আবরার নাঈম
ঘুম আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত, যা মানুষের ক্লান্ত দেহে এনে দেয় প্রশান্তি ও সতেজতা। ঘুমের পরে মানুষ হয়ে ওঠে উদ্যমী ও কর্মঠ। এই ঘুম আবার হতে পারে ইবাদত, যদি সেটা হয় নবীর আদর্শের অনুকরণে। সেসব আমল করলে ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়, তা নিচে তুলে ধরা হলো—
এক. অজু অবস্থায় ঘুমানো: বারাআ ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) আমাকে বললেন, ‘যখন তুমি শোয়ার বিছানায় যেতে চাও, তখন সালাতের অজুর মতো অজু করবে।’ (বুখারি: ৬৩১১)
দুই. ঘুমের আগে-পরে দোয়া পড়া: হজরত হুজাইফা ইবনে ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) যখন বিছানায় আশ্রয় গ্রহণ করতে যেতেন, তখন তিনি এ দোয়া পড়তেন, ‘হে আল্লাহ, আপনারই নাম নিয়ে মরি আর আপনার নাম নিয়েই বাঁচি।’ আর তিনি যখন জেগে উঠতেন তখন পড়তেন, ‘যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত্যুদানের পর আবার পুনর্জীবিত করেছেন। প্রত্যাবর্তন তাঁর দিকেই।’ (বুখারি: ৬৩১২)
তিন. শোয়ার পদ্ধতি: হজরত ইয়াঈশ ইবনে ত্বিখফা গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার বাবা বলেন, একদিন আমি মসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে ছিলাম। এমতাবস্থায় এক লোক আমাকে পা দিয়ে নড়িয়ে বলল, এ ধরনের শোয়াকে আল্লাহ অপছন্দ করেন। তিনি বলেন, আমি তাকিয়ে দেখলাম তিনি তো রাসুল (সা.)। (রিয়াদুস সালেহিন: ৮২২)
চার. আল্লাহর জিকির: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন জায়গায় শয়ন করে, যেখানে সে আল্লাহর জিকির করে না, (এর জন্য) আল্লাহর তরফ থেকে তার ওপর পরিতাপ ও বঞ্চনা আসবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৮২৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ঘুম আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত, যা মানুষের ক্লান্ত দেহে এনে দেয় প্রশান্তি ও সতেজতা। ঘুমের পরে মানুষ হয়ে ওঠে উদ্যমী ও কর্মঠ। এই ঘুম আবার হতে পারে ইবাদত, যদি সেটা হয় নবীর আদর্শের অনুকরণে। সেসব আমল করলে ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়, তা নিচে তুলে ধরা হলো—
এক. অজু অবস্থায় ঘুমানো: বারাআ ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) আমাকে বললেন, ‘যখন তুমি শোয়ার বিছানায় যেতে চাও, তখন সালাতের অজুর মতো অজু করবে।’ (বুখারি: ৬৩১১)
দুই. ঘুমের আগে-পরে দোয়া পড়া: হজরত হুজাইফা ইবনে ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) যখন বিছানায় আশ্রয় গ্রহণ করতে যেতেন, তখন তিনি এ দোয়া পড়তেন, ‘হে আল্লাহ, আপনারই নাম নিয়ে মরি আর আপনার নাম নিয়েই বাঁচি।’ আর তিনি যখন জেগে উঠতেন তখন পড়তেন, ‘যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত্যুদানের পর আবার পুনর্জীবিত করেছেন। প্রত্যাবর্তন তাঁর দিকেই।’ (বুখারি: ৬৩১২)
তিন. শোয়ার পদ্ধতি: হজরত ইয়াঈশ ইবনে ত্বিখফা গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার বাবা বলেন, একদিন আমি মসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে ছিলাম। এমতাবস্থায় এক লোক আমাকে পা দিয়ে নড়িয়ে বলল, এ ধরনের শোয়াকে আল্লাহ অপছন্দ করেন। তিনি বলেন, আমি তাকিয়ে দেখলাম তিনি তো রাসুল (সা.)। (রিয়াদুস সালেহিন: ৮২২)
চার. আল্লাহর জিকির: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এমন জায়গায় শয়ন করে, যেখানে সে আল্লাহর জিকির করে না, (এর জন্য) আল্লাহর তরফ থেকে তার ওপর পরিতাপ ও বঞ্চনা আসবে।’ (রিয়াদুস সালেহিন: ৮২৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
১ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
১ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
১ দিন আগে