মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: ঋতুস্রাবের সময় নারীরা কোন কোন আমল করতে পারবে? জিকির, তাসবিহ ও সকাল-সন্ধ্যার দোয়াগুলো কি পাঠ করা যাবে? শরিয়তের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
জাহানারা বেগম, কুমিল্লা
উত্তর: ঋতুস্রাব চলাকালে সব ধরনের নামাজ আদায় ও রোজা রাখা নিষিদ্ধ। পরে এই সময়ের ফরজ নামাজগুলোর কাজা করতে হয় না। তবে ফরজ রোজা ছুটে গেলে পরে আদায় করে নিতে হয়। আয়েশা (রা.) বলেন, আমরা নবী (সা.)-এর সময়ে ঋতুমতী হলে নামাজের কাজা করতাম না।’ (মুসলিম: ৩৩৫)
এই বিশেষ সময়ে কোরআন তিলাওয়াত করাও নিষেধ। কারণ ঋতুস্রাবের কারণে গোসল আবশ্যক হয়ে যায়। আর গোসল আবশ্যক হলে কোরআন তিলাওয়াত নাজায়েজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঋতুমতী নারী ও গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন তিলাওয়াত করবে না।’ (তিরমিজি: ১৩১)
পবিত্র কোরআন স্পর্শ না করে এবং পুরো আয়াত তিলাওয়াত না করে যদি কয়েক শব্দ বা আয়াতের একাংশ তিলাওয়াত করা হয়, তবে কোনো সমস্যা নেই। এ ছাড়া পবিত্র কোরআনের যেসব আয়াত দোয়া হিসেবে পাঠ করা হয়, সেগুলো কেবল দোয়া হিসেবে পাঠ করলেও কোনো সমস্যা নেই। নারী যদি কোরআনের শিক্ষক হন, তবে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সময় পুরো আয়াত একসঙ্গে তিলাওয়াত না করে ভেঙে ভেঙে দু-এক শব্দ করে পড়াতে কোনো সমস্যা নেই।
হজের সময় ঋতুস্রাব শুরু হলে পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা ছাড়া বাকি সব ইবাদত যথানিয়মে পালন করতে হবে। তাওয়াফ পরে কাজা আদায় করে নেবে।
ঋতুস্রাবের সময় সব ধরনের দোয়া ও তাসবিহ পাঠ করা যাবে। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) সব সময় আল্লাহর স্মরণ করতেন। (মুসলিম: ৭১২) কারণ দোয়া বা তাসবিহ পাঠের জন্য পবিত্রতা জরুরি নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
সুতরাং এই সময়ে নারীরা কালিমা তাইয়েবা, কালিমা শাহাদাত, কালিমা তাওহিদ, দুরুদ শরিফ, ইস্তিগফার, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাসসহ সব ধরনের দোয়া ও জিকির করতে পারবেন। এ ছাড়া আজানের জবাব দিতেও কোনো সমস্যা নেই। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/ ৩৮)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: ঋতুস্রাবের সময় নারীরা কোন কোন আমল করতে পারবে? জিকির, তাসবিহ ও সকাল-সন্ধ্যার দোয়াগুলো কি পাঠ করা যাবে? শরিয়তের আলোকে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
জাহানারা বেগম, কুমিল্লা
উত্তর: ঋতুস্রাব চলাকালে সব ধরনের নামাজ আদায় ও রোজা রাখা নিষিদ্ধ। পরে এই সময়ের ফরজ নামাজগুলোর কাজা করতে হয় না। তবে ফরজ রোজা ছুটে গেলে পরে আদায় করে নিতে হয়। আয়েশা (রা.) বলেন, আমরা নবী (সা.)-এর সময়ে ঋতুমতী হলে নামাজের কাজা করতাম না।’ (মুসলিম: ৩৩৫)
এই বিশেষ সময়ে কোরআন তিলাওয়াত করাও নিষেধ। কারণ ঋতুস্রাবের কারণে গোসল আবশ্যক হয়ে যায়। আর গোসল আবশ্যক হলে কোরআন তিলাওয়াত নাজায়েজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঋতুমতী নারী ও গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন তিলাওয়াত করবে না।’ (তিরমিজি: ১৩১)
পবিত্র কোরআন স্পর্শ না করে এবং পুরো আয়াত তিলাওয়াত না করে যদি কয়েক শব্দ বা আয়াতের একাংশ তিলাওয়াত করা হয়, তবে কোনো সমস্যা নেই। এ ছাড়া পবিত্র কোরআনের যেসব আয়াত দোয়া হিসেবে পাঠ করা হয়, সেগুলো কেবল দোয়া হিসেবে পাঠ করলেও কোনো সমস্যা নেই। নারী যদি কোরআনের শিক্ষক হন, তবে শিক্ষার্থীদের পড়ানোর সময় পুরো আয়াত একসঙ্গে তিলাওয়াত না করে ভেঙে ভেঙে দু-এক শব্দ করে পড়াতে কোনো সমস্যা নেই।
হজের সময় ঋতুস্রাব শুরু হলে পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করা ছাড়া বাকি সব ইবাদত যথানিয়মে পালন করতে হবে। তাওয়াফ পরে কাজা আদায় করে নেবে।
ঋতুস্রাবের সময় সব ধরনের দোয়া ও তাসবিহ পাঠ করা যাবে। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) সব সময় আল্লাহর স্মরণ করতেন। (মুসলিম: ৭১২) কারণ দোয়া বা তাসবিহ পাঠের জন্য পবিত্রতা জরুরি নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
সুতরাং এই সময়ে নারীরা কালিমা তাইয়েবা, কালিমা শাহাদাত, কালিমা তাওহিদ, দুরুদ শরিফ, ইস্তিগফার, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাসসহ সব ধরনের দোয়া ও জিকির করতে পারবেন। এ ছাড়া আজানের জবাব দিতেও কোনো সমস্যা নেই। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/ ৩৮)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৮ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৮ ঘণ্টা আগে