Ajker Patrika

রহমতের রমজান: অসুস্থ ইহুদি বালককে দেখতে গিয়েছিলেন মহানবী (সা.)

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৫: ৪১
রহমতের রমজান: অসুস্থ ইহুদি বালককে দেখতে গিয়েছিলেন মহানবী (সা.)

ইসলাম মানবতা, দয়া ও সহানুভূতির ধর্ম। মানুষ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, বিপদে-আপদে পরস্পরের পাশে দাঁড়াবে, অসুস্থদের পাশে গিয়ে তাদের মানসিক শক্তি জোগাবে এবং সাধ্যমতো সেবা-শুশ্রূষা করবে, ক্ষুধার্তদের খাবার দেবে, পিপাসার্তদের পিপাসা মেটাবে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র পরাবে, অন্যায়ভাবে বন্দী হওয়া লোকদের মুক্তির ব্যবস্থা করবে—এ সবই ইসলামের নির্দেশ। 

দয়া ও সহানুভূতির মূর্ত প্রতীক মহানবী (সা.) অসংখ্য হাদিসে তাঁর অনুসারীদের সৃষ্টির প্রতি দয়াশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি কেয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে এ ব্যাপারে কঠিন জবাবদিহির মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে তিনি বিচার দিবসের একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। মহানবী (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তুমি আমাকে দেখতে আসোনি।’ সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আপনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা, আপনাকে দেখতে যাওয়া কীভাবে সম্ভব?’ 

তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কি জানো না, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল আর তুমি তাকে দেখতে যাওনি? তোমার কি জানা ছিল না, যদি তুমি তাকে দেখতে যেতে, তাহলে তার কাছে আমাকে পেতে?’ এরপর বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে খাবার দাওনি।’ 

সে বলবে, ‘হে আমার প্রতিপালক, আমি কী করে আপনাকে খাবার দেব, যেখানে আপনি হলেন সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা?’ 

তিনি বলবেন, ‘তোমার কি জানা আছে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তুমি দাওনি? তোমার কি জানা ছিল না, যদি তুমি তাকে খাওয়াতে, তাহলে আমার কাছে তার প্রতিদান পেতে?’ 

এরপর বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি তোমার কাছে পানি চেয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে পানি দাওনি।’ সে বলবে, ‘হে আমার রব, আমার পক্ষে আপনাকে পানি পান করানো কীভাবে সম্ভব, যেখানে আপনি হলেন সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা?’ 

আল্লাহ বলবেন, ‘আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানি চেয়েছিল, কিন্তু তুমি তাকে পানি দাওনি। তোমার কি জানা ছিল না, যদি তুমি তাকে পানি পান করাতে, তাহলে তার প্রতিদান আমার কাছে পেতে?’ 

এই হাদিসে বিশেষভাবে মানুষের প্রতি সহানুভূতির তিনটি দিক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। 

এক. অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়া
মানুষ যখন অসুস্থ হয়, তখন মানসিকভাবে সে অনেক ভেঙে পড়ে। এমন অবস্থায় যখন তার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব কাছে আসে এবং সান্ত্বনা দেয়, তখন সে হৃদয়ে প্রশান্তি অনুভব করে, বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা পায়। এর ফলে সামাজিক বন্ধনও সুদৃঢ় হয়। তাই ইসলামে এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা অসুস্থ লোককে দেখতে যাও।’ (বুখারি) 

অসুস্থ অমুসলিম ব্যক্তিকে দেখতে গেলেও সওয়াব পাওয়ার কথা এসেছে হাদিসে। একবার রাসুল (সা.) এক ইহুদি অসুস্থ বালককে দেখতে গিয়েছিলেন। তাঁর এমন অসাম্প্রদায়িক আচরণ দেখে বালকটি মৃত্যুর পূর্বক্ষণে কালিমা পড়ে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল। (বুখারি) 

শুধু মানুষই নয়, যেকোনো জীবনের প্রতি দয়া করাই রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা। তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শনে সওয়াব রয়েছে।’ (বুখারি) 

দুই. ক্ষুধার্তকে খাবার দেওয়া
ইসলামে খাবার খাওয়ানো একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। বর্ণিত আছে, রাসুল (সা.)কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইসলামে কোন আমলটি সর্বোত্তম?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া।’ (বুখারি ও মুসলিম) 

আরেক হাদিসে বলেন, ‘তোমরা ক্ষুধার্তকে আহার করাও।’ (বুখারি) আরেক হাদিসে বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমার প্রতি ইমান আনেনি, যে পরিতৃপ্ত হয়ে রাত অতিবাহিত করে, অথচ তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে এবং এ কথা সে জানে।’ (বাজ্জার, তাবরানি) 

শুধু মানুষ নয়, ক্ষুধার্ত পশু-পাখিদের আহার করাতেও ইসলাম নির্দেশ দেয়। এক নারী নিজের পোষ্য বিড়ালকে অনাহারে রাখার কারণে জাহান্নামে গেছে—এমন বর্ণনা এসেছে হাদিসে। (বুখারি) 

তিন. পানি পান করানো
তৃষ্ণার্তকে পানি পান করানো এবং মানুষ ও পশুপাখির জন্য পুকুর, খাল, নলকূপ ইত্যাদি খনন করা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘মৃত্যুর পরেও যেসব আমলের সওয়াব লিপিবদ্ধ হতে থাকে, সেগুলোর একটি হচ্ছে নহর প্রবাহিত করা অর্থাৎ পুকুর, খাল, নলকূপ ইত্যাদি খনন করে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য পানির ব্যবস্থা করা।’ (ইবনে মাজাহ) 

সাহাবি সাদ বিন উবাদাহ (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা মারা গেছেন, এখন আমি তাঁর পক্ষ থেকে সর্বোত্তম কোন সদকাটা করতে পারি?’ রাসুল (সা.) জবাব দিলেন, ‘পানি পান করানো।’ (মুসনাদে আহমদ) 

তৃষ্ণার্তকে পানি পান করালে আল্লাহ এত সন্তুষ্ট হন যে, এর ফলে তিনি গুনাহ মাফ করে দেন। বর্ণিত আছে, জনৈক পাপিষ্ঠ লোক একটি তৃষ্ণার্ত কুকুরকে পানি পান করালে আল্লাহ তাআলা তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। (বুখারি ও মুসলিম) 

উল্লেখিত তিনটি বিষয় ছাড়াও সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের আরও অসংখ্য দিকের ফজিলত এবং সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা থেকে বিরত থাকার শাস্তির কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক হচ্ছে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দেওয়া, অন্যায়ভাবে বন্দী হওয়া লোকদের মুক্তির ব্যবস্থা করা, গৃহহীনদের গৃহের ব্যবস্থা করা, বিধবাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া এবং এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রতিপালন ও শিক্ষা–দীক্ষার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

লেখক: ইসলাম বিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫ ফুট উচ্চতার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে ১৮০ অভিবাসী, চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১১ মিনিট
ফজর০৫: ১২ মিনিট০৬: ৩১ মিনিট
জোহর১১: ৫৪ মিনিট০৩: ৩৭ মিনিট
আসর০৩: ৩৮ মিনিট০৫: ১২ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৩ মিনিট
এশা০৬: ৩৪ মিনিট০৫: ১১ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫ ফুট উচ্চতার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে ১৮০ অভিবাসী, চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যেভাবে অন্যদের ভুল শুধরে দিতেন নবীজি

ইসলাম ডেস্ক 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।

ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।

মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।

রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫ ফুট উচ্চতার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে ১৮০ অভিবাসী, চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।

প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৫: ১০ মিনিট
ফজর০৫: ১১ মিনিট০৬: ৩০ মিনিট
জোহর১১: ৫৩ মিনিট০৩: ৩৬ মিনিট
আসর০৩: ৩৭ মিনিট০৫: ১২ মিনিট
মাগরিব০৫: ১৪ মিনিট০৬: ৩৩ মিনিট
এশা০৬: ৩৪ মিনিট০৫: ১০ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫ ফুট উচ্চতার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে ১৮০ অভিবাসী, চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মিসরে কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাসকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা

ইসলাম ডেস্ক 
৭০টি দেশকে হারিয়ে বাংলাদেশি হাফেজ আনাসের বিশ্বজয়। ছবি: সংগৃহীত
৭০টি দেশকে হারিয়ে বাংলাদেশি হাফেজ আনাসের বিশ্বজয়। ছবি: সংগৃহীত

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

বিমানবন্দরে সংবর্ধনায় অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস।
বিমানবন্দরে সংবর্ধনায় অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’

হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

হাফেজ আনাস ও তার ওস্তাদ শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছিরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
হাফেজ আনাস ও তার ওস্তাদ শায়েখ নেছার আহমদ আন নাছিরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।

নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।

প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫ ফুট উচ্চতার সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বেলারুশ থেকে পোল্যান্ডে ১৮০ অভিবাসী, চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত