মাহমুদ হাসান ফাহিম
বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মোগল আমলের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা খেরুয়া মসজিদ। প্রায় ৫৯ শতাংশ জমির বিশাল এক মাঠের পশ্চিম পাশে অবস্থিত এই মসজিদ। এর চারপাশ ঘিরে আছে তাল, নারকেল, আম ও কদমগাছের সারি। মসজিদের দেয়ালে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ সালে জওহর আলী কাকশালের পুত্র মির্জা মুরাদ খান কাকশালের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদের চার কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির মিনার। ছাদের কার্নিশ বাংলার কুঁড়েঘরের মতো দুপাশে সামান্য বাঁকানো। ছাদের ওপরে রয়েছে একই মাপের তিনটি গম্বুজ। সেগুলো দেখতে উপুড় করা নকশাবিহীন তিনটি সমান আকৃতির মাটির বড় গামলার মতো মনে হয়। তবে সুলতানি আমলের গম্বুজ নির্মাণশৈলীর সঙ্গে এর ধরনে মিল রয়েছে।
মসজিদের পূর্ব দেয়ালে দরজার সংখ্যা তিনটি। তবে মাঝের দরজাটি অপেক্ষাকৃত বড়। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালেও রয়েছে একটি করে দরজা। সামনের দেয়ালে প্যানেলিংয়ের কাজ করা। ধনুকের মতো বাঁকা কার্নিশের তলায় সারিবদ্ধ খিলান আকৃতির চমৎকার অলংকরণ। মসজিদের মাঝের দরজার বাঁ পাশে একটি শিলালিপি রয়েছে। ডান পাশেও শিলালিপির তাকের মতো একটা খালি জায়গা আছে। এ সম্পর্কে জানা যায়, সেখানেও একটি শিলালিপি ছিল। বর্তমানে সেটি করাচির জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
মসজিদটির বাইরের দিকের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ ২৪ ফুট। ভেতরের অংশের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট। আর চারদিকের দেয়াল ৬ ফুট করে পুরু। মসজিদের অভ্যন্তরভাগ তিন অংশে বিভক্ত। ভেতরের পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি অর্ধগোলাকার কারুকার্যবিশিষ্ট মিহরাব। মূল মিহরাবের দুপাশে আকারে ছোট দুটি মিহরাব রয়েছে। সাদৃশ্য রক্ষার্থেই সেগুলো বানানো হয়েছে। মসজিদের মোট কাতারসংখ্যা তিন।
মসজিদটি নির্মাণে চুন ও সুরকি দিয়ে গাঁথা হয়েছে ইট। এতে বৃহদাকার কৃষ্ণ পাথরও ব্যবহার করা হয়েছে। ইটের বিন্যাস ও খাড়া প্যানেলের মাধ্যমে নান্দনিক বৈচিত্র্য তৈরি করা হয়েছে মসজিদটিতে। এর দেয়ালের গাঁথুনিগুলো অসম্ভব নান্দনিক। মিনার, গম্বুজ, নকশা ও ইটের বৈচিত্র্যময় গাঁথুনি এবং ফুল, লতাপাতার নকশার কারণে পুরো মসজিদই নজর কাড়ে।
প্রাচীন এই মসজিদে এখনো নিয়মিত নামাজ আদায় হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৮৮ সাল থেকে মসজিদ ও এর জায়গা দেখাশোনার জন্য একজন খাদেম নিয়োগ দেয়। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক, দর্শনার্থী ও স্থাপত্য বিশারদেরা এই মসজিদ পরিদর্শন করতে আসেন।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক
বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মোগল আমলের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা খেরুয়া মসজিদ। প্রায় ৫৯ শতাংশ জমির বিশাল এক মাঠের পশ্চিম পাশে অবস্থিত এই মসজিদ। এর চারপাশ ঘিরে আছে তাল, নারকেল, আম ও কদমগাছের সারি। মসজিদের দেয়ালে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ সালে জওহর আলী কাকশালের পুত্র মির্জা মুরাদ খান কাকশালের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি নির্মাণ করা হয়।
মসজিদের চার কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির মিনার। ছাদের কার্নিশ বাংলার কুঁড়েঘরের মতো দুপাশে সামান্য বাঁকানো। ছাদের ওপরে রয়েছে একই মাপের তিনটি গম্বুজ। সেগুলো দেখতে উপুড় করা নকশাবিহীন তিনটি সমান আকৃতির মাটির বড় গামলার মতো মনে হয়। তবে সুলতানি আমলের গম্বুজ নির্মাণশৈলীর সঙ্গে এর ধরনে মিল রয়েছে।
মসজিদের পূর্ব দেয়ালে দরজার সংখ্যা তিনটি। তবে মাঝের দরজাটি অপেক্ষাকৃত বড়। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালেও রয়েছে একটি করে দরজা। সামনের দেয়ালে প্যানেলিংয়ের কাজ করা। ধনুকের মতো বাঁকা কার্নিশের তলায় সারিবদ্ধ খিলান আকৃতির চমৎকার অলংকরণ। মসজিদের মাঝের দরজার বাঁ পাশে একটি শিলালিপি রয়েছে। ডান পাশেও শিলালিপির তাকের মতো একটা খালি জায়গা আছে। এ সম্পর্কে জানা যায়, সেখানেও একটি শিলালিপি ছিল। বর্তমানে সেটি করাচির জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
মসজিদটির বাইরের দিকের দৈর্ঘ্য ৫৭ ফুট এবং প্রস্থ ২৪ ফুট। ভেতরের অংশের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থ ১২ ফুট। আর চারদিকের দেয়াল ৬ ফুট করে পুরু। মসজিদের অভ্যন্তরভাগ তিন অংশে বিভক্ত। ভেতরের পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি অর্ধগোলাকার কারুকার্যবিশিষ্ট মিহরাব। মূল মিহরাবের দুপাশে আকারে ছোট দুটি মিহরাব রয়েছে। সাদৃশ্য রক্ষার্থেই সেগুলো বানানো হয়েছে। মসজিদের মোট কাতারসংখ্যা তিন।
মসজিদটি নির্মাণে চুন ও সুরকি দিয়ে গাঁথা হয়েছে ইট। এতে বৃহদাকার কৃষ্ণ পাথরও ব্যবহার করা হয়েছে। ইটের বিন্যাস ও খাড়া প্যানেলের মাধ্যমে নান্দনিক বৈচিত্র্য তৈরি করা হয়েছে মসজিদটিতে। এর দেয়ালের গাঁথুনিগুলো অসম্ভব নান্দনিক। মিনার, গম্বুজ, নকশা ও ইটের বৈচিত্র্যময় গাঁথুনি এবং ফুল, লতাপাতার নকশার কারণে পুরো মসজিদই নজর কাড়ে।
প্রাচীন এই মসজিদে এখনো নিয়মিত নামাজ আদায় হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৮৮ সাল থেকে মসজিদ ও এর জায়গা দেখাশোনার জন্য একজন খাদেম নিয়োগ দেয়। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক, দর্শনার্থী ও স্থাপত্য বিশারদেরা এই মসজিদ পরিদর্শন করতে আসেন।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক
মহানবী (সা.)-এর সময়ে আরবের প্রখ্যাত পৌত্তলিক নেতা ছিলেন আমর ইবনে হিশাম। তাঁর উপাধি ছিল আবুল হাকাম তথা প্রজ্ঞার জনক। তিনি গভীর জ্ঞানের অধিকারী হিসেবে বিবেচিত ছিলেন এবং কোরাইশের প্রবীণ নেতাদের মধ্যে দক্ষতা ও উপলব্ধির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তবে ইসলামের প্রতি ভীষণ শত্রুতা প্রদর্শন এবং ইসলামের বাণী প্রত্যাখ
১৪ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.) হুদায়বিয়া সন্ধি সম্পন্ন করার পর বিভিন্ন রাজা-বাদশাহর কাছে ইসলামের বাণী পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি সপ্তম হিজরিতে ছয়জন রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে ইসলামের দাওয়াতসংবলিত পত্র লেখেন।
১৪ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে মাঝেমধ্যেই হিল্লা বিয়ের কথা শোনা যায়। ইসলামে কি এই বিয়ে বৈধ?
১৪ ঘণ্টা আগেপাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নফল নামাজ রয়েছে। কোরআন-হাদিসে সেসব নামাজের ব্যাপারে অনেক ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত ও আওয়াবিন সেসব নফল নামাজের মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
৩ দিন আগে