাশাপাশি পণ্যদ্রব্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। বিশেষ করে যেসব পণ্যের কোনো বিকল্প নেই, সেসব পণ্যের মূল্য জনসাধারণের হাতের নাগালে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিশেষ খেয়াল রাখা উচিত।
লেখক: শিক্ষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৯ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১০ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১০ ঘণ্টা আগে