ইসলাম ডেস্ক
পবিত্র কোরআনের অনেক স্থানে বনি ইসরাইল তথা ইহুদিদের কথা আলোচিত হয়েছে। অধিকাংশ স্থানে আল্লাহ তাআলা তাদের বিভিন্ন অপকর্মের সমালোচনা করেছেন এবং মুমিনদের তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। এখানে কয়েকটি আয়াত তুলে ধরা হলো:
বিশ্বাসঘাতকতা: বনি ইসরাইলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তারা মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা (বনি ইসরাইল) যখনই কোনো অঙ্গীকার করেছে, তা ভঙ্গ করেছে; বরং তাদের অধিকাংশই অবিশ্বাসী।’ (সুরা বাকারা: ১০০)
বিশৃঙ্খলা: বনি ইসরাইল সুযোগ পেলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং সংঘাতে লিপ্ত হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা (বনি ইসরাইল) যতবার যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়েছে, মহান আল্লাহ ততবার তা নিভিয়েছেন। তারা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা করে বেড়ায়, আল্লাহ বিশৃঙ্খল ব্যক্তিদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা মায়িদা: ৬৪)
নিজেদের আল্লাহর সন্তান দাবি: ইহুদিরা নিজেদের আল্লাহর সন্তান বলে দাবি করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ইহুদি ও নাসারারা বলে, আমরা আল্লাহর সন্তান এবং তাঁর প্রিয়জন। আপনি বলুন, তাহলে তিনি তোমাদের অপরাধের কারণে কেন শাস্তি দেবেন; বরং তোমরা মানুষ...।’ (সুরা মায়িদা: ১৮)
নবীদের হত্যা: বনি ইসরাইল অসংখ্য নবী-রাসুলকে হত্যা করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলি অস্বীকার করে, অন্যায়ভাবে নবীদের হত্যা করে এবং ন্যায়বিচারের নির্দেশদাতাদের হত্যা করে, আপনি তাদের কঠিন শাস্তির সুসংবাদ দিন।’ (সুরা আলে ইমরান: ২১)
আল্লাহকে দোষারোপ: বনি ইসরাইল আল্লাহকে নানাভাবে গালমন্দ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন, যারা বলে নিশ্চয়ই আল্লাহ অভাবগ্রস্ত এবং আমরা অভাবমুক্ত, তাদের কথা ও অন্যায়ভাবে নবীদের হত্যা করার বিষয়টি আমি লিখে রাখছি। আমি বলব, জ্বলন্ত আজাব ভোগ করো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮১)
মুমিনদের প্রতি বিদ্বেষ: বনি ইসরাইল মুমিনদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-কে এ ব্যাপারে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘আপনি মানুষের মধ্যে ইহুদি ও মুশরিকদের সবচেয়ে বেশি শত্রুভাবাপন্ন পাবেন এবং যারা বলে, আমরা খ্রিষ্টান, আপনি তাদের মুমিনদের নিকটতর বন্ধুত্বে দেখবেন...।’ (সুরা মায়িদা: ৮২)
মানুষকে তাচ্ছিল্য করা: ইহুদিরা নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে এবং অন্যদের নিচু মনে করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘কিতাবধারীদের মধ্যে এমন লোক রয়েছে, যার কাছে বিপুল সম্পদ আমানত রাখলেও ফেরত দেবে, আবার এমন লোকও আছে, যার কাছে এক দিনার রাখলেও তার পেছনে লেগে না থাকলে সে তা ফেরত দেবে না; এর কারণ তারা বলে, নিরক্ষরদের ওপর আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই এবং তারা জেনেশুনে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৫)
এসব কারণে আল্লাহ তাআলা তাদের অভিশপ্ত জাতি আখ্যা দিয়েছেন এবং যুগে যুগে তাদের শাস্তি দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ও মানুষের প্রতিশ্রুতি ছাড়া তারা যেখানেই ছিল লাঞ্ছিত হয়েছে, তাদের ওপর আল্লাহ ক্রুদ্ধ হয়েছেন এবং তারা অভাবগ্রস্ত হয়েছে কারণ তারা আল্লাহর নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করত এবং অন্যায়ভাবে নবীদের হত্যা করত, তারা অবাধ্য হয়েছিল এবং সীমা লঙ্ঘন করত।’(সুরা আলে ইমরান: ১১২)
পবিত্র কোরআনের অনেক স্থানে বনি ইসরাইল তথা ইহুদিদের কথা আলোচিত হয়েছে। অধিকাংশ স্থানে আল্লাহ তাআলা তাদের বিভিন্ন অপকর্মের সমালোচনা করেছেন এবং মুমিনদের তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। এখানে কয়েকটি আয়াত তুলে ধরা হলো:
বিশ্বাসঘাতকতা: বনি ইসরাইলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, তারা মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা (বনি ইসরাইল) যখনই কোনো অঙ্গীকার করেছে, তা ভঙ্গ করেছে; বরং তাদের অধিকাংশই অবিশ্বাসী।’ (সুরা বাকারা: ১০০)
বিশৃঙ্খলা: বনি ইসরাইল সুযোগ পেলেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং সংঘাতে লিপ্ত হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা (বনি ইসরাইল) যতবার যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়েছে, মহান আল্লাহ ততবার তা নিভিয়েছেন। তারা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা করে বেড়ায়, আল্লাহ বিশৃঙ্খল ব্যক্তিদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা মায়িদা: ৬৪)
নিজেদের আল্লাহর সন্তান দাবি: ইহুদিরা নিজেদের আল্লাহর সন্তান বলে দাবি করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ইহুদি ও নাসারারা বলে, আমরা আল্লাহর সন্তান এবং তাঁর প্রিয়জন। আপনি বলুন, তাহলে তিনি তোমাদের অপরাধের কারণে কেন শাস্তি দেবেন; বরং তোমরা মানুষ...।’ (সুরা মায়িদা: ১৮)
নবীদের হত্যা: বনি ইসরাইল অসংখ্য নবী-রাসুলকে হত্যা করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলি অস্বীকার করে, অন্যায়ভাবে নবীদের হত্যা করে এবং ন্যায়বিচারের নির্দেশদাতাদের হত্যা করে, আপনি তাদের কঠিন শাস্তির সুসংবাদ দিন।’ (সুরা আলে ইমরান: ২১)
আল্লাহকে দোষারোপ: বনি ইসরাইল আল্লাহকে নানাভাবে গালমন্দ করেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন, যারা বলে নিশ্চয়ই আল্লাহ অভাবগ্রস্ত এবং আমরা অভাবমুক্ত, তাদের কথা ও অন্যায়ভাবে নবীদের হত্যা করার বিষয়টি আমি লিখে রাখছি। আমি বলব, জ্বলন্ত আজাব ভোগ করো।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮১)
মুমিনদের প্রতি বিদ্বেষ: বনি ইসরাইল মুমিনদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-কে এ ব্যাপারে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ‘আপনি মানুষের মধ্যে ইহুদি ও মুশরিকদের সবচেয়ে বেশি শত্রুভাবাপন্ন পাবেন এবং যারা বলে, আমরা খ্রিষ্টান, আপনি তাদের মুমিনদের নিকটতর বন্ধুত্বে দেখবেন...।’ (সুরা মায়িদা: ৮২)
মানুষকে তাচ্ছিল্য করা: ইহুদিরা নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে এবং অন্যদের নিচু মনে করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘কিতাবধারীদের মধ্যে এমন লোক রয়েছে, যার কাছে বিপুল সম্পদ আমানত রাখলেও ফেরত দেবে, আবার এমন লোকও আছে, যার কাছে এক দিনার রাখলেও তার পেছনে লেগে না থাকলে সে তা ফেরত দেবে না; এর কারণ তারা বলে, নিরক্ষরদের ওপর আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই এবং তারা জেনেশুনে আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলে।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৫)
এসব কারণে আল্লাহ তাআলা তাদের অভিশপ্ত জাতি আখ্যা দিয়েছেন এবং যুগে যুগে তাদের শাস্তি দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ ও মানুষের প্রতিশ্রুতি ছাড়া তারা যেখানেই ছিল লাঞ্ছিত হয়েছে, তাদের ওপর আল্লাহ ক্রুদ্ধ হয়েছেন এবং তারা অভাবগ্রস্ত হয়েছে কারণ তারা আল্লাহর নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করত এবং অন্যায়ভাবে নবীদের হত্যা করত, তারা অবাধ্য হয়েছিল এবং সীমা লঙ্ঘন করত।’(সুরা আলে ইমরান: ১১২)
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৩ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৪ ঘণ্টা আগে