আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পূর্ণ নাম আবুল ফজল আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-খুদাইরি আস-সুয়ুতি আশ শাফেয়ি। তিনি ১৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দে (৮৪৯ হিজরি)-এর রজব মাসের শুরুতে রোববার দিবাগত রাতে মিসরের আসইউত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) কায়রোতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গভীর প্রভাব রেখেছে।
প্রাথমিক জীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতির পরিবার ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায় সমৃদ্ধ। তাঁর পিতা শামসুদ্দিন আস-সুয়ুতি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম ও লেখক। মাত্র ৫ বছর বয়সে সুয়ুতি পিতাকে হারান, কিন্তু তাঁর পিতার বন্ধু ও শিক্ষকেরা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব নেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।
সুয়ুতি অল্প বয়সেই ইসলামি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা অর্জন করেন। কায়রো, দামেস্ক, হিজাজ (মক্কা ও মদিনা) এবং অন্যান্য স্থানের প্রখ্যাত আলিমদের কাছে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। হাদিস, তাফসির, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর মেধা ছিল অসামান্য। তিনি নিজেই বলেন, ২ লাখ হাদিস আমার মুখস্থ আছে। এর চেয়ে বেশি পেলে আমি সেগুলোও মুখস্থ করে ফেলতাম। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি, ইমাম কামালুদ্দিন ইবনুল হুমাম, শায়খ সালিহ বুলকিনি, শারফুদ্দিন আল মুনাবি প্রমুখ। (আল কাওয়াকিবুস সায়েরাহ,১ / ২২৮)
কর্মজীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার জীবনে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, যা ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। রচনার দ্রুততায় তিনি ছিলেন আল্লাহর বড় নিদর্শন। তাঁর ছাত্র দাউদি বলেন, ‘আমি শায়খকে দেখেছি, তিনি নিয়মিত তিন খাতা পরিমাণ লিখতেন। পাশাপাশি হাদিসও স্মৃতি থেকে লেখাতেন। আগন্তুকদের প্রশ্নের উত্তরও দিতেন। তাঁর রচনাগুলো তাফসির, হাদিস, ফিকহ, ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—
তাফসিরুল জালালাইন: এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি এ তাফসির গ্রন্থ জালালুদ্দিন আল-মাহাল্লির সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবহ তাফসির হিসেবে পরিচিত।
আল-ইতকান ফি উলুমিল কোরআন: কোরআনের বিজ্ঞান (উলুমুল কুরআন) সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এতে কোরআনের ভাষা, নাজিলের প্রেক্ষাপট, তিলাওয়াতের নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাবাকাতুল মুফাসসিরিন: তাফসির শাস্ত্রের আলেমদের জীবনী নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
তারিখুল খুলাফা: ইসলামি ইতিহাসে খলিফাদের জীবনী ও তাদের শাসনামল নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
আল-জামিউস সগির: হাদিস সংকলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
আল-আশবাহ ওয়া আল-নাজায়ের: ফিকহ শাস্ত্রের নীতিমালা ও সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
তাদরিবুর রাবি: এটি উসুলুল হাদিস শাস্ত্রের বরেণ্য গ্রন্থ ‘তাকরিবুন নাওয়ায়ি’র অসাধারণ ভাষ্যগ্রন্থ।
ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য
জালালুদ্দিন সুয়ুতি অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান আলেম ছিলেন। তিনি জ্ঞানের পথে কখনো ক্লান্ত হতেন না এবং তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। চল্লিশ বছর বয়সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নির্জনতা বেছে নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত ও রচনাবলি সম্পাদনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। এতটাই দুনিয়াবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন যেন তিনি কাউকে চেনেন না। ফতোয়া প্রদান ও পাঠদানও ছেড়ে দিয়েছিলেন। একটি স্বতন্ত্র রচনায় এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের অপারগতার কথা জানান। মিসরের গভর্নরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার দাওয়াত আসলেও কখনো সেখানে যাননি। অনেক ধনী মানুষেরা তার জন্য উপহার নিয়ে যেতেন তিনি কারও উপহার গ্রহণ করতেন না। তার অনেক কারামাতের কথা ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতে বিস্তারিত উল্লেখিত হয়েছে।
শেষ জীবন ও মৃত্যু
জীবনের শেষ দিকে তিনি কায়রোতে অবস্থান করেন এবং শিক্ষাদান ও লেখালেখিতে নিয়োজিত থাকেন। তিনি ৬০ বছর বয়সে ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পূর্ণ নাম আবুল ফজল আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-খুদাইরি আস-সুয়ুতি আশ শাফেয়ি। তিনি ১৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দে (৮৪৯ হিজরি)-এর রজব মাসের শুরুতে রোববার দিবাগত রাতে মিসরের আসইউত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) কায়রোতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গভীর প্রভাব রেখেছে।
প্রাথমিক জীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতির পরিবার ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায় সমৃদ্ধ। তাঁর পিতা শামসুদ্দিন আস-সুয়ুতি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম ও লেখক। মাত্র ৫ বছর বয়সে সুয়ুতি পিতাকে হারান, কিন্তু তাঁর পিতার বন্ধু ও শিক্ষকেরা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব নেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।
সুয়ুতি অল্প বয়সেই ইসলামি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা অর্জন করেন। কায়রো, দামেস্ক, হিজাজ (মক্কা ও মদিনা) এবং অন্যান্য স্থানের প্রখ্যাত আলিমদের কাছে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। হাদিস, তাফসির, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর মেধা ছিল অসামান্য। তিনি নিজেই বলেন, ২ লাখ হাদিস আমার মুখস্থ আছে। এর চেয়ে বেশি পেলে আমি সেগুলোও মুখস্থ করে ফেলতাম। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি, ইমাম কামালুদ্দিন ইবনুল হুমাম, শায়খ সালিহ বুলকিনি, শারফুদ্দিন আল মুনাবি প্রমুখ। (আল কাওয়াকিবুস সায়েরাহ,১ / ২২৮)
কর্মজীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার জীবনে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, যা ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। রচনার দ্রুততায় তিনি ছিলেন আল্লাহর বড় নিদর্শন। তাঁর ছাত্র দাউদি বলেন, ‘আমি শায়খকে দেখেছি, তিনি নিয়মিত তিন খাতা পরিমাণ লিখতেন। পাশাপাশি হাদিসও স্মৃতি থেকে লেখাতেন। আগন্তুকদের প্রশ্নের উত্তরও দিতেন। তাঁর রচনাগুলো তাফসির, হাদিস, ফিকহ, ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—
তাফসিরুল জালালাইন: এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি এ তাফসির গ্রন্থ জালালুদ্দিন আল-মাহাল্লির সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবহ তাফসির হিসেবে পরিচিত।
আল-ইতকান ফি উলুমিল কোরআন: কোরআনের বিজ্ঞান (উলুমুল কুরআন) সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এতে কোরআনের ভাষা, নাজিলের প্রেক্ষাপট, তিলাওয়াতের নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাবাকাতুল মুফাসসিরিন: তাফসির শাস্ত্রের আলেমদের জীবনী নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
তারিখুল খুলাফা: ইসলামি ইতিহাসে খলিফাদের জীবনী ও তাদের শাসনামল নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
আল-জামিউস সগির: হাদিস সংকলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
আল-আশবাহ ওয়া আল-নাজায়ের: ফিকহ শাস্ত্রের নীতিমালা ও সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
তাদরিবুর রাবি: এটি উসুলুল হাদিস শাস্ত্রের বরেণ্য গ্রন্থ ‘তাকরিবুন নাওয়ায়ি’র অসাধারণ ভাষ্যগ্রন্থ।
ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য
জালালুদ্দিন সুয়ুতি অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান আলেম ছিলেন। তিনি জ্ঞানের পথে কখনো ক্লান্ত হতেন না এবং তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। চল্লিশ বছর বয়সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নির্জনতা বেছে নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত ও রচনাবলি সম্পাদনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। এতটাই দুনিয়াবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন যেন তিনি কাউকে চেনেন না। ফতোয়া প্রদান ও পাঠদানও ছেড়ে দিয়েছিলেন। একটি স্বতন্ত্র রচনায় এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের অপারগতার কথা জানান। মিসরের গভর্নরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার দাওয়াত আসলেও কখনো সেখানে যাননি। অনেক ধনী মানুষেরা তার জন্য উপহার নিয়ে যেতেন তিনি কারও উপহার গ্রহণ করতেন না। তার অনেক কারামাতের কথা ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতে বিস্তারিত উল্লেখিত হয়েছে।
শেষ জীবন ও মৃত্যু
জীবনের শেষ দিকে তিনি কায়রোতে অবস্থান করেন এবং শিক্ষাদান ও লেখালেখিতে নিয়োজিত থাকেন। তিনি ৬০ বছর বয়সে ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
আবদুল আযীয কাসেমি

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পূর্ণ নাম আবুল ফজল আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-খুদাইরি আস-সুয়ুতি আশ শাফেয়ি। তিনি ১৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দে (৮৪৯ হিজরি)-এর রজব মাসের শুরুতে রোববার দিবাগত রাতে মিসরের আসইউত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) কায়রোতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গভীর প্রভাব রেখেছে।
প্রাথমিক জীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতির পরিবার ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায় সমৃদ্ধ। তাঁর পিতা শামসুদ্দিন আস-সুয়ুতি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম ও লেখক। মাত্র ৫ বছর বয়সে সুয়ুতি পিতাকে হারান, কিন্তু তাঁর পিতার বন্ধু ও শিক্ষকেরা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব নেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।
সুয়ুতি অল্প বয়সেই ইসলামি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা অর্জন করেন। কায়রো, দামেস্ক, হিজাজ (মক্কা ও মদিনা) এবং অন্যান্য স্থানের প্রখ্যাত আলিমদের কাছে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। হাদিস, তাফসির, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর মেধা ছিল অসামান্য। তিনি নিজেই বলেন, ২ লাখ হাদিস আমার মুখস্থ আছে। এর চেয়ে বেশি পেলে আমি সেগুলোও মুখস্থ করে ফেলতাম। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি, ইমাম কামালুদ্দিন ইবনুল হুমাম, শায়খ সালিহ বুলকিনি, শারফুদ্দিন আল মুনাবি প্রমুখ। (আল কাওয়াকিবুস সায়েরাহ,১ / ২২৮)
কর্মজীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার জীবনে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, যা ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। রচনার দ্রুততায় তিনি ছিলেন আল্লাহর বড় নিদর্শন। তাঁর ছাত্র দাউদি বলেন, ‘আমি শায়খকে দেখেছি, তিনি নিয়মিত তিন খাতা পরিমাণ লিখতেন। পাশাপাশি হাদিসও স্মৃতি থেকে লেখাতেন। আগন্তুকদের প্রশ্নের উত্তরও দিতেন। তাঁর রচনাগুলো তাফসির, হাদিস, ফিকহ, ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—
তাফসিরুল জালালাইন: এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি এ তাফসির গ্রন্থ জালালুদ্দিন আল-মাহাল্লির সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবহ তাফসির হিসেবে পরিচিত।
আল-ইতকান ফি উলুমিল কোরআন: কোরআনের বিজ্ঞান (উলুমুল কুরআন) সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এতে কোরআনের ভাষা, নাজিলের প্রেক্ষাপট, তিলাওয়াতের নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাবাকাতুল মুফাসসিরিন: তাফসির শাস্ত্রের আলেমদের জীবনী নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
তারিখুল খুলাফা: ইসলামি ইতিহাসে খলিফাদের জীবনী ও তাদের শাসনামল নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
আল-জামিউস সগির: হাদিস সংকলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
আল-আশবাহ ওয়া আল-নাজায়ের: ফিকহ শাস্ত্রের নীতিমালা ও সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
তাদরিবুর রাবি: এটি উসুলুল হাদিস শাস্ত্রের বরেণ্য গ্রন্থ ‘তাকরিবুন নাওয়ায়ি’র অসাধারণ ভাষ্যগ্রন্থ।
ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য
জালালুদ্দিন সুয়ুতি অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান আলেম ছিলেন। তিনি জ্ঞানের পথে কখনো ক্লান্ত হতেন না এবং তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। চল্লিশ বছর বয়সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নির্জনতা বেছে নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত ও রচনাবলি সম্পাদনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। এতটাই দুনিয়াবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন যেন তিনি কাউকে চেনেন না। ফতোয়া প্রদান ও পাঠদানও ছেড়ে দিয়েছিলেন। একটি স্বতন্ত্র রচনায় এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের অপারগতার কথা জানান। মিসরের গভর্নরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার দাওয়াত আসলেও কখনো সেখানে যাননি। অনেক ধনী মানুষেরা তার জন্য উপহার নিয়ে যেতেন তিনি কারও উপহার গ্রহণ করতেন না। তার অনেক কারামাতের কথা ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতে বিস্তারিত উল্লেখিত হয়েছে।
শেষ জীবন ও মৃত্যু
জীবনের শেষ দিকে তিনি কায়রোতে অবস্থান করেন এবং শিক্ষাদান ও লেখালেখিতে নিয়োজিত থাকেন। তিনি ৬০ বছর বয়সে ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার পূর্ণ নাম আবুল ফজল আব্দুর রহমান ইবনে আবি বকর ইবনে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আল-খুদাইরি আস-সুয়ুতি আশ শাফেয়ি। তিনি ১৪৪৫ খ্রিষ্টাব্দে (৮৪৯ হিজরি)-এর রজব মাসের শুরুতে রোববার দিবাগত রাতে মিসরের আসইউত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) কায়রোতে ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবন ও কর্ম ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গভীর প্রভাব রেখেছে।
প্রাথমিক জীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতির পরিবার ছিল জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষায় সমৃদ্ধ। তাঁর পিতা শামসুদ্দিন আস-সুয়ুতি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আলেম ও লেখক। মাত্র ৫ বছর বয়সে সুয়ুতি পিতাকে হারান, কিন্তু তাঁর পিতার বন্ধু ও শিক্ষকেরা তাঁর শিক্ষার দায়িত্ব নেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন।
সুয়ুতি অল্প বয়সেই ইসলামি জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় দক্ষতা অর্জন করেন। কায়রো, দামেস্ক, হিজাজ (মক্কা ও মদিনা) এবং অন্যান্য স্থানের প্রখ্যাত আলিমদের কাছে শিক্ষা লাভ করেন তিনি। হাদিস, তাফসির, ফিকহ, উসুলুল ফিকহ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং অন্যান্য বিষয়ে গভীর ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তাঁর মেধা ছিল অসামান্য। তিনি নিজেই বলেন, ২ লাখ হাদিস আমার মুখস্থ আছে। এর চেয়ে বেশি পেলে আমি সেগুলোও মুখস্থ করে ফেলতাম। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি, ইমাম কামালুদ্দিন ইবনুল হুমাম, শায়খ সালিহ বুলকিনি, শারফুদ্দিন আল মুনাবি প্রমুখ। (আল কাওয়াকিবুস সায়েরাহ,১ / ২২৮)
কর্মজীবন
জালালুদ্দিন সুয়ুতি তার জীবনে প্রায় ৫০০ টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন, যা ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। রচনার দ্রুততায় তিনি ছিলেন আল্লাহর বড় নিদর্শন। তাঁর ছাত্র দাউদি বলেন, ‘আমি শায়খকে দেখেছি, তিনি নিয়মিত তিন খাতা পরিমাণ লিখতেন। পাশাপাশি হাদিসও স্মৃতি থেকে লেখাতেন। আগন্তুকদের প্রশ্নের উত্তরও দিতেন। তাঁর রচনাগুলো তাফসির, হাদিস, ফিকহ, ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান ও সাহিত্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো—
তাফসিরুল জালালাইন: এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ। তিনি এ তাফসির গ্রন্থ জালালুদ্দিন আল-মাহাল্লির সঙ্গে সম্পন্ন করেন। এটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবহ তাফসির হিসেবে পরিচিত।
আল-ইতকান ফি উলুমিল কোরআন: কোরআনের বিজ্ঞান (উলুমুল কুরআন) সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এতে কোরআনের ভাষা, নাজিলের প্রেক্ষাপট, তিলাওয়াতের নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
তাবাকাতুল মুফাসসিরিন: তাফসির শাস্ত্রের আলেমদের জীবনী নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
তারিখুল খুলাফা: ইসলামি ইতিহাসে খলিফাদের জীবনী ও তাদের শাসনামল নিয়ে রচিত গ্রন্থ।
আল-জামিউস সগির: হাদিস সংকলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
আল-আশবাহ ওয়া আল-নাজায়ের: ফিকহ শাস্ত্রের নীতিমালা ও সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
তাদরিবুর রাবি: এটি উসুলুল হাদিস শাস্ত্রের বরেণ্য গ্রন্থ ‘তাকরিবুন নাওয়ায়ি’র অসাধারণ ভাষ্যগ্রন্থ।
ব্যক্তিত্ব ও বৈশিষ্ট্য
জালালুদ্দিন সুয়ুতি অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান আলেম ছিলেন। তিনি জ্ঞানের পথে কখনো ক্লান্ত হতেন না এবং তার সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। চল্লিশ বছর বয়সে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নির্জনতা বেছে নিয়েছিলেন। এ সময় তিনি একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত ও রচনাবলি সম্পাদনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। এতটাই দুনিয়াবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন যেন তিনি কাউকে চেনেন না। ফতোয়া প্রদান ও পাঠদানও ছেড়ে দিয়েছিলেন। একটি স্বতন্ত্র রচনায় এ ক্ষেত্রে তিনি নিজের অপারগতার কথা জানান। মিসরের গভর্নরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার দাওয়াত আসলেও কখনো সেখানে যাননি। অনেক ধনী মানুষেরা তার জন্য উপহার নিয়ে যেতেন তিনি কারও উপহার গ্রহণ করতেন না। তার অনেক কারামাতের কথা ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতে বিস্তারিত উল্লেখিত হয়েছে।
শেষ জীবন ও মৃত্যু
জীবনের শেষ দিকে তিনি কায়রোতে অবস্থান করেন এবং শিক্ষাদান ও লেখালেখিতে নিয়োজিত থাকেন। তিনি ৬০ বছর বয়সে ১৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে (৯১১ হিজরি) ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু ইসলামি জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচিত হয়।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ইসলামের ইতিহাসে স্বল্পসময়ে বিপুল অবদান রাখার জন্য যেসব মনীষী উজ্জ্বল হয়ে আছেন, তাঁদের মধ্যে জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) অন্যতম। তিনি মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি পণ্ডিত, মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
২৯ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে