আবরার নাঈম, মুহাদ্দিস
রিজিক আরবি শব্দ। অর্থ জীবিকা, খাদ্য। এটা আভিধানিক অর্থ। তবে রিজিকের অর্থ ব্যাপক। ভাত-রুটিও যেমন রিজিক, তেমনই সুস্থতাও আল্লাহ প্রদত্ত মহারিজিক। ভালো কাজকর্মে যেমনিভাবে আল্লাহ রিজিক বৃদ্ধি করেন। তেমনিভাবে কিছু কিছু কাজের কারণে আল্লাহ বান্দার রিজিক সংকীর্ণ করে দেন। কিছু কারণ এখানে উল্লেখ করা হলো:
১. পাপকাজে লিপ্ত হওয়া: ভালো ও নেক কাজে আল্লাহ খুশি হন আর বদ ও মন্দ কাজে আল্লাহ নাখোশ হন। শুধু নাখোশ হন না, বরং তার রিজিকও সংকীর্ণ করে দেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ছাড়া অন্য কিছুতে তাকদির রদ হয় না। মানুষ পাপকাজের দরুন তার প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ: ৪০২২)
২. প্রাপ্ত নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা: সব মানুষই আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামতে ডুবে আছে। সেসব নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা মানুষের জন্য আবশ্যক। শুকরিয়া আদায় করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়। বিপরীত হলে রিজিক সংকীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের আরও বেশি দেব; আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি কঠোর।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
৩. হারাম উপার্জন করা: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এ পৃথিবীর ধনদৌলত সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা সৎভাবে গ্রহণ করবে এবং সৎভাবে ব্যয় করবে, তা তার খুবই উপকারী হবে। আর যে তা অন্যায়ভাবে গ্রহণ করবে, সে ওই ব্যক্তির মতো যে খেতে থাকে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না।’ (বুখারি: ৬৪২৭)
রিজিক আরবি শব্দ। অর্থ জীবিকা, খাদ্য। এটা আভিধানিক অর্থ। তবে রিজিকের অর্থ ব্যাপক। ভাত-রুটিও যেমন রিজিক, তেমনই সুস্থতাও আল্লাহ প্রদত্ত মহারিজিক। ভালো কাজকর্মে যেমনিভাবে আল্লাহ রিজিক বৃদ্ধি করেন। তেমনিভাবে কিছু কিছু কাজের কারণে আল্লাহ বান্দার রিজিক সংকীর্ণ করে দেন। কিছু কারণ এখানে উল্লেখ করা হলো:
১. পাপকাজে লিপ্ত হওয়া: ভালো ও নেক কাজে আল্লাহ খুশি হন আর বদ ও মন্দ কাজে আল্লাহ নাখোশ হন। শুধু নাখোশ হন না, বরং তার রিজিকও সংকীর্ণ করে দেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ছাড়া অন্য কিছুতে তাকদির রদ হয় না। মানুষ পাপকাজের দরুন তার প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়।’ (ইবনে মাজাহ: ৪০২২)
২. প্রাপ্ত নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করা: সব মানুষই আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামতে ডুবে আছে। সেসব নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা মানুষের জন্য আবশ্যক। শুকরিয়া আদায় করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়। বিপরীত হলে রিজিক সংকীর্ণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের আরও বেশি দেব; আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি কঠোর।’ (সুরা ইবরাহিম: ৭)
৩. হারাম উপার্জন করা: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এ পৃথিবীর ধনদৌলত সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা সৎভাবে গ্রহণ করবে এবং সৎভাবে ব্যয় করবে, তা তার খুবই উপকারী হবে। আর যে তা অন্যায়ভাবে গ্রহণ করবে, সে ওই ব্যক্তির মতো যে খেতে থাকে; কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না।’ (বুখারি: ৬৪২৭)
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১০ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগে