মিসর
শবে কদরকে স্বাগত জানাতে রমজানের শেষ দশকে মসজিদে মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয়। ২৭তম রাতে মসজিদগুলো মুসল্লিতে ভরপুর হয়ে যায়। ফজর পর্যন্ত নামাজ, জিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদি ইবাদতে মুখরিত থাকে প্রতিটি মসজিদ। মিসরে এই রাতে একটি আন্তর্জাতিক কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিজয়ীদের পাশাপাশি দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট আলেমকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই রাতের তাৎপর্য ও শিক্ষা সম্পর্কে দেশের রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এই রাতে মিসর থেকে অনেক মানুষ সপরিবারে ওমরাহ পালনের জন্য মক্কায় চলে যায়।
মরক্কো
এ দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে শবে কদর পালিত হয়। ঘরে ও মসজিদে জ্বালানো হয় উচ্চমূল্যের ধূপকাঠি। লোকজন দল বেঁধে প্রয়াত আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করতে যায়। মা-বাবারা শিশুদের এই রাতে জীবনের প্রথম রোজা রাখতে উৎসাহিত করেন এবং এই রাতে পরিধান করার জন্য শিশুদের মরক্কোর ঐতিহ্যবাহী পোশাক কিনে দেন। মেয়েরা হাতে-পায়ে মেহেদি দেয়। ফটোগ্রাফার ডেকে পরিবারের সব সদস্যের সম্মিলিত ছবি তোলা হয়। ধনীরা মসজিদে মসজিদে গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।
লিবিয়া
শবে কদরে লিবিয়ার ঘরে-ঘরে ঐতিহ্যবাহী লিবিয়ান খাবার বাজিন, কুসকুস ইত্যাদি তৈরি করা হয় এবং মসজিদসমূহে বিতরণ করা হয়। এসব খাবার নারীরা রমজান মাসজুড়ে তৈরি করে।
সুদান
শবে কদরে সুদানের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নামে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশুর উপস্থিতিও লক্ষ করা যায়। রাতভর মসজিদে ইবাদত ও ধর্মীয় আলোচনা চলে। কেউ কেউ দাওয়াতের উদ্দেশ্যে ইসলামি বই-পুস্তক বিতরণ করে।
তুরস্ক
শবে কদরে তুরস্কের জনগণ পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মসজিদে ইবাদতকারীদের ঢল নামে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের আদ্রিনেহ রাজ্যের ঐতিহাসিক সুলেমানিয়ে মসজিদে হাজার হাজার মুসলিম শবে কদর পালনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। এটি বিখ্যাত অটোমান স্থপতি সিনান পাশার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ। এশার নামাজের পর অনেক মসজিদে কোরআন তিলাওয়াত ও আধ্যাত্মিক সংগীতের আসর বসে।
মৌরিতানিয়া
শবে কদরে মৌরিতানিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বিপদ-আপদ ও দুষ্ট আত্মা তাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট ধরনের ধূপ জ্বালায়। শিশুদের শয়তান থেকে নিরাপদ রাখতে তাদের শরীরের নির্দিষ্ট অংশে গরম সুই দিয়ে দাগ দেয়।
ভারত
শবে কদরে ভারতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ভারতীয় মুসলমানরা এই রাতে মসজিদে জড়ো হয়ে ইবাদত করে। মৃত আত্মীয়স্বজনের জন্য কোরআন খতম করে। কবরস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারত করে।
আলজেরিয়া
রমজানের শেষ ১০ দিনে আলজেরিয়ার লোকজন সমুদ্রসৈকতে গিয়ে মোমবাতি জ্বালায় এবং রোগমুক্তি ও অন্যান্য উদ্দেশ্য কামনা করে সমুদ্রের পানি দিয়ে সেই মোমবাতি নিভিয়ে দেয়। বিশেষ করে অবিবাহিত ও বিবাহিত নিঃসন্তান নারীরা বিয়ে ও সন্তান কামনায় এই রীতি পালন করে। যদিও ইসলামি চিন্তাবিদগণ এসবকে কুসংস্কার বলেই মনে করেন।
ইরান
শবে কদরে ইরানিরা মসজিদে গিয়ে সারা রাত ইবাদত করে। কেঁদে কেঁদে তওবা করে। পরদিন দুই ঘণ্টা দেরিতে কাজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই রাতে তারা মিসরীয় ক্বারিদের বিশেষ করে ক্বারি আবদুল বাসিতের তিলাওয়াত শোনে। রমজানে শবে কদরের পাশাপাশি শিয়াদের কয়েকটি দিবসও ঘটা করে পালন করা হয় ইরানে। তন্মধ্যে ২১ তারিখ হজরত আলি (রা.)-এর শাহাদতবার্ষিকী ও জুমাতুল বিদা উল্লেখযোগ্য। জুমাতুল বিদা তথা রমজানের শেষ শুক্রবারে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েল আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানায়।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে রাতটি অত্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়। মসজিদগুলো মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এই রাতে অধিকাংশ মসজিদে খতম তারাবি শেষ হয়। খতম শেষে হাফেজ সাহেবদের কাছ থেকে মুসল্লিরা পানিপড়া নেয়। পবিত্র কোরআনের বরকতে এই পানির রোগমুক্তিসহ বিভিন্ন উপকারিতা আছে বলে অনেকে বিশ্বাস করে। তারাবিহ শেষে মসজিদে ইসলাহি বয়ান চলে। লোকেরা ফজর পর্যন্ত নফল নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির, কবর জিয়ারত ইত্যাদি
আমলে ব্যস্ত থাকে।
মিসর
শবে কদরকে স্বাগত জানাতে রমজানের শেষ দশকে মসজিদে মসজিদে আলোকসজ্জা করা হয়। ২৭তম রাতে মসজিদগুলো মুসল্লিতে ভরপুর হয়ে যায়। ফজর পর্যন্ত নামাজ, জিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদি ইবাদতে মুখরিত থাকে প্রতিটি মসজিদ। মিসরে এই রাতে একটি আন্তর্জাতিক কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিজয়ীদের পাশাপাশি দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট আলেমকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই রাতের তাৎপর্য ও শিক্ষা সম্পর্কে দেশের রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এই রাতে মিসর থেকে অনেক মানুষ সপরিবারে ওমরাহ পালনের জন্য মক্কায় চলে যায়।
মরক্কো
এ দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে শবে কদর পালিত হয়। ঘরে ও মসজিদে জ্বালানো হয় উচ্চমূল্যের ধূপকাঠি। লোকজন দল বেঁধে প্রয়াত আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত করতে যায়। মা-বাবারা শিশুদের এই রাতে জীবনের প্রথম রোজা রাখতে উৎসাহিত করেন এবং এই রাতে পরিধান করার জন্য শিশুদের মরক্কোর ঐতিহ্যবাহী পোশাক কিনে দেন। মেয়েরা হাতে-পায়ে মেহেদি দেয়। ফটোগ্রাফার ডেকে পরিবারের সব সদস্যের সম্মিলিত ছবি তোলা হয়। ধনীরা মসজিদে মসজিদে গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন।
লিবিয়া
শবে কদরে লিবিয়ার ঘরে-ঘরে ঐতিহ্যবাহী লিবিয়ান খাবার বাজিন, কুসকুস ইত্যাদি তৈরি করা হয় এবং মসজিদসমূহে বিতরণ করা হয়। এসব খাবার নারীরা রমজান মাসজুড়ে তৈরি করে।
সুদান
শবে কদরে সুদানের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নামে। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশুর উপস্থিতিও লক্ষ করা যায়। রাতভর মসজিদে ইবাদত ও ধর্মীয় আলোচনা চলে। কেউ কেউ দাওয়াতের উদ্দেশ্যে ইসলামি বই-পুস্তক বিতরণ করে।
তুরস্ক
শবে কদরে তুরস্কের জনগণ পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মসজিদে ইবাদতকারীদের ঢল নামে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম তুরস্কের আদ্রিনেহ রাজ্যের ঐতিহাসিক সুলেমানিয়ে মসজিদে হাজার হাজার মুসলিম শবে কদর পালনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। এটি বিখ্যাত অটোমান স্থপতি সিনান পাশার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ। এশার নামাজের পর অনেক মসজিদে কোরআন তিলাওয়াত ও আধ্যাত্মিক সংগীতের আসর বসে।
মৌরিতানিয়া
শবে কদরে মৌরিতানিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বিপদ-আপদ ও দুষ্ট আত্মা তাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট ধরনের ধূপ জ্বালায়। শিশুদের শয়তান থেকে নিরাপদ রাখতে তাদের শরীরের নির্দিষ্ট অংশে গরম সুই দিয়ে দাগ দেয়।
ভারত
শবে কদরে ভারতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ভারতীয় মুসলমানরা এই রাতে মসজিদে জড়ো হয়ে ইবাদত করে। মৃত আত্মীয়স্বজনের জন্য কোরআন খতম করে। কবরস্থানে গিয়ে কবর জিয়ারত করে।
আলজেরিয়া
রমজানের শেষ ১০ দিনে আলজেরিয়ার লোকজন সমুদ্রসৈকতে গিয়ে মোমবাতি জ্বালায় এবং রোগমুক্তি ও অন্যান্য উদ্দেশ্য কামনা করে সমুদ্রের পানি দিয়ে সেই মোমবাতি নিভিয়ে দেয়। বিশেষ করে অবিবাহিত ও বিবাহিত নিঃসন্তান নারীরা বিয়ে ও সন্তান কামনায় এই রীতি পালন করে। যদিও ইসলামি চিন্তাবিদগণ এসবকে কুসংস্কার বলেই মনে করেন।
ইরান
শবে কদরে ইরানিরা মসজিদে গিয়ে সারা রাত ইবাদত করে। কেঁদে কেঁদে তওবা করে। পরদিন দুই ঘণ্টা দেরিতে কাজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই রাতে তারা মিসরীয় ক্বারিদের বিশেষ করে ক্বারি আবদুল বাসিতের তিলাওয়াত শোনে। রমজানে শবে কদরের পাশাপাশি শিয়াদের কয়েকটি দিবসও ঘটা করে পালন করা হয় ইরানে। তন্মধ্যে ২১ তারিখ হজরত আলি (রা.)-এর শাহাদতবার্ষিকী ও জুমাতুল বিদা উল্লেখযোগ্য। জুমাতুল বিদা তথা রমজানের শেষ শুক্রবারে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ফিলিস্তিনে ইসরায়েল আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানায়।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে রাতটি অত্যন্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়। মসজিদগুলো মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এই রাতে অধিকাংশ মসজিদে খতম তারাবি শেষ হয়। খতম শেষে হাফেজ সাহেবদের কাছ থেকে মুসল্লিরা পানিপড়া নেয়। পবিত্র কোরআনের বরকতে এই পানির রোগমুক্তিসহ বিভিন্ন উপকারিতা আছে বলে অনেকে বিশ্বাস করে। তারাবিহ শেষে মসজিদে ইসলাহি বয়ান চলে। লোকেরা ফজর পর্যন্ত নফল নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির, কবর জিয়ারত ইত্যাদি
আমলে ব্যস্ত থাকে।
রমজান রহমতের মাস। আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহের মাস। এ মাসে আল্লাহ তাআলা রহমতের দুয়ারগুলো খুলে দেন। তাই আমাদেরও উচিত, আল্লাহর অসহায় বান্দাদের প্রতি যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া; তাদের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করা। এ কাজে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সমাজের বিত্তবানদের। কারণ আল্লাহ তাআলা ত
১ ঘণ্টা আগেযুগে যুগে ইসলামের অন্য সব বিধানের মতো রোজা নিয়েও নতুন জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আবিষ্কারের কারণে সৃষ্ট এসব নতুন সমস্যার সমাধান দিয়েছেন বিজ্ঞ ফকিহরা। এখানে কিছু বিষয়ের সমাধান তুলে ধরা হলো
১ ঘণ্টা আগেরমজান কোরআন তিলাওয়াতের মাস। এ মাসে পুরো বিশ্বের মসজিদগুলোতে ও মুসলমানদের ঘরে ঘরে কোরআন তিলাওয়াত করতে শোনা যায়। বিশেষ করে রমজানের ‘মোকাবিলা’ অনুষ্ঠান মুসলমানদের হাজার বছরের ঐতিহ্য।
১ ঘণ্টা আগেমহানবী (সা.)-এর নারী সাহাবিরা আমল-আখলাক ও তাকওয়া-পরহেজগারিতে কোনো অংশেই পুরুষ সাহাবিদের থেকে পিছিয়ে ছিলেন না। পবিত্র মাস রমজানেও তার ব্যতিক্রম হতো না। মাসজুড়ে সিয়ামসাধনায় তাঁরাও আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। রোজা, নামাজ, তিলাওয়াত থেকে শুরু করে সব ইবাদতই তাঁরা পালন করতেন।
১ ঘণ্টা আগে