আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি সুসজ্জিত হবে। কিন্তু এই পৃথিবীতে আসার পর শয়তানের প্রবঞ্চনায় মুমিন তার কৃত ওয়াদা ভুলে যায়। জড়িয়ে পড়ে নানা পাপকাজে। তারা ভুলে যায়—সময় ফুরালেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
বোকা পথিক যেমন রঙিন প্রজাপতির পেছনে ছুটতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে, তেমনি কোনো কোনো মুমিন বান্দা এই পৃথিবীর মোহ মায়ার মরীচিকার পেছনে ছুটতে গিয়ে জান্নাতের পথ হারিয়ে ফেলছে। জীবন সূর্য ডোবার আগেই যে বাড়ি ফেরার পাথেয় জোগাতে হবে, তাদের সেই খেয়ালই নেই। তারা এতটাই বেখেয়ালে হয়ে পড়েছে যে, নিজেদের রবকেই ভুলে বসে আছে। যে মহান রব তাদের মায়ের গর্ভে লালনপালন করেছেন। বিন্দু থেকে এত বড় মানুষে পরিণত করেছেন। মেধা-মস্তিষ্ক, শক্তি, সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়েছেন। সুন্দর অবয়ব আর শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তারা সেই রবের অবাধ্য হচ্ছে। এ জন্যই মুসলমান হওয়ার পরও তাদের স্থান সুখময় জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামে হবে। অবশ্য পরে কোনো এক সময় জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে। মুমিন হয়েও কারা জাহান্নামে যাবে আর কখন তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, নিচে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো—
বিচার দিবসের কঠিন সময়ে মানুষ যখন একটু সুপারিশের জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে ব্যর্থ হয়ে ফিরবে, তখন নবী (সা.) গুনাহগার উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন। নবী (সা.) বলেছেন, আমি তখন আল্লাহর আরশের নিচে এসে সিজদায় পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকব। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হবে, আপনি মাথা তুলুন। আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। নবী (সা.) মাথা তুলবেন এবং বলবেন—হে রব, আপনি আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আমার প্রিয় নবী, আমার নিরপরাধ বান্দাদের জান্নাতের ডান দিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করান। অন্য দরজা দিয়েও ইচ্ছে করলে প্রবেশ করাতে পারেন।’ (বুখারি: ৪৭১২)
হাশরের কঠিন দিনে আল্লাহ তাআলা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুপারিশে যেমন গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করবেন, তেমনি তাঁর আরও কিছু প্রিয় বান্দা যেমন—কোরআনে হাফেজ, আলেম, শহিদ ও ফেরেশতাদের সুপারিশ করার সম্মান দান করবেন। তাদের সুপারিশেও এমন অনেক গুনাহগারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের ওপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল।
হাদিসে এসেছে, পুণ্যবান মুমিনগণ পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, আপনজনদের জান্নাতে নেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবেন। এমনকি তারা গুনাহগারদের শাস্তি মওকুফের জন্য আল্লাহ তাআলার সঙ্গে তর্কও জুড়বেন। একপর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের সুপারিশ গ্রহণ করবেন এবং গুনাহগার মুমিনদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে দুনিয়াতে তোমাদের যে ঝগড়া হয়, তা জাহান্নামি ভাইদের সম্পর্কে রবের সঙ্গে মুমিনদের ঝগড়ার চেয়ে বেশি কঠিন নয়। তারা বলবে, “হে আমাদের রব, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করত, আমাদের সঙ্গে রোজা রাখত ও আমাদের সঙ্গে হজ করত। কিন্তু আপনি তাদের জাহান্নামে পাঠিয়েছেন। ” আল্লাহ বলবেন, “যাও তাদের থেকে যাকে তোমরা চেনো, তাকে বের করো। ” তখন সেই মুমিনেরা পরিচিতজনদের কাছে আসবে। চেহারা দেখে তাদের চিনতে পারবে। তাদের কারও পায়ের গোছার অর্ধেক আগুনে খেয়ে ফেলেছে। কাউকে পায়ের টাকনু পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। তারা তাদের বের করে এনে বলবে, “হে আমাদের রব, যাদের সম্পর্কে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তাদের বের করেছি। ” আল্লাহ বলবেন, “বের করো যার অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” এরপর বলবেন, “যার অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” একপর্যায়ে আল্লাহ বলবেন, “যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” ’ (সুনানে নাসায়ি: ৫০১০)
তবে বিন্দু পরিমাণ ইমান থাকার কারণে জাহান্নাম থেকে কোনো এক সময় পরিত্রাণ পাব—এমন আশায় নেক আমল ছেড়ে দেওয়া, গুনাহের কাজে মজে থাকা মোটেও ঠিক হবে না। এক সময় জান্নাতে যাওয়ার চেয়ে প্রথমেই জান্নাতের মালিক হওয়াই কি শ্রেয় নয়? এ ছাড়া এই পৃথিবীর সামান্য আগুনের তাপই যেখানে আমাদের সহ্যের বাইরে, সেখানে জাহান্নামের আগুনের তাপ কীভাবে সহ্য করব? একটু ভাবুন, সেই আগুন সহ্য করতে পারবেন? যদি না পারেন, তবে এখনই করুণাময় রবের পথে ফিরে আসুন। তাঁর কাছে ক্ষমা চান। আশ্রয় চান। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি সুসজ্জিত হবে। কিন্তু এই পৃথিবীতে আসার পর শয়তানের প্রবঞ্চনায় মুমিন তার কৃত ওয়াদা ভুলে যায়। জড়িয়ে পড়ে নানা পাপকাজে। তারা ভুলে যায়—সময় ফুরালেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
বোকা পথিক যেমন রঙিন প্রজাপতির পেছনে ছুটতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে, তেমনি কোনো কোনো মুমিন বান্দা এই পৃথিবীর মোহ মায়ার মরীচিকার পেছনে ছুটতে গিয়ে জান্নাতের পথ হারিয়ে ফেলছে। জীবন সূর্য ডোবার আগেই যে বাড়ি ফেরার পাথেয় জোগাতে হবে, তাদের সেই খেয়ালই নেই। তারা এতটাই বেখেয়ালে হয়ে পড়েছে যে, নিজেদের রবকেই ভুলে বসে আছে। যে মহান রব তাদের মায়ের গর্ভে লালনপালন করেছেন। বিন্দু থেকে এত বড় মানুষে পরিণত করেছেন। মেধা-মস্তিষ্ক, শক্তি, সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়েছেন। সুন্দর অবয়ব আর শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তারা সেই রবের অবাধ্য হচ্ছে। এ জন্যই মুসলমান হওয়ার পরও তাদের স্থান সুখময় জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামে হবে। অবশ্য পরে কোনো এক সময় জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে। মুমিন হয়েও কারা জাহান্নামে যাবে আর কখন তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, নিচে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো—
বিচার দিবসের কঠিন সময়ে মানুষ যখন একটু সুপারিশের জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে ব্যর্থ হয়ে ফিরবে, তখন নবী (সা.) গুনাহগার উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন। নবী (সা.) বলেছেন, আমি তখন আল্লাহর আরশের নিচে এসে সিজদায় পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকব। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হবে, আপনি মাথা তুলুন। আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। নবী (সা.) মাথা তুলবেন এবং বলবেন—হে রব, আপনি আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আমার প্রিয় নবী, আমার নিরপরাধ বান্দাদের জান্নাতের ডান দিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করান। অন্য দরজা দিয়েও ইচ্ছে করলে প্রবেশ করাতে পারেন।’ (বুখারি: ৪৭১২)
হাশরের কঠিন দিনে আল্লাহ তাআলা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুপারিশে যেমন গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করবেন, তেমনি তাঁর আরও কিছু প্রিয় বান্দা যেমন—কোরআনে হাফেজ, আলেম, শহিদ ও ফেরেশতাদের সুপারিশ করার সম্মান দান করবেন। তাদের সুপারিশেও এমন অনেক গুনাহগারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের ওপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল।
হাদিসে এসেছে, পুণ্যবান মুমিনগণ পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, আপনজনদের জান্নাতে নেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবেন। এমনকি তারা গুনাহগারদের শাস্তি মওকুফের জন্য আল্লাহ তাআলার সঙ্গে তর্কও জুড়বেন। একপর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের সুপারিশ গ্রহণ করবেন এবং গুনাহগার মুমিনদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে দুনিয়াতে তোমাদের যে ঝগড়া হয়, তা জাহান্নামি ভাইদের সম্পর্কে রবের সঙ্গে মুমিনদের ঝগড়ার চেয়ে বেশি কঠিন নয়। তারা বলবে, “হে আমাদের রব, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করত, আমাদের সঙ্গে রোজা রাখত ও আমাদের সঙ্গে হজ করত। কিন্তু আপনি তাদের জাহান্নামে পাঠিয়েছেন। ” আল্লাহ বলবেন, “যাও তাদের থেকে যাকে তোমরা চেনো, তাকে বের করো। ” তখন সেই মুমিনেরা পরিচিতজনদের কাছে আসবে। চেহারা দেখে তাদের চিনতে পারবে। তাদের কারও পায়ের গোছার অর্ধেক আগুনে খেয়ে ফেলেছে। কাউকে পায়ের টাকনু পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। তারা তাদের বের করে এনে বলবে, “হে আমাদের রব, যাদের সম্পর্কে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তাদের বের করেছি। ” আল্লাহ বলবেন, “বের করো যার অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” এরপর বলবেন, “যার অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” একপর্যায়ে আল্লাহ বলবেন, “যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” ’ (সুনানে নাসায়ি: ৫০১০)
তবে বিন্দু পরিমাণ ইমান থাকার কারণে জাহান্নাম থেকে কোনো এক সময় পরিত্রাণ পাব—এমন আশায় নেক আমল ছেড়ে দেওয়া, গুনাহের কাজে মজে থাকা মোটেও ঠিক হবে না। এক সময় জান্নাতে যাওয়ার চেয়ে প্রথমেই জান্নাতের মালিক হওয়াই কি শ্রেয় নয়? এ ছাড়া এই পৃথিবীর সামান্য আগুনের তাপই যেখানে আমাদের সহ্যের বাইরে, সেখানে জাহান্নামের আগুনের তাপ কীভাবে সহ্য করব? একটু ভাবুন, সেই আগুন সহ্য করতে পারবেন? যদি না পারেন, তবে এখনই করুণাময় রবের পথে ফিরে আসুন। তাঁর কাছে ক্ষমা চান। আশ্রয় চান। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি সুসজ্জিত হবে। কিন্তু এই পৃথিবীতে আসার পর শয়তানের প্রবঞ্চনায় মুমিন তার কৃত ওয়াদা ভুলে যায়। জড়িয়ে পড়ে নানা পাপকাজে। তারা ভুলে যায়—সময় ফুরালেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
বোকা পথিক যেমন রঙিন প্রজাপতির পেছনে ছুটতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে, তেমনি কোনো কোনো মুমিন বান্দা এই পৃথিবীর মোহ মায়ার মরীচিকার পেছনে ছুটতে গিয়ে জান্নাতের পথ হারিয়ে ফেলছে। জীবন সূর্য ডোবার আগেই যে বাড়ি ফেরার পাথেয় জোগাতে হবে, তাদের সেই খেয়ালই নেই। তারা এতটাই বেখেয়ালে হয়ে পড়েছে যে, নিজেদের রবকেই ভুলে বসে আছে। যে মহান রব তাদের মায়ের গর্ভে লালনপালন করেছেন। বিন্দু থেকে এত বড় মানুষে পরিণত করেছেন। মেধা-মস্তিষ্ক, শক্তি, সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়েছেন। সুন্দর অবয়ব আর শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তারা সেই রবের অবাধ্য হচ্ছে। এ জন্যই মুসলমান হওয়ার পরও তাদের স্থান সুখময় জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামে হবে। অবশ্য পরে কোনো এক সময় জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে। মুমিন হয়েও কারা জাহান্নামে যাবে আর কখন তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, নিচে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো—
বিচার দিবসের কঠিন সময়ে মানুষ যখন একটু সুপারিশের জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে ব্যর্থ হয়ে ফিরবে, তখন নবী (সা.) গুনাহগার উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন। নবী (সা.) বলেছেন, আমি তখন আল্লাহর আরশের নিচে এসে সিজদায় পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকব। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হবে, আপনি মাথা তুলুন। আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। নবী (সা.) মাথা তুলবেন এবং বলবেন—হে রব, আপনি আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আমার প্রিয় নবী, আমার নিরপরাধ বান্দাদের জান্নাতের ডান দিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করান। অন্য দরজা দিয়েও ইচ্ছে করলে প্রবেশ করাতে পারেন।’ (বুখারি: ৪৭১২)
হাশরের কঠিন দিনে আল্লাহ তাআলা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুপারিশে যেমন গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করবেন, তেমনি তাঁর আরও কিছু প্রিয় বান্দা যেমন—কোরআনে হাফেজ, আলেম, শহিদ ও ফেরেশতাদের সুপারিশ করার সম্মান দান করবেন। তাদের সুপারিশেও এমন অনেক গুনাহগারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের ওপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল।
হাদিসে এসেছে, পুণ্যবান মুমিনগণ পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, আপনজনদের জান্নাতে নেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবেন। এমনকি তারা গুনাহগারদের শাস্তি মওকুফের জন্য আল্লাহ তাআলার সঙ্গে তর্কও জুড়বেন। একপর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের সুপারিশ গ্রহণ করবেন এবং গুনাহগার মুমিনদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে দুনিয়াতে তোমাদের যে ঝগড়া হয়, তা জাহান্নামি ভাইদের সম্পর্কে রবের সঙ্গে মুমিনদের ঝগড়ার চেয়ে বেশি কঠিন নয়। তারা বলবে, “হে আমাদের রব, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করত, আমাদের সঙ্গে রোজা রাখত ও আমাদের সঙ্গে হজ করত। কিন্তু আপনি তাদের জাহান্নামে পাঠিয়েছেন। ” আল্লাহ বলবেন, “যাও তাদের থেকে যাকে তোমরা চেনো, তাকে বের করো। ” তখন সেই মুমিনেরা পরিচিতজনদের কাছে আসবে। চেহারা দেখে তাদের চিনতে পারবে। তাদের কারও পায়ের গোছার অর্ধেক আগুনে খেয়ে ফেলেছে। কাউকে পায়ের টাকনু পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। তারা তাদের বের করে এনে বলবে, “হে আমাদের রব, যাদের সম্পর্কে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তাদের বের করেছি। ” আল্লাহ বলবেন, “বের করো যার অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” এরপর বলবেন, “যার অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” একপর্যায়ে আল্লাহ বলবেন, “যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” ’ (সুনানে নাসায়ি: ৫০১০)
তবে বিন্দু পরিমাণ ইমান থাকার কারণে জাহান্নাম থেকে কোনো এক সময় পরিত্রাণ পাব—এমন আশায় নেক আমল ছেড়ে দেওয়া, গুনাহের কাজে মজে থাকা মোটেও ঠিক হবে না। এক সময় জান্নাতে যাওয়ার চেয়ে প্রথমেই জান্নাতের মালিক হওয়াই কি শ্রেয় নয়? এ ছাড়া এই পৃথিবীর সামান্য আগুনের তাপই যেখানে আমাদের সহ্যের বাইরে, সেখানে জাহান্নামের আগুনের তাপ কীভাবে সহ্য করব? একটু ভাবুন, সেই আগুন সহ্য করতে পারবেন? যদি না পারেন, তবে এখনই করুণাময় রবের পথে ফিরে আসুন। তাঁর কাছে ক্ষমা চান। আশ্রয় চান। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি সুসজ্জিত হবে। কিন্তু এই পৃথিবীতে আসার পর শয়তানের প্রবঞ্চনায় মুমিন তার কৃত ওয়াদা ভুলে যায়। জড়িয়ে পড়ে নানা পাপকাজে। তারা ভুলে যায়—সময় ফুরালেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
বোকা পথিক যেমন রঙিন প্রজাপতির পেছনে ছুটতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলে, তেমনি কোনো কোনো মুমিন বান্দা এই পৃথিবীর মোহ মায়ার মরীচিকার পেছনে ছুটতে গিয়ে জান্নাতের পথ হারিয়ে ফেলছে। জীবন সূর্য ডোবার আগেই যে বাড়ি ফেরার পাথেয় জোগাতে হবে, তাদের সেই খেয়ালই নেই। তারা এতটাই বেখেয়ালে হয়ে পড়েছে যে, নিজেদের রবকেই ভুলে বসে আছে। যে মহান রব তাদের মায়ের গর্ভে লালনপালন করেছেন। বিন্দু থেকে এত বড় মানুষে পরিণত করেছেন। মেধা-মস্তিষ্ক, শক্তি, সুস্থ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়েছেন। সুন্দর অবয়ব আর শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তারা সেই রবের অবাধ্য হচ্ছে। এ জন্যই মুসলমান হওয়ার পরও তাদের স্থান সুখময় জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামে হবে। অবশ্য পরে কোনো এক সময় জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে। মুমিন হয়েও কারা জাহান্নামে যাবে আর কখন তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, নিচে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো—
বিচার দিবসের কঠিন সময়ে মানুষ যখন একটু সুপারিশের জন্য এদিক সেদিক ছোটাছুটি করে ব্যর্থ হয়ে ফিরবে, তখন নবী (সা.) গুনাহগার উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন। নবী (সা.) বলেছেন, আমি তখন আল্লাহর আরশের নিচে এসে সিজদায় পড়ে কান্নাকাটি করতে থাকব। এরপর আল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হবে, আপনি মাথা তুলুন। আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। নবী (সা.) মাথা তুলবেন এবং বলবেন—হে রব, আপনি আমার উম্মতকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আমার প্রিয় নবী, আমার নিরপরাধ বান্দাদের জান্নাতের ডান দিকের দরজা দিয়ে প্রবেশ করান। অন্য দরজা দিয়েও ইচ্ছে করলে প্রবেশ করাতে পারেন।’ (বুখারি: ৪৭১২)
হাশরের কঠিন দিনে আল্লাহ তাআলা নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুপারিশে যেমন গুনাহগার বান্দাদের ক্ষমা করবেন, তেমনি তাঁর আরও কিছু প্রিয় বান্দা যেমন—কোরআনে হাফেজ, আলেম, শহিদ ও ফেরেশতাদের সুপারিশ করার সম্মান দান করবেন। তাদের সুপারিশেও এমন অনেক গুনাহগারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের ওপর জাহান্নাম অবধারিত ছিল।
হাদিসে এসেছে, পুণ্যবান মুমিনগণ পরিবার পরিজন, আত্মীয়স্বজন, আপনজনদের জান্নাতে নেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবেন। এমনকি তারা গুনাহগারদের শাস্তি মওকুফের জন্য আল্লাহ তাআলার সঙ্গে তর্কও জুড়বেন। একপর্যায়ে আল্লাহ তাআলা তাদের সুপারিশ গ্রহণ করবেন এবং গুনাহগার মুমিনদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। হজরত আবু সায়িদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে দুনিয়াতে তোমাদের যে ঝগড়া হয়, তা জাহান্নামি ভাইদের সম্পর্কে রবের সঙ্গে মুমিনদের ঝগড়ার চেয়ে বেশি কঠিন নয়। তারা বলবে, “হে আমাদের রব, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করত, আমাদের সঙ্গে রোজা রাখত ও আমাদের সঙ্গে হজ করত। কিন্তু আপনি তাদের জাহান্নামে পাঠিয়েছেন। ” আল্লাহ বলবেন, “যাও তাদের থেকে যাকে তোমরা চেনো, তাকে বের করো। ” তখন সেই মুমিনেরা পরিচিতজনদের কাছে আসবে। চেহারা দেখে তাদের চিনতে পারবে। তাদের কারও পায়ের গোছার অর্ধেক আগুনে খেয়ে ফেলেছে। কাউকে পায়ের টাকনু পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে। তারা তাদের বের করে এনে বলবে, “হে আমাদের রব, যাদের সম্পর্কে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন আমরা তাদের বের করেছি। ” আল্লাহ বলবেন, “বের করো যার অন্তরে এক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” এরপর বলবেন, “যার অন্তরে অর্ধেক দিনার পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” একপর্যায়ে আল্লাহ বলবেন, “যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ইমান রয়েছে। ” ’ (সুনানে নাসায়ি: ৫০১০)
তবে বিন্দু পরিমাণ ইমান থাকার কারণে জাহান্নাম থেকে কোনো এক সময় পরিত্রাণ পাব—এমন আশায় নেক আমল ছেড়ে দেওয়া, গুনাহের কাজে মজে থাকা মোটেও ঠিক হবে না। এক সময় জান্নাতে যাওয়ার চেয়ে প্রথমেই জান্নাতের মালিক হওয়াই কি শ্রেয় নয়? এ ছাড়া এই পৃথিবীর সামান্য আগুনের তাপই যেখানে আমাদের সহ্যের বাইরে, সেখানে জাহান্নামের আগুনের তাপ কীভাবে সহ্য করব? একটু ভাবুন, সেই আগুন সহ্য করতে পারবেন? যদি না পারেন, তবে এখনই করুণাময় রবের পথে ফিরে আসুন। তাঁর কাছে ক্ষমা চান। আশ্রয় চান। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি
১৮ এপ্রিল ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি
১৮ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি
১৮ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

পৃথিবী মুমিন বান্দার আসল ঠিকানা নয়। মুমিনের আসল ঠিকানা জান্নাত। সেখানে রয়েছে প্রবহমান ঝরনাধারা। ফুল ফলে আচ্ছাদিত বাগান। সবুজ বৃক্ষের ছায়াময় পরিবেশ। সেই জান্নাতই তাদের আপন আলয়। পৃথিবীতে মুমিন আল্লাহর প্রতিনিধি। পুণ্যের চারা রোপণ করাই তাদের একমাত্র কাজ। যে যত বেশি পুণ্য করবে, তার জন্য জান্নাত তত বেশি
১৮ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে