মদ-জুয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

আলী ওসমান শেফায়েত 
প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭: ৪২
ফাইল ছবি

মাদক কারবারি ও জুয়া মূলত শয়তানি কাজ। দেশীয় ও ইসলামি আইনে এই কাজ অত্যন্ত গর্হিত ও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর (লটারি) এসব ঘৃণ্য শয়তানি কার্যকলাপ। এগুলো থেকে দূরে থাকো, আশা করা যায় তোমরা সফলতা লাভ করবে।’ (সুরা মায়িদা: ৯০)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করতে চায়। আর (চায়) আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদের দূরে রাখতে। অতএব, এখনো কি তোমরা এসব কাজ থেকে বিরত থাকবে না?’ (সুরা মায়িদা: ৯১)

হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা মদ, জুয়া ও বাদ্যযন্ত্র হারাম করেছেন।’ (বায়হাকি: ৪৫০৩; মিশকাত: ৪৩০৪)

আরেক হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান, জুয়ায় অংশগ্রহণকারী, খোঁটাদাতা ও মদ্যপায়ী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (দারেমি: ৩৬৫৩; মিশকাত: ৩৪৮৬)

অন্য হাদিসে এসেছে, আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ লাত-উজ্জার শপথ ইত্যাদি বললে, তবে সে যেন সঙ্গে সঙ্গে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে। আর কেউ যদি অন্যকে প্রস্তাব দেয়, এসো আমরা জুয়া খেলি; সে যেন (জরিমানাস্বরূপ) দান-সদকা করে।’ (সহিহ বুখারি: ৪৮৬০)

দেখুন, মুখে লাত-উজ্জার কথা বলায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলতে হচ্ছে এবং জুয়ার প্রস্তাব দেওয়ার কারণে দান-সদকা করতে হচ্ছে। তাহলে সরাসরি শিরকি কাজে জড়িত হলে তো ইমান নবায়ন করতে হবে এবং সরাসরি জুয়ায় জড়িত হলে তওবা করতে হবে।

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত