মুফতি আইয়ুব নাদীম
ভালোবাসা মহান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি। মুমিনের কল্যাণময় ভালোবাসার অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে মহান আল্লাহর ভালোবাসা। প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ে মহান আল্লাহর ভালোবাসা থাকা জরুরি। আলিমরা আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধির চারটি আমলের কথা বলেছেন।
এক. মৃত্যুর স্মরণ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা বেশি বেশি করে স্বাদ হরণকারী বিষয় তথা মৃত্যুর স্মরণ করো।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৫৮) আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মৃত্যু মুমিনের জন্য উপঢৌকনস্বরূপ।’ (শুআবুল ইমান: ৯৭৭৩)
দুই. ভালোবাসা আল্লাহর জন্য হওয়া: দুনিয়ার যাবতীয় কাজ ও বস্তুর ভালোবাসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য হওয়া। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসে এবং তাঁর জন্যই কারও সঙ্গে বিদ্বেষ পোষণ করে, এবং তাঁর জন্যই দান করে এবং তাঁর উদ্দেশ্যেই দান থেকে বিরত থাকে, তাহলে সে তার ইমানকে পরিপূর্ণ করল।’ (আবু দাউদ: ৪৬৮১)
তিন. আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা: এ ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার সঙ্গে যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, তুমি তার সাথে তা বজায় রাখ, তোমাকে যে বঞ্চিত করেছে, তুমি তাকে প্রদান কর এবং যে তোমার প্রতি অন্যায়াচরণ করেছে, তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫২)
চার. আল্লাহর নেয়ামত নিয়ে চিন্তা করা: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কি লক্ষ্য করোনি, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে, আল্লাহ তাআলা সেগুলোকে তোমাদের কাজে নিয়োজিত রেখেছেন এবং তিনি তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামতগুলো তোমাদের প্রতি পরিপূর্ণভাবে বর্ষণ করেছেন।’ (সুরা লোকমান: ২০) মানুষ যখন যাপিত জীবনে আল্লাহ তায়ালার এত বিপুলসংখ্যক নেয়ামতরাজি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে, তখন আল্লাহ তাআলার মহব্বত-ভালোবাসা দিলে বৃদ্ধি পাবে।
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
ভালোবাসা মহান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি। মুমিনের কল্যাণময় ভালোবাসার অন্যতম ক্ষেত্র হচ্ছে মহান আল্লাহর ভালোবাসা। প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়ে মহান আল্লাহর ভালোবাসা থাকা জরুরি। আলিমরা আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধির চারটি আমলের কথা বলেছেন।
এক. মৃত্যুর স্মরণ: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা বেশি বেশি করে স্বাদ হরণকারী বিষয় তথা মৃত্যুর স্মরণ করো।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৫৮) আরেক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মৃত্যু মুমিনের জন্য উপঢৌকনস্বরূপ।’ (শুআবুল ইমান: ৯৭৭৩)
দুই. ভালোবাসা আল্লাহর জন্য হওয়া: দুনিয়ার যাবতীয় কাজ ও বস্তুর ভালোবাসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য হওয়া। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসে এবং তাঁর জন্যই কারও সঙ্গে বিদ্বেষ পোষণ করে, এবং তাঁর জন্যই দান করে এবং তাঁর উদ্দেশ্যেই দান থেকে বিরত থাকে, তাহলে সে তার ইমানকে পরিপূর্ণ করল।’ (আবু দাউদ: ৪৬৮১)
তিন. আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা: এ ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার সঙ্গে যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, তুমি তার সাথে তা বজায় রাখ, তোমাকে যে বঞ্চিত করেছে, তুমি তাকে প্রদান কর এবং যে তোমার প্রতি অন্যায়াচরণ করেছে, তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫২)
চার. আল্লাহর নেয়ামত নিয়ে চিন্তা করা: পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কি লক্ষ্য করোনি, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে, আল্লাহ তাআলা সেগুলোকে তোমাদের কাজে নিয়োজিত রেখেছেন এবং তিনি তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামতগুলো তোমাদের প্রতি পরিপূর্ণভাবে বর্ষণ করেছেন।’ (সুরা লোকমান: ২০) মানুষ যখন যাপিত জীবনে আল্লাহ তায়ালার এত বিপুলসংখ্যক নেয়ামতরাজি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে, তখন আল্লাহ তাআলার মহব্বত-ভালোবাসা দিলে বৃদ্ধি পাবে।
লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৯ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৯ ঘণ্টা আগে