মাহমুদ হাসান ফাহিম
মোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ। আহলে কিতাবরা পূর্ব তথ্য অনুযায়ী এর মাধ্যমে রাসুল (সা.)-এর পরিচয় জানত এবং শনাক্ত করতে পারত যে, তিনিই সেই প্রতীক্ষিত সর্বশেষ নবী। (সিরাত বিশ্বকোষ: ৪/২৬১)
পূর্ববর্তী সব নবী ও রাসুলের সঙ্গেই বিশেষ একটা চিহ্ন বা নিদর্শন ছিল, যা দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যেত তিনি আল্লাহর মনোনীত পুরুষ। এ প্রসঙ্গে হজরত ওয়াহব ইবনে মুনাব্বিহ (র.) বলেন, আল্লাহ তাআলা সব নবীকে তাঁর ডান হাতে নবুয়তের তিলক দিয়ে প্রেরণ করেন। আর মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়তের তিলক ছিল পৃষ্ঠদেশে কাঁধের মাঝখানে।
মোহরে নবুয়তের কথা প্রসিদ্ধ হাদিস ও সিরাত গ্রন্থসমূহে বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। বেশ কয়েকজন সাহাবি তা স্বচক্ষে দেখেছেন, কেউবা হাতে স্পর্শ করেছেন, আবার কেউ চুম্বনও করেছেন। তাঁরা সবাই এর বিবরণ দিয়েছেন। তবে এর আকৃতির বর্ণনা ও সাদৃশ্য নিরূপণ করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এর সমাধান দিয়ে ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের অভিমত হলো, মোহরে নবুয়ত রাসুল (সা.)-এর পিঠে বাম কাঁধের কাছে ছিল, যার আকৃতি ছোট অবস্থায় কবুতরের ডিমের, আর বড় হলে হাতের মুষ্টির মতো হতো।’ (ফাতহুল বারি: ৬/৫৬৩)
হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর পিঠে মোহরে নবুয়ত দেখেছি, যা দেখতে অনেকটা কবুতরের ডিমের মতো।’ অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে, একখণ্ড গোশতের টুকরা বা মাংসপিণ্ড ইত্যাদি। (বাইহাকী, দালাইলুন নুবুওয়াহ: ১/১৫৯) তাতে লেখা ছিল, ‘মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’ (সা.) এবং তা থেকে মিসকের মতো সুগন্ধি বিচ্ছুরিত হতো। (সুয়ুতি, খাসায়েসুল কুবরা)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ। আহলে কিতাবরা পূর্ব তথ্য অনুযায়ী এর মাধ্যমে রাসুল (সা.)-এর পরিচয় জানত এবং শনাক্ত করতে পারত যে, তিনিই সেই প্রতীক্ষিত সর্বশেষ নবী। (সিরাত বিশ্বকোষ: ৪/২৬১)
পূর্ববর্তী সব নবী ও রাসুলের সঙ্গেই বিশেষ একটা চিহ্ন বা নিদর্শন ছিল, যা দ্বারা নিশ্চিত হওয়া যেত তিনি আল্লাহর মনোনীত পুরুষ। এ প্রসঙ্গে হজরত ওয়াহব ইবনে মুনাব্বিহ (র.) বলেন, আল্লাহ তাআলা সব নবীকে তাঁর ডান হাতে নবুয়তের তিলক দিয়ে প্রেরণ করেন। আর মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়তের তিলক ছিল পৃষ্ঠদেশে কাঁধের মাঝখানে।
মোহরে নবুয়তের কথা প্রসিদ্ধ হাদিস ও সিরাত গ্রন্থসমূহে বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। বেশ কয়েকজন সাহাবি তা স্বচক্ষে দেখেছেন, কেউবা হাতে স্পর্শ করেছেন, আবার কেউ চুম্বনও করেছেন। তাঁরা সবাই এর বিবরণ দিয়েছেন। তবে এর আকৃতির বর্ণনা ও সাদৃশ্য নিরূপণ করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এর সমাধান দিয়ে ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের অভিমত হলো, মোহরে নবুয়ত রাসুল (সা.)-এর পিঠে বাম কাঁধের কাছে ছিল, যার আকৃতি ছোট অবস্থায় কবুতরের ডিমের, আর বড় হলে হাতের মুষ্টির মতো হতো।’ (ফাতহুল বারি: ৬/৫৬৩)
হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর পিঠে মোহরে নবুয়ত দেখেছি, যা দেখতে অনেকটা কবুতরের ডিমের মতো।’ অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে, একখণ্ড গোশতের টুকরা বা মাংসপিণ্ড ইত্যাদি। (বাইহাকী, দালাইলুন নুবুওয়াহ: ১/১৫৯) তাতে লেখা ছিল, ‘মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’ (সা.) এবং তা থেকে মিসকের মতো সুগন্ধি বিচ্ছুরিত হতো। (সুয়ুতি, খাসায়েসুল কুবরা)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১৫ ঘণ্টা আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
১ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগেসুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, বিপদাপদ—এসব আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আল্লাহ তাআলা মাঝেমধ্যে আমাদের পরীক্ষা করেন। জানমাল, ধনসম্পদের ক্ষতি কিংবা অন্য কোনো বিপদাপদ দিয়ে।
৪ দিন আগে