হুমায়ুন কবীর
আমরা যারা জন্মগ্রহণ করেছি, পৃথিবীর আলো-বাতাস পেয়েছি; আমাদের সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘প্রতিটি জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আনকাবুত: ৫৭)
বিভিন্নভাবে মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে। কেউ বৃদ্ধ হওয়ার পর মারা যায়, কেউ অল্প বয়সে। কারও মৃত্যু স্বাভাবিক হয়, কারও মৃত্যু অস্বাভাবিক। কারও তো এমন মৃত্যুও হয়, আপন মানুষ দাফন করার আগে শেষ দেখার সুযোগটুকুও পায় না। এটা যে কত কষ্টের, বেদনার; ভুক্তভোগী না হলে বোঝা যায় না।
সারা দেশে বন্যা চলছে। বন্যার পানিতে অনেক মানুষ মারা গেছে। তাদের কারও কারও স্বজনেরা দাফন করার আগে দেখতেও পারেনি, লাশ কোথায় ভেসে গেছে, সেটা জানতেও পারেনি। এমন মৃত ব্যক্তির জন্য হাদিসে রয়েছে ঈর্ষণীয় মর্যাদা আর তার স্বজনদের জন্য হৃদয় শান্ত করার মতো সান্ত্বনা। নবী (সা.) বলেছেন, ‘পানিতে ডুবে, কলেরা, প্লেগ ও ভূমিধস বা চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তিরা শহীদ।’ (বুখারি: ৭২০)
আরেক হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে জাবের (রা.) বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর বাবা জাবেরকে রোগশয্যায় দেখতে গেলেন। তাঁর কাছে গিয়ে দেখলেন নারীরা কেঁদে কেঁদে বলছেন, ‘জাবের! আমরা মনে করেছিলাম তুমি আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হবে।’ তখন নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় শহীদ না হলে তোমরা কাউকে শহীদ মনে করো না? এমন হলে তো তোমাদের শহীদের সংখ্যা একদমই অল্প। আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি শহীদ, পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ, আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ, পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি শহীদ, কোনো কিছুর নিচে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ, নিউমোনিয়া জাতীয় কঠিন পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ, যে নারী গর্ভে সন্তান নিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সেও শহীদ।’ (আবু দাউদ: ৩১১১)
লেখক: শিক্ষক, মাদ্রাসাতুল হেরা, ঢাকা
আমরা যারা জন্মগ্রহণ করেছি, পৃথিবীর আলো-বাতাস পেয়েছি; আমাদের সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘প্রতিটি জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আনকাবুত: ৫৭)
বিভিন্নভাবে মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে। কেউ বৃদ্ধ হওয়ার পর মারা যায়, কেউ অল্প বয়সে। কারও মৃত্যু স্বাভাবিক হয়, কারও মৃত্যু অস্বাভাবিক। কারও তো এমন মৃত্যুও হয়, আপন মানুষ দাফন করার আগে শেষ দেখার সুযোগটুকুও পায় না। এটা যে কত কষ্টের, বেদনার; ভুক্তভোগী না হলে বোঝা যায় না।
সারা দেশে বন্যা চলছে। বন্যার পানিতে অনেক মানুষ মারা গেছে। তাদের কারও কারও স্বজনেরা দাফন করার আগে দেখতেও পারেনি, লাশ কোথায় ভেসে গেছে, সেটা জানতেও পারেনি। এমন মৃত ব্যক্তির জন্য হাদিসে রয়েছে ঈর্ষণীয় মর্যাদা আর তার স্বজনদের জন্য হৃদয় শান্ত করার মতো সান্ত্বনা। নবী (সা.) বলেছেন, ‘পানিতে ডুবে, কলেরা, প্লেগ ও ভূমিধস বা চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তিরা শহীদ।’ (বুখারি: ৭২০)
আরেক হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে জাবের (রা.) বাবার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর বাবা জাবেরকে রোগশয্যায় দেখতে গেলেন। তাঁর কাছে গিয়ে দেখলেন নারীরা কেঁদে কেঁদে বলছেন, ‘জাবের! আমরা মনে করেছিলাম তুমি আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হবে।’ তখন নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় শহীদ না হলে তোমরা কাউকে শহীদ মনে করো না? এমন হলে তো তোমাদের শহীদের সংখ্যা একদমই অল্প। আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি শহীদ, পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ, আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ, পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি শহীদ, কোনো কিছুর নিচে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি শহীদ, নিউমোনিয়া জাতীয় কঠিন পীড়ায় মৃত ব্যক্তি শহীদ, যে নারী গর্ভে সন্তান নিয়ে মৃত্যুবরণ করে, সেও শহীদ।’ (আবু দাউদ: ৩১১১)
লেখক: শিক্ষক, মাদ্রাসাতুল হেরা, ঢাকা
ঈদুল ফিতরের নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। এই নামাজ অন্যান্য নামাজের চেয়ে ভিন্ন, কারণ এতে অতিরিক্ত ৬টি তাকবির থাকে। নিচে ঈদের নামাজের সঠিক পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
২ দিন আগেঈদ এলেই ঘরে ঘরে উৎসব হয়। নানা পদের খাবার রান্না হয়। গায়ে আসে নতুন জামা। নতুন জামা পরিধানের চমৎকার একটি দোয়া বর্ণিত আছে। ঈদের দিনে নতুন পোশাক পরিধানের সময় দোয়াটি আমরা পড়তে পারি।
৩ দিন আগেমুসলমানের প্রতিটি বৈধ কাজই ইবাদত, যদি নিয়ত শুদ্ধ থাকে। ঈদুল ফিতরও এর বাইরে নয়। ঈদ কীভাবে পালন করতে হবে, ঈদের দিন কীভাবে কাটাতে হবে তা নিয়ে রয়েছে ইসলামের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা।
৩ দিন আগেহিজরি অষ্টম শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে নতুনভাবে পরিচিত করানোর আদৌ কোনো প্রয়োজন নেই। এখন পর্যন্ত যে কজন মনীষী তাঁদের জ্ঞানের বিভায় প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে তালিকার সর্বাগ্রে থাকবে ইবনে তাইমিয়ার নাম।
৩ দিন আগে