শরিফ আহমাদ
মানত হলো আল্লাহ তাআলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ইবাদত বা কাজ করার প্রতিজ্ঞা করা, যা বান্দা নিজের জন্য নিজে আবশ্যক করে নেয়। কোনো শর্ত ছাড়া নেক কাজের মানত করা জায়েজ। শর্তযুক্ত মানত করতে নিষেধ করা হয়েছে ইসলামে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) মানত করতে নিষেধ করেছেন। এই মর্মে তিনি বলেন, ‘মানত কোনো বিষয়কে দূর করতে পারে না, এর মাধ্যমে কেবল কৃপণের সম্পদ খরচ হয়।’ (বুখারি: ৬১৫৫)
এরপরও যদি কেউ মানত করে কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি প্রাপ্ত হয়, তাহলে তা পূরণ করা ওয়াজিব। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘এরপর তারা যেন নিজেদের পবিত্রতা পূর্ণ করে, তাদের মানতসমূহ পূর্ণ করে এবং প্রাচীন ঘরের (কাবাঘরের) তাওয়াফ সম্পন্ন করে।’ (সুরা হজ: ২৯)
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে মানত করা হারাম। যদি আল্লাহর নামে মানত করে সওয়াব কোনো বুজুর্গ বা কোনো ব্যক্তিকে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে কোনো প্রাণী জবাই করা হয়, তাহলে মানত সহিহ। ওই মাংস এলাকার গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন বা মসজিদে আগত গরিবদের খাওয়ানো জায়েজ।
যদি মান্নতের বিষয়টি অসাধ্য হয় অথবা পাপের অন্তর্ভুক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে গুনাহের কাজটি করা ওয়াজিব নয়; বরং বিপরীত করাই ওয়াজিব। অবশ্য এতে কাফফারা দিতে হবে। কাফফারা হলো ১০ জন মিসকিনকে দুবেলা পেটভরে খাবার দেওয়া অথবা ১০ জন মিসকিনকে একজোড়া করে কাপড় প্রদান করা অথবা দাসমুক্ত করা। সাধ্য না থাকলে তিন দিন রোজা রাখা।
সাধারণত মানুষ বিপদাপদের সময় মানত করে থাকে। মানত যেহেতু ভাগ্য পরিবর্তন করে না, তাই অনর্থক মানত না করে দোয়া ও দান করা উচিত। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না।’ (বায়হাকি: ৭৩৭৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানত হলো আল্লাহ তাআলার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ইবাদত বা কাজ করার প্রতিজ্ঞা করা, যা বান্দা নিজের জন্য নিজে আবশ্যক করে নেয়। কোনো শর্ত ছাড়া নেক কাজের মানত করা জায়েজ। শর্তযুক্ত মানত করতে নিষেধ করা হয়েছে ইসলামে। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) মানত করতে নিষেধ করেছেন। এই মর্মে তিনি বলেন, ‘মানত কোনো বিষয়কে দূর করতে পারে না, এর মাধ্যমে কেবল কৃপণের সম্পদ খরচ হয়।’ (বুখারি: ৬১৫৫)
এরপরও যদি কেউ মানত করে কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি প্রাপ্ত হয়, তাহলে তা পূরণ করা ওয়াজিব। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘এরপর তারা যেন নিজেদের পবিত্রতা পূর্ণ করে, তাদের মানতসমূহ পূর্ণ করে এবং প্রাচীন ঘরের (কাবাঘরের) তাওয়াফ সম্পন্ন করে।’ (সুরা হজ: ২৯)
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে মানত করা হারাম। যদি আল্লাহর নামে মানত করে সওয়াব কোনো বুজুর্গ বা কোনো ব্যক্তিকে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে আল্লাহর নামে কোনো প্রাণী জবাই করা হয়, তাহলে মানত সহিহ। ওই মাংস এলাকার গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বণ্টন বা মসজিদে আগত গরিবদের খাওয়ানো জায়েজ।
যদি মান্নতের বিষয়টি অসাধ্য হয় অথবা পাপের অন্তর্ভুক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে গুনাহের কাজটি করা ওয়াজিব নয়; বরং বিপরীত করাই ওয়াজিব। অবশ্য এতে কাফফারা দিতে হবে। কাফফারা হলো ১০ জন মিসকিনকে দুবেলা পেটভরে খাবার দেওয়া অথবা ১০ জন মিসকিনকে একজোড়া করে কাপড় প্রদান করা অথবা দাসমুক্ত করা। সাধ্য না থাকলে তিন দিন রোজা রাখা।
সাধারণত মানুষ বিপদাপদের সময় মানত করে থাকে। মানত যেহেতু ভাগ্য পরিবর্তন করে না, তাই অনর্থক মানত না করে দোয়া ও দান করা উচিত। কারণ রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা দানের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবে। কেননা বিপদাপদ তাকে অতিক্রম করতে পারে না।’ (বায়হাকি: ৭৩৭৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
১ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
১ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
১ দিন আগে