মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
আল্লাহর প্রেরিত নবী-রাসুলদের মধ্যে সর্বশেষ নবী হলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বের মানব ও জিন জাতির জন্য তিনিই একমাত্র নবী ও রাসুল। তাঁর পরে আল্লাহ তাআলা অন্য কোনো নবী-রাসুল পাঠাননি, পাঠাবেন না। এটি পবিত্র কোরআন, বিশুদ্ধ হাদিস ও সব সাহাবির ইজমা (সর্বসম্মত অবস্থান) দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্য থেকে কোনো পুরুষের পিতা নয়, বরং সে হচ্ছে আল্লাহর রাসুল ও সর্বশেষ নবী।’ (সুরা আহজাব: ৪০)
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ছয়টি বিষয়ের মাধ্যমে আমাকে সব নবীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। (এর মধ্যে শেষটি হলো)—আমার মাধ্যমে নবীদের ধারা শেষ করা হয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) আলী (রা.)-কে বললেন, ‘মুসার জন্য হারুন যেমন, আমার জন্য তুমিও তেমন। তবে পার্থক্য হলো, আমার পরে কোনো নবী নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আরেক হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বনি ইসরাইলের নেতৃত্ব দিতেন নবীগণ। একজন নবীর মৃত্যু হলে তাঁর স্থলে অন্য একজন নবী আসতেন। আর আমার পরে কোনো নবী নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি হলাম সর্বশেষ নবী। আমার পরে আর কোনো নবী নেই।’ (মুসলিম)
মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর কয়েকজন লোক নবী হওয়ার দাবি করেছিল। হজরত আবু বকর (রা.)-এর নেতৃত্বে সব সাহাবি সর্বসম্মতভাবে তাদের প্রতিহত করেছিলেন।
উপরিউক্ত প্রমাণসমূহের ভিত্তিতে মুসলমানদের সর্বসম্মত বিশ্বাস হলো, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-ই হলেন সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে অন্য কোনো নবী বা রাসুল আসেননি, আসবেনও না।
লেখক:– মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
আল্লাহর প্রেরিত নবী-রাসুলদের মধ্যে সর্বশেষ নবী হলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বের মানব ও জিন জাতির জন্য তিনিই একমাত্র নবী ও রাসুল। তাঁর পরে আল্লাহ তাআলা অন্য কোনো নবী-রাসুল পাঠাননি, পাঠাবেন না। এটি পবিত্র কোরআন, বিশুদ্ধ হাদিস ও সব সাহাবির ইজমা (সর্বসম্মত অবস্থান) দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুহাম্মদ তোমাদের মধ্য থেকে কোনো পুরুষের পিতা নয়, বরং সে হচ্ছে আল্লাহর রাসুল ও সর্বশেষ নবী।’ (সুরা আহজাব: ৪০)
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ছয়টি বিষয়ের মাধ্যমে আমাকে সব নবীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। (এর মধ্যে শেষটি হলো)—আমার মাধ্যমে নবীদের ধারা শেষ করা হয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) আলী (রা.)-কে বললেন, ‘মুসার জন্য হারুন যেমন, আমার জন্য তুমিও তেমন। তবে পার্থক্য হলো, আমার পরে কোনো নবী নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আরেক হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘বনি ইসরাইলের নেতৃত্ব দিতেন নবীগণ। একজন নবীর মৃত্যু হলে তাঁর স্থলে অন্য একজন নবী আসতেন। আর আমার পরে কোনো নবী নেই।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি হলাম সর্বশেষ নবী। আমার পরে আর কোনো নবী নেই।’ (মুসলিম)
মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর কয়েকজন লোক নবী হওয়ার দাবি করেছিল। হজরত আবু বকর (রা.)-এর নেতৃত্বে সব সাহাবি সর্বসম্মতভাবে তাদের প্রতিহত করেছিলেন।
উপরিউক্ত প্রমাণসমূহের ভিত্তিতে মুসলমানদের সর্বসম্মত বিশ্বাস হলো, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-ই হলেন সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে অন্য কোনো নবী বা রাসুল আসেননি, আসবেনও না।
লেখক:– মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১০ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগে