ঋণগ্রস্ত হতে নিরুৎসাহিত করেছে ইসলাম

মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২: ০৬
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩: ০১

ঋণ দেওয়া বড় সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) নিজেও অভাবের সময়ে ঋণ গ্রহণ করেছেন। তবে পারতপক্ষে ঋণ নিতে নিরুৎসাহিত করেছেন তিনি। কারণ ঋণগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার পর তা শোধ না করে মারা গেলে পরকালে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে। হাদিসে তিনটি জিনিসকে ক্ষুদ্র মনে করে অবহেলা না করতে বলা হয়েছে, তা হলো ঋণ, রোগ ও শত্রু।

অবশ্য একান্ত অপারগ হলে ঋণ গ্রহণ করতে শরিয়তে বাধা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। সুদের বিনিময়ে ঋণ নেওয়া ইসলাম অনুমোদনই করে না। আর সুদবিহীন ঋণ নেওয়ার অনুমোদন থাকলেও তা যত দ্রুত সম্ভব শোধ করে দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য হজ, জাকাত, কোরবানি ও ফিতরার মতো আবশ্যকীয় ইবাদতও স্থগিত করা হয়েছে। ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে এসব ইবাদত আবশ্যক হবে না। এমনকি ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি জাকাতও গ্রহণ করতে পারবে। 

ঋণ গ্রহণে নিরুৎসাহিত করার কারণ হলো, ঋণ বান্দার হক। তাই তা শোধ করতে না পারলে পরকালে এর জন্য দায়ী হতে হবে। আল্লাহর রহমতেও এ বিষয়ে ক্ষমা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ বান্দার হক আল্লাহ মাফ করেন না। সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির মৃত্যু হবে অহংকার, খিয়ানত এবং ঋণ থেকে মুক্ত হয়ে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি: ১৫৭২) অর্থাৎ ঋণগ্রস্ত হয়ে মারা গেলে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

এ কারণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) মৃত ব্যক্তির সম্পদ ওয়ারিশদের মধ্যে বণ্টনের আগে মৃতের ঋণ পরিশোধ করার আদেশ দিয়েছেন। অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহর পথে শাহাদাতবরণকারী ব্যক্তিও ঋণ পরিশোধ না করে শহীদ হলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (আহমাদ: ২২৪৯৩)

মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত