ইসলাম ডেস্ক
ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হলো অজু ও গোসল। পবিত্রতা ছাড়া নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আদায় করা যায় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে নিজেদের শরীর (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: ৬)
এখন প্রশ্ন হলো, সব শর্ত মেনে গোসল করার পর নামাজের জন্য কি নতুন করে অজু করতে হবে? উত্তর হলো, না। কারণ গোসল হলো পবিত্রতার বড় মাধ্যম, আর অজু ছোট মাধ্যম। অজুতে যেসব অঙ্গ ধুতে হয়, তা গোসলেই ধোয়া হয়ে যায়। তাই গোসল করলে অজুও হয়ে যায়। ফলে গোসলের পর অজু ভঙ্গের কারণ পাওয়া না গেলে নতুন করে অজু করতে হবে না।
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) গোসলের পরে নতুন করে অজু করতেন না। (তিরমিজি: ১০৭)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে গোসলের পর অজু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘গোসলের চেয়ে কোন অজু ব্যাপকতর?’ অর্থাৎ, গোসল অজুর চেয়ে ব্যাপক। সুতরাং গোসল করলে অজু করতে হয় না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৭৪৮)
মূলত গোসল করার পর অজু করার কোনো বিধান ইসলামে নেই। ফরজ গোসল হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া ফরজ এবং পরিপূর্ণ অজু করে নেওয়া সুন্নত, যা গোসলেরই অংশ। আর গোসল ফরজ না হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া সুন্নত এবং পরিপূর্ণ অজু করা মুস্তাহাব। তাই যথাযথভাবে গোসল করার পর নতুন করে অজু করার প্রয়োজন নেই (বুখারি: ২৪৮; উমদাতুল ক্বারি: ০৩ / ৮৬; বাহরুর রায়েক: ০১ / ৯৪; আদ্দুররুল মুহতার: ০১ / ৩২৩)
ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হলো অজু ও গোসল। পবিত্রতা ছাড়া নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আদায় করা যায় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে নিজেদের শরীর (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: ৬)
এখন প্রশ্ন হলো, সব শর্ত মেনে গোসল করার পর নামাজের জন্য কি নতুন করে অজু করতে হবে? উত্তর হলো, না। কারণ গোসল হলো পবিত্রতার বড় মাধ্যম, আর অজু ছোট মাধ্যম। অজুতে যেসব অঙ্গ ধুতে হয়, তা গোসলেই ধোয়া হয়ে যায়। তাই গোসল করলে অজুও হয়ে যায়। ফলে গোসলের পর অজু ভঙ্গের কারণ পাওয়া না গেলে নতুন করে অজু করতে হবে না।
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) গোসলের পরে নতুন করে অজু করতেন না। (তিরমিজি: ১০৭)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-কে গোসলের পর অজু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘গোসলের চেয়ে কোন অজু ব্যাপকতর?’ অর্থাৎ, গোসল অজুর চেয়ে ব্যাপক। সুতরাং গোসল করলে অজু করতে হয় না। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৭৪৮)
মূলত গোসল করার পর অজু করার কোনো বিধান ইসলামে নেই। ফরজ গোসল হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া ফরজ এবং পরিপূর্ণ অজু করে নেওয়া সুন্নত, যা গোসলেরই অংশ। আর গোসল ফরজ না হলে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়া সুন্নত এবং পরিপূর্ণ অজু করা মুস্তাহাব। তাই যথাযথভাবে গোসল করার পর নতুন করে অজু করার প্রয়োজন নেই (বুখারি: ২৪৮; উমদাতুল ক্বারি: ০৩ / ৮৬; বাহরুর রায়েক: ০১ / ৯৪; আদ্দুররুল মুহতার: ০১ / ৩২৩)
একজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
২২ মিনিট আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১ দিন আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগে