শরিফ আহমাদ
গালি দেওয়া ইসলামে হারাম। হাসি-ঠাট্টার ছলেও গালি দেওয়া নিষেধ। এটা মোনাফিকদের স্বভাব। গালি দেওয়ার শেষ পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। রাগের মাথায় অনেক মানুষ বিভিন্ন প্রাণী ও বস্তুকেও গালি দেয়। অথচ এটাও ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এমন পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করা হলো।
এক. সময়কে গালি দেওয়া নিষেধ: হজরত আবু হুরায়য়া (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারিম (সা.) হাদিসে কুদসিতে বলেন, আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আমাকে আদমসন্তান কষ্ট দিয়ে থাকে। কারণ, তারা যুগ বা সময়কে গালি দেয়। অথচ আমিই যুগ বা সময়। কেননা আমার হাতেই সব বিষয়। আমিই রাত ও দিনের পরিবর্তন ঘটাই।’ (বুখারি: ৬৯৮৩)
দুই. মৃতদের গালি দেওয়া নিষেধ: আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা মৃতদের গালমন্দ করো না। কেননা তারা আপন কৃতকর্মের ফলাফল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।’ (বুখারি: ১৩১১)
তিন. পশুকে গালি দেওয়া নিষেধ: হজরত জায়েদ ইবনে খালিদ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা মোরগকে মন্দ বলো না। কেননা সে সকালে নামাজের জন্য জাগিয়ে দেয়।’ (আবু দাউদ: ৫০১৩)
চার. রোগব্যাধিকে গালি দেওয়া নিষেধ: হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) একবার উম্মে সায়েব কিংবা উম্মে মুসাইয়িবের কাছে প্রবেশ করে বলেন, ‘হে উম্মে সায়েব বা উম্মে মুসাইয়িব, তোমার কী হয়েছে যে থরথর করে কাঁপছ?’ সে বলল, ‘জ্বর হয়েছে, আল্লাহ তাতে বরকত না দেন।’ এই কথা শুনে তিনি বললেন, ‘জ্বরকে গালি দিও না। জ্বর তো আদমসন্তানের পাপ মোচন করে। যেমন হাপর লোহার ময়লা দূর করে।’ (মুসলিম: ৬৭৩৫)
পাঁচ. বাতাসকে গালি দেওয়া নিষেধ: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘বাতাস আল্লাহর এক হুকুম, তা কখনো রহমত নিয়ে আসে, আবার কখনো আজাব নিয়ে আসে। তুমি যখন বাতাস দেখবে তখন তাকে গালি দেবে না। বরং আল্লাহর কাছে এর থেকে কল্যাণ কামনা করবে এবং এর অকল্যাণ থেকে তার আশ্রয় চাইবে।’ (আবু দাউদ: ৫০৯৭)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
গালি দেওয়া ইসলামে হারাম। হাসি-ঠাট্টার ছলেও গালি দেওয়া নিষেধ। এটা মোনাফিকদের স্বভাব। গালি দেওয়ার শেষ পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। রাগের মাথায় অনেক মানুষ বিভিন্ন প্রাণী ও বস্তুকেও গালি দেয়। অথচ এটাও ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এমন পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করা হলো।
এক. সময়কে গালি দেওয়া নিষেধ: হজরত আবু হুরায়য়া (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারিম (সা.) হাদিসে কুদসিতে বলেন, আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আমাকে আদমসন্তান কষ্ট দিয়ে থাকে। কারণ, তারা যুগ বা সময়কে গালি দেয়। অথচ আমিই যুগ বা সময়। কেননা আমার হাতেই সব বিষয়। আমিই রাত ও দিনের পরিবর্তন ঘটাই।’ (বুখারি: ৬৯৮৩)
দুই. মৃতদের গালি দেওয়া নিষেধ: আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা মৃতদের গালমন্দ করো না। কেননা তারা আপন কৃতকর্মের ফলাফল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।’ (বুখারি: ১৩১১)
তিন. পশুকে গালি দেওয়া নিষেধ: হজরত জায়েদ ইবনে খালিদ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা মোরগকে মন্দ বলো না। কেননা সে সকালে নামাজের জন্য জাগিয়ে দেয়।’ (আবু দাউদ: ৫০১৩)
চার. রোগব্যাধিকে গালি দেওয়া নিষেধ: হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) একবার উম্মে সায়েব কিংবা উম্মে মুসাইয়িবের কাছে প্রবেশ করে বলেন, ‘হে উম্মে সায়েব বা উম্মে মুসাইয়িব, তোমার কী হয়েছে যে থরথর করে কাঁপছ?’ সে বলল, ‘জ্বর হয়েছে, আল্লাহ তাতে বরকত না দেন।’ এই কথা শুনে তিনি বললেন, ‘জ্বরকে গালি দিও না। জ্বর তো আদমসন্তানের পাপ মোচন করে। যেমন হাপর লোহার ময়লা দূর করে।’ (মুসলিম: ৬৭৩৫)
পাঁচ. বাতাসকে গালি দেওয়া নিষেধ: হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘বাতাস আল্লাহর এক হুকুম, তা কখনো রহমত নিয়ে আসে, আবার কখনো আজাব নিয়ে আসে। তুমি যখন বাতাস দেখবে তখন তাকে গালি দেবে না। বরং আল্লাহর কাছে এর থেকে কল্যাণ কামনা করবে এবং এর অকল্যাণ থেকে তার আশ্রয় চাইবে।’ (আবু দাউদ: ৫০৯৭)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
১৬ ঘণ্টা আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
২ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
৩ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
৩ দিন আগে