মাহমুদ হাসান ফাহিম
ময়মনসিংহ জেলার চরসিরতা ইউনিয়নের চরখরিচা গ্রামে সবুজ ছায়াঘেরা পরিবেশে নির্মিত অপূর্ব সুন্দর একটি মসজিদের নাম মদিনা মসজিদ। নিভৃত গ্রামে অবস্থিত আধুনিক নির্মাণশৈলীর মসজিদটির সৌন্দর্যের কথা মানুষের মুখে মুখে। ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সুবিশাল এই মসজিদ দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় করে। মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির অনুকরণে নকশা তৈরি করা হয়েছে বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে মদিনা মসজিদ। মসজিদে নববির মতোই এর মিনার ও অবকাঠামো। বাংলাদেশের মসজিদ স্থাপত্যে এ এক অনন্য সংযোজন।
২০১১ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। মসজিদে নববির নকশা অনুযায়ী অনন্য স্থাপত্যে এই মসজিদের প্রধান আকর্ষণ বৈদ্যুতিক গম্বুজ। মসজিদের মাঝখানের বড় আকৃতির গম্বুজটি বৈদ্যুতিক সুইচের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরে যায়, আবার একই জায়গায় ফিরে আসে। গম্বুজটি সরে গেলেই ভেতর থেকে দেখা যায় খোলা আকাশ। এটিই দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক গম্বুজের মসজিদ।
এ ছাড়া মসজিদের ছাদে চার কোনায় চারটি এবং সামনের দিকে চারটিসহ একই আকৃতির মোট আটটি দৃষ্টিনন্দন গম্বুজ রয়েছে। দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে চারতলার ছাদ থেকে ১৬০ ফুট উচ্চতার শৈল্পিক কারুকার্যখচিত দৃষ্টিনন্দন দুটি মিনার। মিনার থেকে ভেসে আসা আজানের ধ্বনিতে মুসল্লিদের প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
চারতলাবিশিষ্ট মসজিদটির নিচতলায় কাতারের সংখ্যা ১৭। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় কাতারের সংখ্যা ২০। প্রতি কাতারে নামাজ আদায় করতে পারেন ১১০ জন মুসল্লি। নিচতলায় বাইরের বারান্দায় রয়েছে আরও তিন কাতার। মসজিদের মেঝেসহ ভেতরের অংশে ব্যবহার করা হয়েছে মার্বেল পাথর। মসজিদের প্রবেশমুখের স্তম্ভগুলোতে লাগানো হয়েছে মিরর টাইলস। সুবিশাল সেগুন কাঠের দরজায় বাহারি কারুকাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মনকাড়া নান্দনিক নকশা। রয়েছে মানানসই ঝাড়বাতি।
প্রশস্ত চারটি সিঁড়ি দিয়ে সহজেই ওঠানামা করতে পারেন মুসল্লিরা। মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে ছোট-বড় ছয়টি কাঠের দরজা। দুই পাশে রয়েছে স্বচ্ছ কাচের দেয়াল। শুক্রবার জুমার নামাজে মুসল্লিদের সমাগম হয় সবচেয়ে বেশি। মসজিদের বাইরেও নামাজে অংশ নেন মুসল্লিরা।
এই মসজিদ নির্মাণের জন্য শুরুতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বর্তমানে নির্মাণকাজ ৯০ শতাংশ শেষ। পুরো কাজ শেষ হলে ব্যয় আরও বেড়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন গুলশান আজাদ মসজিদের খতিব ও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
শম্ভুগঞ্জ, পরাণগঞ্জ সড়কের পাশেই অবস্থিত এই মসজিদ। ময়মনসিংহ শহর থেকে স্থলপথে বা ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে খুব সহজে আসা যায় এখানে। ক্রমেই মসজিদটি হয়ে উঠছে ময়মনসিংহ অঞ্চলের দর্শনীয় স্থান।
ময়মনসিংহ জেলার চরসিরতা ইউনিয়নের চরখরিচা গ্রামে সবুজ ছায়াঘেরা পরিবেশে নির্মিত অপূর্ব সুন্দর একটি মসজিদের নাম মদিনা মসজিদ। নিভৃত গ্রামে অবস্থিত আধুনিক নির্মাণশৈলীর মসজিদটির সৌন্দর্যের কথা মানুষের মুখে মুখে। ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সুবিশাল এই মসজিদ দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় করে। মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির অনুকরণে নকশা তৈরি করা হয়েছে বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে মদিনা মসজিদ। মসজিদে নববির মতোই এর মিনার ও অবকাঠামো। বাংলাদেশের মসজিদ স্থাপত্যে এ এক অনন্য সংযোজন।
২০১১ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। মসজিদে নববির নকশা অনুযায়ী অনন্য স্থাপত্যে এই মসজিদের প্রধান আকর্ষণ বৈদ্যুতিক গম্বুজ। মসজিদের মাঝখানের বড় আকৃতির গম্বুজটি বৈদ্যুতিক সুইচের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরে যায়, আবার একই জায়গায় ফিরে আসে। গম্বুজটি সরে গেলেই ভেতর থেকে দেখা যায় খোলা আকাশ। এটিই দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক গম্বুজের মসজিদ।
এ ছাড়া মসজিদের ছাদে চার কোনায় চারটি এবং সামনের দিকে চারটিসহ একই আকৃতির মোট আটটি দৃষ্টিনন্দন গম্বুজ রয়েছে। দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে চারতলার ছাদ থেকে ১৬০ ফুট উচ্চতার শৈল্পিক কারুকার্যখচিত দৃষ্টিনন্দন দুটি মিনার। মিনার থেকে ভেসে আসা আজানের ধ্বনিতে মুসল্লিদের প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
চারতলাবিশিষ্ট মসজিদটির নিচতলায় কাতারের সংখ্যা ১৭। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় কাতারের সংখ্যা ২০। প্রতি কাতারে নামাজ আদায় করতে পারেন ১১০ জন মুসল্লি। নিচতলায় বাইরের বারান্দায় রয়েছে আরও তিন কাতার। মসজিদের মেঝেসহ ভেতরের অংশে ব্যবহার করা হয়েছে মার্বেল পাথর। মসজিদের প্রবেশমুখের স্তম্ভগুলোতে লাগানো হয়েছে মিরর টাইলস। সুবিশাল সেগুন কাঠের দরজায় বাহারি কারুকাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মনকাড়া নান্দনিক নকশা। রয়েছে মানানসই ঝাড়বাতি।
প্রশস্ত চারটি সিঁড়ি দিয়ে সহজেই ওঠানামা করতে পারেন মুসল্লিরা। মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে ছোট-বড় ছয়টি কাঠের দরজা। দুই পাশে রয়েছে স্বচ্ছ কাচের দেয়াল। শুক্রবার জুমার নামাজে মুসল্লিদের সমাগম হয় সবচেয়ে বেশি। মসজিদের বাইরেও নামাজে অংশ নেন মুসল্লিরা।
এই মসজিদ নির্মাণের জন্য শুরুতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা। বর্তমানে নির্মাণকাজ ৯০ শতাংশ শেষ। পুরো কাজ শেষ হলে ব্যয় আরও বেড়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন গুলশান আজাদ মসজিদের খতিব ও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রার শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।
শম্ভুগঞ্জ, পরাণগঞ্জ সড়কের পাশেই অবস্থিত এই মসজিদ। ময়মনসিংহ শহর থেকে স্থলপথে বা ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে খুব সহজে আসা যায় এখানে। ক্রমেই মসজিদটি হয়ে উঠছে ময়মনসিংহ অঞ্চলের দর্শনীয় স্থান।
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১৯ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৩ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
৩ দিন আগে