আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসলামের দৃষ্টিতে বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী শবে কদর। পবিত্র কোরআনে এই রাতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। তবে কোন রাতটি শবে কদর, তা কোরআন-হাদিসে সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি। অবশ্য, অনেক আলিমের মতে, রমজানের ২৭ তম রাতই (২৬ রমজান দিবাগত রাত) শবে কদর। তাই নাজাতের দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোসহ বিশেষভাবে ২৭ তম রাতে শবে কদর অন্বেষণ করা এবং বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানো উচিত। এখানে হাদিসের আলোকে শবে কদর সম্পর্কিত চারটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো—
পবিত্রতা ও শুদ্ধতা অর্জন
শবে কদরের বরকত লাভের প্রধান শর্ত হলো ভেতর-বাইরের পবিত্রতা অর্জন করে একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়া। আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি (রহ.) বলেন, ‘উত্তম হলো যে রাতে কদর অনুসন্ধান করা হবে, তাতে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, গোসল-সুগন্ধি-উত্তম কাপড়ের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করা। আর বাহ্যিক সৌন্দর্য সৌন্দর্যের জন্য যথেষ্ট নয়, যদি না মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয়। মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয় তওবা ও আল্লাহমুখী হওয়ার মাধ্যমে।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ১৮৯)
নামাজ ও ইবাদত
মহানবী (সা.) কদরের রাতে ইবাদত ও নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের জন্য রাত জাগবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৫)
তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা
এই রাতে আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ হয়ে তওবা করা এবং জীবনের যাবতীয় গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা বলা হয়েছে। আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোনটি, তাহলে আমি সে রাতে কী বলব? তিনি বলেন, ‘তুমি বলো—আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি; অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)
বিজোড় রাতগুলাতে ইবাদত
২৭ তম রাতেই লাইলাতুল কদর হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই এই রাতের ফজিলত পেতে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত করা উচিত। কেননা মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৭)
ইসলামের দৃষ্টিতে বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী শবে কদর। পবিত্র কোরআনে এই রাতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম আখ্যা দেওয়া হয়েছে। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। তবে কোন রাতটি শবে কদর, তা কোরআন-হাদিসে সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি। অবশ্য, অনেক আলিমের মতে, রমজানের ২৭ তম রাতই (২৬ রমজান দিবাগত রাত) শবে কদর। তাই নাজাতের দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোসহ বিশেষভাবে ২৭ তম রাতে শবে কদর অন্বেষণ করা এবং বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানো উচিত। এখানে হাদিসের আলোকে শবে কদর সম্পর্কিত চারটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো—
পবিত্রতা ও শুদ্ধতা অর্জন
শবে কদরের বরকত লাভের প্রধান শর্ত হলো ভেতর-বাইরের পবিত্রতা অর্জন করে একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়া। আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি (রহ.) বলেন, ‘উত্তম হলো যে রাতে কদর অনুসন্ধান করা হবে, তাতে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, গোসল-সুগন্ধি-উত্তম কাপড়ের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করা। আর বাহ্যিক সৌন্দর্য সৌন্দর্যের জন্য যথেষ্ট নয়, যদি না মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয়। মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয় তওবা ও আল্লাহমুখী হওয়ার মাধ্যমে।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ১৮৯)
নামাজ ও ইবাদত
মহানবী (সা.) কদরের রাতে ইবাদত ও নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের জন্য রাত জাগবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৫)
তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা
এই রাতে আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ হয়ে তওবা করা এবং জীবনের যাবতীয় গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা বলা হয়েছে। আয়েশা (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোনটি, তাহলে আমি সে রাতে কী বলব? তিনি বলেন, ‘তুমি বলো—আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি; অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)
বিজোড় রাতগুলাতে ইবাদত
২৭ তম রাতেই লাইলাতুল কদর হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই এই রাতের ফজিলত পেতে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত করা উচিত। কেননা মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৭)
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
২ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
২ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
২ দিন আগে