আলী ওসমান শেফায়েত, শিক্ষক ও গবেষক
প্রতিটি জিনিস বানানোর পেছনে একটা উদ্দেশ্য থাকে। যেমন চেয়ার বসার জন্য বানানো হয়। টেবিল কোনো কিছু রাখার জন্য বানানো হয়। প্রশ্ন হলো, মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী? চলুন জেনে নিই মহান আল্লাহর ভাষ্যে, পবিত্র কোরআনের আয়াত থেকে। এরশাদ হয়েছে, ‘কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য আমি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছি। আর আমি মহা পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল।’ (সুরা আল-মুলক: ২)
আমরা জানলাম, মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে পরীক্ষা করা। দুনিয়ার রীতি অনুসারে প্রতিটি পরীক্ষার সিলেবাস থাকে। এই আয়াতের মধ্যে সিলেবাসের কথাও বলা আছে। সিলেবাস হলো মানুষকে যে ছোট্ট জীবন দেওয়া হয়েছে, এই জীবনে তার ভালো কাজকর্ম।
এই ভালো কাজের মধ্যে তার ইবাদত, তার কথাবার্তা, তার চলাফেরা, মানুষের সঙ্গে তার ব্যবহার, আল্লাহর অন্যান্য সৃষ্টির সঙ্গে তার ব্যবহার, তার কাজকর্ম, এককথায় দুনিয়ায় তার নিজের কাজকর্মের হিসাব। আর এই হিসাব নিয়েই কিন্তু তাকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে এবং তাকে তার নিজের কাজকর্মের জবাবদিহি করতে হবে।
আমরা মানুষ জাতি এখানেই ভুল করি। আমরা নিজের সিলেবাস রেখে অন্যের সিলেবাস নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিই। কে কী করছে, কে কী বলেছে, কে কীভাবে চলাফেরা করছে, কার ব্যবহার কেমন, কার মধ্যে কোন দোষ আছে—এসব কিন্তু অন্যের পরীক্ষার সিলেবাসের বিষয়। আমার সিলেবাসের মধ্যে কিন্তু শুধুই আমার নিজের কাজকর্ম। আর অন্যের সিলেবাস নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমরা যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছি, তা আমরা বুঝতেও পারি না।
চলুন, আমরা যখনই অন্যের কোনো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তখন আগে ভেবে দেখি, বিষয়টি আমার সিলেবাসের মধ্যে আছে কি না; এর জন্য পরকালে আমাকে জবাব দিতে হবে কি না।
প্রতিটি জিনিস বানানোর পেছনে একটা উদ্দেশ্য থাকে। যেমন চেয়ার বসার জন্য বানানো হয়। টেবিল কোনো কিছু রাখার জন্য বানানো হয়। প্রশ্ন হলো, মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী? চলুন জেনে নিই মহান আল্লাহর ভাষ্যে, পবিত্র কোরআনের আয়াত থেকে। এরশাদ হয়েছে, ‘কাজের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য আমি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছি। আর আমি মহা পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল।’ (সুরা আল-মুলক: ২)
আমরা জানলাম, মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে পরীক্ষা করা। দুনিয়ার রীতি অনুসারে প্রতিটি পরীক্ষার সিলেবাস থাকে। এই আয়াতের মধ্যে সিলেবাসের কথাও বলা আছে। সিলেবাস হলো মানুষকে যে ছোট্ট জীবন দেওয়া হয়েছে, এই জীবনে তার ভালো কাজকর্ম।
এই ভালো কাজের মধ্যে তার ইবাদত, তার কথাবার্তা, তার চলাফেরা, মানুষের সঙ্গে তার ব্যবহার, আল্লাহর অন্যান্য সৃষ্টির সঙ্গে তার ব্যবহার, তার কাজকর্ম, এককথায় দুনিয়ায় তার নিজের কাজকর্মের হিসাব। আর এই হিসাব নিয়েই কিন্তু তাকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে এবং তাকে তার নিজের কাজকর্মের জবাবদিহি করতে হবে।
আমরা মানুষ জাতি এখানেই ভুল করি। আমরা নিজের সিলেবাস রেখে অন্যের সিলেবাস নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিই। কে কী করছে, কে কী বলেছে, কে কীভাবে চলাফেরা করছে, কার ব্যবহার কেমন, কার মধ্যে কোন দোষ আছে—এসব কিন্তু অন্যের পরীক্ষার সিলেবাসের বিষয়। আমার সিলেবাসের মধ্যে কিন্তু শুধুই আমার নিজের কাজকর্ম। আর অন্যের সিলেবাস নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমরা যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছি, তা আমরা বুঝতেও পারি না।
চলুন, আমরা যখনই অন্যের কোনো বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তখন আগে ভেবে দেখি, বিষয়টি আমার সিলেবাসের মধ্যে আছে কি না; এর জন্য পরকালে আমাকে জবাব দিতে হবে কি না।
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগে