আবরার নাঈম
হজের শাব্দিক অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা, সফর করা। পরিভাষায় আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টিলাভের আশায় নির্দিষ্ট দিন-তারিখে, মক্কার কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কিছু কাজ সম্পাদন করাকে হজ বলা হয়। হজ কত হিজরিতে ফরজ হয়, সে ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। ষষ্ঠ হিজরি, নবম হিজরি ও দশম হিজরি। তবে এর মধ্যে নবম ও দশম হিজরির মতটি অধিক শুদ্ধ।
হজের ঘোষণা
হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.) মিলে পবিত্র কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করার পর আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম (আ.)কে নির্দেশ দিলেন মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা করতে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা করে দাও, তারা তোমার কাছে আসবে পদব্রজে ও সব ধরনের ক্ষীণকায় উঠের পিঠে সওয়ার হয়ে। তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে।’ (সুরা হজ: ২৭)
হজ যাদের ওপর ফরজ
পবিত্র কাবাঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তির ওপর জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। হোক সে নারী বা পুরুষ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর জন্য ওই ঘরের হজ করা মানুষের জন্য আবশ্যক, যার সে পর্যন্ত পৌঁছানোর সামর্থ্য আছে। যে ব্যক্তি অস্বীকার করবে (সে জেনে রাখুক), নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা বিশ্বজাহানের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আল ইমরান: ৯৭)
হজের গুরুত্ব
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করব না?’ তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হলো নিয়মকানুনসহ পালনকৃত হজ।’ (সহিহ বুখারি: ১৫২০)
হজের ফজিলত
অন্য হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে হজ করবে এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকবে, সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসবে, যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।’ (সহিহ বুখারি: ১৫২১)
লেখক: শিক্ষক
হজের শাব্দিক অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা, সফর করা। পরিভাষায় আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টিলাভের আশায় নির্দিষ্ট দিন-তারিখে, মক্কার কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কিছু কাজ সম্পাদন করাকে হজ বলা হয়। হজ কত হিজরিতে ফরজ হয়, সে ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। ষষ্ঠ হিজরি, নবম হিজরি ও দশম হিজরি। তবে এর মধ্যে নবম ও দশম হিজরির মতটি অধিক শুদ্ধ।
হজের ঘোষণা
হজরত ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.) মিলে পবিত্র কাবাঘর পুনর্নির্মাণ করার পর আল্লাহ তাআলা হজরত ইবরাহিম (আ.)কে নির্দেশ দিলেন মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা করতে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা করে দাও, তারা তোমার কাছে আসবে পদব্রজে ও সব ধরনের ক্ষীণকায় উঠের পিঠে সওয়ার হয়ে। তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে।’ (সুরা হজ: ২৭)
হজ যাদের ওপর ফরজ
পবিত্র কাবাঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তির ওপর জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। হোক সে নারী বা পুরুষ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর জন্য ওই ঘরের হজ করা মানুষের জন্য আবশ্যক, যার সে পর্যন্ত পৌঁছানোর সামর্থ্য আছে। যে ব্যক্তি অস্বীকার করবে (সে জেনে রাখুক), নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা বিশ্বজাহানের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আল ইমরান: ৯৭)
হজের গুরুত্ব
উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করব না?’ তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হলো নিয়মকানুনসহ পালনকৃত হজ।’ (সহিহ বুখারি: ১৫২০)
হজের ফজিলত
অন্য হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে হজ করবে এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকবে, সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসবে, যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।’ (সহিহ বুখারি: ১৫২১)
লেখক: শিক্ষক
দুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
৮ ঘণ্টা আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১ দিন আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৩ দিন আগে