মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
বৃষ্টি পৃথিবীবাসীর জন্য মহান আল্লাহর রহমত। বৃষ্টি হয় বলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। বৃষ্টি একদিকে মৃত জমিতে প্রাণ সঞ্চারিত করে শস্য উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে, যা খেয়ে বেঁচে থাকে মানুষ ও জীবজন্তু, আরেক দিকে তা ভূগর্ভে জমা হয়ে পৃথিবীবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। এই সত্যের দিকে নির্দেশ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ সেই সত্তা, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, এরপর তা মেঘ সঞ্চারিত করে, এরপর আমি তা চালিয়ে নিয়ে যাই এমন ভূখণ্ডের দিকে, যা (খরার কারণে) নির্জীব হয়ে গেছে। তারপর আমি তা দিয়ে ভূমিকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় সঞ্জীবিত করি।’ (সুরা ফাতির: ৯)
অনেক সময় মানুষের পাপের কারণে অথবা মহান প্রভুর অন্য কোনো হিকমতের কারণে পৃথিবীতে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। বৃষ্টির মৌসুমেও বৃষ্টি হয় না। জমি শুকিয়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গাছপালা মরে যায়। ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যায়। এভাবে খাদ্য ও পানির অভাবে চরম দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়। তখন পৃথিবীবাসী নিজ নিজ বিশ্বাস ও রীতি অনুসারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। আর মুমিনরা বৃষ্টির একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলার কাছে কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে এবং বিনয়াবনত হয়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। এটাকেই বলা হয় ইসতিসকা বা বৃষ্টির প্রার্থনা।
পূর্ববর্তী নবীদের বৃষ্টি প্রার্থনা
রাসুল (সা.)-এর আগেও নবী-রাসুল ও মুমিনগণ আল্লাহর কাছে পানির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, যার বিবরণ কোরআন ও হাদিসে এসেছে। যেমন নুহ (আ.)-এর কওমের ক্রমাগত আল্লাহর নাফরমানির শাস্তিস্বরূপ যখন আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দিলেন, তখন নুহ (আ.) তাদের বৃষ্টি প্রার্থনার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে গুনাহ ক্ষমা চাও; নিশ্চয়ই তিনি মহা ক্ষমাশীল। তখন তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (তাফসিরে কুরতুবি, সুরা নুহ: ১০-১১)
বনি ইসরাইল যখন পানিসংকটে পড়ল, তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে পানির জন্য প্রার্থনা করলেন। পবিত্র কোরআনে তা এভাবে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর যখন মুসা তার জাতির জন্য পানি প্রার্থনা করল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরটিকে আঘাত করো। তখনই সে পাথর থেকে ১২টি পানির ধারা জারি হয়ে গেল।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
একইভাবে একদিন সোলায়মান (আ.) লোকজন নিয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করার জন্য বের হলেন। তখন তিনি দেখলেন, একটি পিঁপড়া চিৎ হয়ে শুয়ে দোয়া করছে, ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার অন্যতম মাখলুক। তোমার বৃষ্টি ও রিজিকের আমার খুব প্রয়োজন। সুতরাং হয় বৃষ্টি বর্ষণ করুন, নয়তো আমাকে মৃত্যু দান করুন।’ এটা শুনে সোলায়মান (আ.) লোকজনকে বললেন, ‘ফিরে যাও। অন্য মাখলুকের দোয়ার বরকতে বৃষ্টি বর্ষিত হবে।’ (দারাকুতনি, ইবনে আসাকির)
মহানবী (সা.)-এর যুগে বৃষ্টিপ্রার্থনা
এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর সাহাবিগণ প্রয়োজনের সময় আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। সাধারণ দোয়া-ইসতিগফার ও বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা)—এ দুই পদ্ধতিতে বৃষ্টিপ্রার্থনা করার কথা বর্ণিত আছে তাঁদের থেকে।
দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা
আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, জুমার দিন রাসুল (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে বললেন, ‘ (অনাবৃষ্টির কারণে) মাল-সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবিকার পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দান করেন। রাসুল (সা.) দুই হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করুন, আমাদের বৃষ্টি দান করুন।’ আনাস (রা.) বলেন, দোয়ার পরপরই আকাশে মেঘ ছেয়ে গেল এবং অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামল। (বুখারি ও মুসলিম)
নামাজের মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা
খরা দেখা দিলে রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম খোলা ময়দানে গিয়ে ঈদের নামাজের মতো দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। এরপর কিবলামুখী হয়ে আকাশের দিকে হাত তুলে কান্নাকাটি করে দোয়া করতেন। একেই সালাতুল ইসতিসকা বলা হয়। বিশিষ্ট ফকিহ ইবনে আবদুল বার বলেন, সব আলিম এ বিষয়ে একমত যে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের সময় সালাতুল ইসতিসকা পড়া সুন্নত। (আত তামহিদ)
রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম সালাতুল ইসতিসকা পড়েছেন—এমন অসংখ্য বর্ণনা এসেছে হাদিসের কিতাবগুলোতে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনার উদ্দেশ্যে বের হলেন। এরপর আমাদের নিয়ে আজান-ইকামত ছাড়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন। নামাজের পর খুতবা দিলেন এবং কিবলার দিকে ফিরে হাত তুলে দোয়া করলেন। এরপর চাদরের ডানের অংশ বাঁয়ে এবং বাঁয়ের অংশ ডানে পরিবর্তন করে দিলেন। (আহমদ, ইবনে মাজাহ)
সাহাবিদের যুগে বৃষ্টি প্রার্থনা
সাবিত আল বুনানি বর্ণনা করেন, আনাস (রা.)-এর জমির তত্ত্বাবধায়ক এসে বললেন, অনাবৃষ্টির কারণে আপনার জমি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছে। তখন আনাস (রা.) চাদর জড়িয়ে খোলা ময়দানে গেলেন এবং নামাজ আদায় করে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি নেমে এল। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)
শাবি বর্ণনা করেন, একদিন ওমর (রা.) বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করার উদ্দেশ্যে বের হলেন। কিন্তু শুধু অধিকহারে ইসতিগফার (গুনাহ ক্ষমা চাওয়া) ছাড়া আর কিছুই করলেন না। লোকেরা বলল, ‘আপনি ইসতিসকা (বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা) করলেন না যে?’ তিনি বললেন, ‘যে বস্তু আকাশ থেকে বৃষ্টি নামিয়ে আনে (অর্থাৎ ইসতিগফার), আমি তার মাধ্যমে বৃষ্টি চেয়েছি।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক)
বৃষ্টি পৃথিবীবাসীর জন্য মহান আল্লাহর রহমত। বৃষ্টি হয় বলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে। বৃষ্টি একদিকে মৃত জমিতে প্রাণ সঞ্চারিত করে শস্য উৎপাদনের উপযোগী করে তোলে, যা খেয়ে বেঁচে থাকে মানুষ ও জীবজন্তু, আরেক দিকে তা ভূগর্ভে জমা হয়ে পৃথিবীবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। এই সত্যের দিকে নির্দেশ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ সেই সত্তা, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, এরপর তা মেঘ সঞ্চারিত করে, এরপর আমি তা চালিয়ে নিয়ে যাই এমন ভূখণ্ডের দিকে, যা (খরার কারণে) নির্জীব হয়ে গেছে। তারপর আমি তা দিয়ে ভূমিকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় সঞ্জীবিত করি।’ (সুরা ফাতির: ৯)
অনেক সময় মানুষের পাপের কারণে অথবা মহান প্রভুর অন্য কোনো হিকমতের কারণে পৃথিবীতে অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। বৃষ্টির মৌসুমেও বৃষ্টি হয় না। জমি শুকিয়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গাছপালা মরে যায়। ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যায়। এভাবে খাদ্য ও পানির অভাবে চরম দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হয়। তখন পৃথিবীবাসী নিজ নিজ বিশ্বাস ও রীতি অনুসারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। আর মুমিনরা বৃষ্টির একমাত্র মালিক আল্লাহ তাআলার কাছে কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে এবং বিনয়াবনত হয়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে। এটাকেই বলা হয় ইসতিসকা বা বৃষ্টির প্রার্থনা।
পূর্ববর্তী নবীদের বৃষ্টি প্রার্থনা
রাসুল (সা.)-এর আগেও নবী-রাসুল ও মুমিনগণ আল্লাহর কাছে পানির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, যার বিবরণ কোরআন ও হাদিসে এসেছে। যেমন নুহ (আ.)-এর কওমের ক্রমাগত আল্লাহর নাফরমানির শাস্তিস্বরূপ যখন আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দিলেন, তখন নুহ (আ.) তাদের বৃষ্টি প্রার্থনার পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তোমরা তোমাদের রবের কাছে গুনাহ ক্ষমা চাও; নিশ্চয়ই তিনি মহা ক্ষমাশীল। তখন তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।’ (তাফসিরে কুরতুবি, সুরা নুহ: ১০-১১)
বনি ইসরাইল যখন পানিসংকটে পড়ল, তখন মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে পানির জন্য প্রার্থনা করলেন। পবিত্র কোরআনে তা এভাবে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর যখন মুসা তার জাতির জন্য পানি প্রার্থনা করল, তখন আমি বললাম, তোমার লাঠি দিয়ে পাথরটিকে আঘাত করো। তখনই সে পাথর থেকে ১২টি পানির ধারা জারি হয়ে গেল।’ (সুরা বাকারা: ৬০)
একইভাবে একদিন সোলায়মান (আ.) লোকজন নিয়ে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করার জন্য বের হলেন। তখন তিনি দেখলেন, একটি পিঁপড়া চিৎ হয়ে শুয়ে দোয়া করছে, ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার অন্যতম মাখলুক। তোমার বৃষ্টি ও রিজিকের আমার খুব প্রয়োজন। সুতরাং হয় বৃষ্টি বর্ষণ করুন, নয়তো আমাকে মৃত্যু দান করুন।’ এটা শুনে সোলায়মান (আ.) লোকজনকে বললেন, ‘ফিরে যাও। অন্য মাখলুকের দোয়ার বরকতে বৃষ্টি বর্ষিত হবে।’ (দারাকুতনি, ইবনে আসাকির)
মহানবী (সা.)-এর যুগে বৃষ্টিপ্রার্থনা
এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর সাহাবিগণ প্রয়োজনের সময় আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। সাধারণ দোয়া-ইসতিগফার ও বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকা)—এ দুই পদ্ধতিতে বৃষ্টিপ্রার্থনা করার কথা বর্ণিত আছে তাঁদের থেকে।
দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা
আনাস (রা) থেকে বর্ণিত, জুমার দিন রাসুল (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে বললেন, ‘ (অনাবৃষ্টির কারণে) মাল-সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জীবিকার পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দান করেন। রাসুল (সা.) দুই হাত উঠিয়ে দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করুন, আমাদের বৃষ্টি দান করুন।’ আনাস (রা.) বলেন, দোয়ার পরপরই আকাশে মেঘ ছেয়ে গেল এবং অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামল। (বুখারি ও মুসলিম)
নামাজের মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা
খরা দেখা দিলে রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম খোলা ময়দানে গিয়ে ঈদের নামাজের মতো দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। এরপর কিবলামুখী হয়ে আকাশের দিকে হাত তুলে কান্নাকাটি করে দোয়া করতেন। একেই সালাতুল ইসতিসকা বলা হয়। বিশিষ্ট ফকিহ ইবনে আবদুল বার বলেন, সব আলিম এ বিষয়ে একমত যে অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের সময় সালাতুল ইসতিসকা পড়া সুন্নত। (আত তামহিদ)
রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম সালাতুল ইসতিসকা পড়েছেন—এমন অসংখ্য বর্ণনা এসেছে হাদিসের কিতাবগুলোতে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) বৃষ্টি প্রার্থনার উদ্দেশ্যে বের হলেন। এরপর আমাদের নিয়ে আজান-ইকামত ছাড়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন। নামাজের পর খুতবা দিলেন এবং কিবলার দিকে ফিরে হাত তুলে দোয়া করলেন। এরপর চাদরের ডানের অংশ বাঁয়ে এবং বাঁয়ের অংশ ডানে পরিবর্তন করে দিলেন। (আহমদ, ইবনে মাজাহ)
সাহাবিদের যুগে বৃষ্টি প্রার্থনা
সাবিত আল বুনানি বর্ণনা করেন, আনাস (রা.)-এর জমির তত্ত্বাবধায়ক এসে বললেন, অনাবৃষ্টির কারণে আপনার জমি তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছে। তখন আনাস (রা.) চাদর জড়িয়ে খোলা ময়দানে গেলেন এবং নামাজ আদায় করে দোয়া করলেন। সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি নেমে এল। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)
শাবি বর্ণনা করেন, একদিন ওমর (রা.) বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করার উদ্দেশ্যে বের হলেন। কিন্তু শুধু অধিকহারে ইসতিগফার (গুনাহ ক্ষমা চাওয়া) ছাড়া আর কিছুই করলেন না। লোকেরা বলল, ‘আপনি ইসতিসকা (বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা) করলেন না যে?’ তিনি বললেন, ‘যে বস্তু আকাশ থেকে বৃষ্টি নামিয়ে আনে (অর্থাৎ ইসতিগফার), আমি তার মাধ্যমে বৃষ্টি চেয়েছি।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক)
ভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২০ ঘণ্টা আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
২ দিন আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
২ দিন আগে