আবদুল আযীয কাসেমি
নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোকন হলো প্রতি দুই রাকাত পরপর বসা। চার ও তিন রাকাতবিশিষ্ট নামাজে বৈঠক হয় দুটি। ফরজ নামাজগুলোতে প্রথম বৈঠক ওয়াজিব এবং দ্বিতীয় বৈঠক ফরজ। আর নফল নামাজে প্রতি দুই রাকাতে বৈঠক করা ফরজ। দুটোর মধ্যে পার্থক্য হলো, ভুলে যদি কেউ ওয়াজিব ছেড়ে দেন, তবে সিজদায়ে সাহুর মাধ্যমে সেটা ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব। পক্ষান্তরে যদি কেউ ভুলে ফরজ ছেড়ে দেন, তবে তাঁর নামাজই বাতিল ও অশুদ্ধ বলে গণ্য হবে। বোঝা গেল, কেউ যদি ওয়াজিব ইচ্ছা করে ছেড়ে দেন, তবে তাঁর নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।
বসার নিয়ম হলো, অত্যন্ত প্রশান্ত চিত্তে দুই পা বিছিয়ে দিয়ে বাম পায়ের ওপর ভর দিয়ে বসবেন। ডান পা কিবলামুখী করে সোজা রাখবেন। এ বিষয়ে অনেকের অবহেলা দেখা যায়। কেউ কেউ উভয় পা বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর ভর দিয়ে বসে থাকেন। আবার কেউ কেউ ডান পায়ের ওপর ভর দিয়ে বসে বাঁ পা বিছিয়ে রাখেন। আবার কাউকে দেখা যায়, দুই পা দুই প্রান্তে রেখে নিতম্বের ওপর বসে যান।
এসব পদ্ধতি ভুল। বসার পর ডান হাত ডান রানের ওপর রাখবেন। বাঁ হাত রাখবেন বাঁ রানের ওপর। আঙুলগুলো স্বাভাবিকভাবে মেলানো ছাড়াই কেবলামুখী করে রাখবেন। এরপর তাশাহ্হুদ পাঠ করতে হবে। তাশাহ্হুদের মধ্যে যখন ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা’ পর্যন্ত পৌঁছবেন, তখন ডান হাতের শাহাদাত আঙুল ওঠাবেন এবং যখন ‘ইল্লাল্লাহ’ বলবেন, তখন সে আঙুলের মাধ্যমে কেবলার দিকে ইঙ্গিত করবেন। বাকি তিনটি আঙুল তখন স্বাভাবিকভাবেই মুষ্টির ভেতর চলে আসবে। এভাবেই বৈঠকের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। তাশাহ্হুদের পর দরুদ ও কোরআন-হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়ার মাধ্যমে নামাজ সমাপ্ত করবেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোকন হলো প্রতি দুই রাকাত পরপর বসা। চার ও তিন রাকাতবিশিষ্ট নামাজে বৈঠক হয় দুটি। ফরজ নামাজগুলোতে প্রথম বৈঠক ওয়াজিব এবং দ্বিতীয় বৈঠক ফরজ। আর নফল নামাজে প্রতি দুই রাকাতে বৈঠক করা ফরজ। দুটোর মধ্যে পার্থক্য হলো, ভুলে যদি কেউ ওয়াজিব ছেড়ে দেন, তবে সিজদায়ে সাহুর মাধ্যমে সেটা ক্ষতিপূরণ করা সম্ভব। পক্ষান্তরে যদি কেউ ভুলে ফরজ ছেড়ে দেন, তবে তাঁর নামাজই বাতিল ও অশুদ্ধ বলে গণ্য হবে। বোঝা গেল, কেউ যদি ওয়াজিব ইচ্ছা করে ছেড়ে দেন, তবে তাঁর নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।
বসার নিয়ম হলো, অত্যন্ত প্রশান্ত চিত্তে দুই পা বিছিয়ে দিয়ে বাম পায়ের ওপর ভর দিয়ে বসবেন। ডান পা কিবলামুখী করে সোজা রাখবেন। এ বিষয়ে অনেকের অবহেলা দেখা যায়। কেউ কেউ উভয় পা বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর ভর দিয়ে বসে থাকেন। আবার কেউ কেউ ডান পায়ের ওপর ভর দিয়ে বসে বাঁ পা বিছিয়ে রাখেন। আবার কাউকে দেখা যায়, দুই পা দুই প্রান্তে রেখে নিতম্বের ওপর বসে যান।
এসব পদ্ধতি ভুল। বসার পর ডান হাত ডান রানের ওপর রাখবেন। বাঁ হাত রাখবেন বাঁ রানের ওপর। আঙুলগুলো স্বাভাবিকভাবে মেলানো ছাড়াই কেবলামুখী করে রাখবেন। এরপর তাশাহ্হুদ পাঠ করতে হবে। তাশাহ্হুদের মধ্যে যখন ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা’ পর্যন্ত পৌঁছবেন, তখন ডান হাতের শাহাদাত আঙুল ওঠাবেন এবং যখন ‘ইল্লাল্লাহ’ বলবেন, তখন সে আঙুলের মাধ্যমে কেবলার দিকে ইঙ্গিত করবেন। বাকি তিনটি আঙুল তখন স্বাভাবিকভাবেই মুষ্টির ভেতর চলে আসবে। এভাবেই বৈঠকের শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। তাশাহ্হুদের পর দরুদ ও কোরআন-হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়ার মাধ্যমে নামাজ সমাপ্ত করবেন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
৩৯ মিনিট আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১ দিন আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১ দিন আগে